লিনাক্স

উবুন্টু ২৩.০৪: উবুন্টু কি আগের থেকে বেটার?

আসসালামু আলাইকুম। জনপ্রিয় লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন উবুন্টুর নতুন একটি ভার্সন ২৩.০৪ সম্প্রতি রিলিজ হয়েছে এবং এই লেখাতে থাকছে উবুন্টুর সর্বনতুন এই ভার্সনটির রিভিউ। বর্তমানে আমি ফিডোরা অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছি আমার ল্যাপটপের মেইন অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে। উবুন্টু ২৩.০৪ ব্যবহারের জন্য আমি একটি ভার্চুয়াল মেশিন ব্যবহার করছি, যেটি Virtual Machine Manager সফটওয়্যার ব্যবহার করে QEMU/KVM-এ তৈরি করা। এখানে আমি বরাদ্দ করেছি ৪ জিবি র‌্যাম ও i5-1135G7 প্রসেসরের ৪টি কোর (সম্ভবত কোর বলতে এখানে থ্রেড নির্দেশ করা হয়)। উবুন্টু প্রতিবছর এপ্রিল ও অক্টোবর মাসে দুটি করে রিলিজ করে। উবুন্টু ২৩.০৪ একটি নন এলটিএস ভার্সন, সবকিছু ঠিক থাকলে এটি ৯ মাসের জন্য সাপোর্ট পাবে এবং এর মধ্যে উবুন্টু ২৩.১০ চলে আসবে। প্রসঙ্গত উবুন্টু প্রতি দু’বছর পরপর একটি এলটিএস বা লং টার্ম ভার্সন রিলিজ করে যা ৫ বছরের জন্য সাপোর্ট দেয়া হয়। উবুন্টুর সর্বশেষ এলটিএস রিলিজ হলো উবুন্টু ২২.০৪, যা নিয়ে আমার রিভিউ রয়েছে এখানে। উবুন্টুর প্রতিটি সংস্করণের একটি কোডনেম থাকে। উবুন্টু ২৩.০৪-এর কোডনেম ‘Lunar…

আরো পড়ুনউবুন্টু ২৩.০৪: উবুন্টু কি আগের থেকে বেটার?

ফিডোরা ৩৮ রিলিজ হয়েছে

খবরটা আসলে একটু পুরনো, ফিডোরা ৩৮ রিলিজ হয়েছে আরো কয়েকদিন আগেই, ১৭ এপ্রিল। ফিডোরা একটি জনপ্রিয় লিনাক্সভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম। লিনাক্স নিয়ে আরো জানতে চাইলে দেখুন ৮০০০ শব্দে লিনাক্স পরিচিতি। ফিডোরা নিয়ে আমার আগের এক্সপ্রেরিয়েন্স তত ভালো ছিলো না। তবে তার কারণ ছিলো সুনির্দিষ্ট কিছু সমস্যা, যেগুলো সমাধান হলে ফিডোরার বাদবাকি সব দারুণ লাগছিলো। যেমন সবচেয়ে মেজর ছিলো ফিডোরা ২৯-এ গ্নোম শেলে মাঝেমাঝেই কার্সর অদৃশ্য হয়ে যেতো, আর ফিডোরা ৩৫-এ ভিডিও কলে স্ক্রিন শেয়ার করতে পারছিলাম না। তবে গত দু-তিন মাস আবারো ফিডোরা ব্যবহার করছি-ফিডোরা ৩৭ ব্যবহার করছিলাম এতদিন অবশ্যই, সম্প্রতি ফিডোরা ৩৮-এ আপগ্রেড করেছি। এই সময়ের মধ্যে আগের সমস্যাগুলোসহ মেজর কোন সমস্যা পাইনি। তবে একটি সমস্যা- টেলিগ্রাম ডেস্কটপ অ্যাপ প্রায়ই ক্র্যাশ করার প্রবণতা আছে, যা ফিডোরা ৩৫, ৩৭ ও ৩৮ তিনটি ভার্সনেই এক্সপ্রেরিয়েন্স করেছি। এছাড়া সেটিংস অ্যাপ ও ফাইল ম্যানেজার অন্তত একবার করে ক্র্যাশ করেছে গত দু-তিনদিনের ব্যবহারে। ফিডোরা ৩৮ একটি কোয়ালিটি অফ লাইফ আপগ্রেড- ফিডোরা ৩৭ থেকে এক্সপ্রেরিয়েন্সে উল্লেখযোগ্য…

আরো পড়ুনফিডোরা ৩৮ রিলিজ হয়েছে

কেডিই প্লাজমা ডেস্কটপে আনুন ব্যতিক্রমী এনটিক ছোঁয়া

একটা সময়ে লিনাক্সভিত্তিক বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম এক্সপ্লোর করতে অভ্যস্থ ছিলাম, তবে এখন অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তনটা একরকম বিলাসিতা হবে- তাই অনেকদিন-ই মানজারো কেডিই-র সাথে আছি। তবে দীর্ঘদিন একইকম এক্সপ্রেরিয়েন্স ব্যাপারটা একটু বোরিং-ও মনে হয়। ভালো কথা হলো এখানে একটু পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগানোর জন্য কেডিই প্লাজমাতে অনেকরকম কাস্টমাইজেবিলিটির সুযোগ আছে। আমি খুঁজছিলাম এমন কিছু, যেটা উইন্ডোজ কিংবা ম্যাকের মত দেখতে নয়, এবং বর্তমানে প্রচলিত ডিজাইন একটু অন্যরকম। এই জায়গাতে ‘Psion’ থিম আমার কাছে বেশ সুন্দর লেগেছে। এর সাথে ‘Buuf For Many Desktops’ আইকন প্যাকটি বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ। স্পষ্টত, মডার্ন যেধরণের ফ্ল্যাট কিংবা ম্যাটেরিয়াল ডিজাইনের সাথে আমরা পরিচিত, এটা তেমনটা নয়। অনেকটা এনটিক একটা লুক আছে, যেটা আবশ্যিকভাবে মন্দ নয়। Buuf আইকন প্যাকের কথা বললে এখানে বেশ কিছু অদ্ভুত ধরণের আইকন আছে- যার সবগুলো আসলে ভালো লাগেনি আমার। তবে সচারচর যে আইকনগুলো বেশি চোখে পড়ে- ফাইল ম্যানেজার বা ফোল্ডার বা ডকুমেন্টস, সেগুলো একটা ভিনটেজ ভাইবসহ ভালোই লেগেছে। অবশ্যই অন্য কোন আইকন প্যাকও ব্যবহার করা…

আরো পড়ুনকেডিই প্লাজমা ডেস্কটপে আনুন ব্যতিক্রমী এনটিক ছোঁয়া

প্রয়োজনীয় কিছু ফ্রি সফটওয়্যার লিনাক্সের জন্য

ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে লিনাক্সের জগতের নানাবিধ বৈচিত্রতা অনেকের কাছে একে আকর্ষণীয় করে তোলে। লিনাক্সের কথা বললে একটি বিষয় নিয়ে অনেকেরই জিজ্ঞাসা থাকে, সফটওয়্যার। কেননা উইন্ডোজের সব সফটওয়্যার লিনাক্সে সরাসরি এভেইলেবল নয়। তবে এর অর্থ কিন্তু এই নয় যে লিনাক্সের জন্য সফটওয়্যারের কমতি রয়েছে। আজ এমনই কিছু সফটওয়্যারের সাথে পরিচিত হয়ে নেয়া যাক। লিনাক্সে সফটওয়্যার ইন্সটলের জন্য সাধারণত কোন এক্সিকিউটেবল ফাইল ডাউনলোড করে ইন্সটল করতে হয় না, কিছু সফটওয়্যার ব্যতীত। হোম ইউজারদের জন্য তৈরি ডিস্ট্রোগুলোতে সাধারণত একটা গ্রাফিকাল সফটওয়্যার ম্যানেজার থাকে, যেখানে সরাসরি সফটওয়্যারগুলো ইন্সটল করা যায়। অনেক সফটওয়্যার Flatpak বা Snap হিসেবে ইন্সটলযোগ্য, আর অনেক গ্রাফিকাল সফটওয়্যার ম্যানেজারে-ই সরাসরি এই সার্ভিসগুলো ইন্টিগ্রেটেড। ওয়েব ব্রাউজার পরিচিত প্রায় সব ওয়েব ব্রাউজার-ই লিনাক্সে এভেইলেবল রয়েছে। এর মধ্যে আছে ফায়ারফক্স, গুগল ক্রোম, ক্রোমিয়াম, ভিভালদি, ব্রেভ, অপেরা এমনকি মাইক্রোসফট এজ এবং আরো, যেমন- Falkon, Gnome Web, Konqueror প্রভৃতি। Google Chrome Google Chrome গুগল দ্বারা ডেভেলপকৃত একটি চমৎকার ওয়েব ব্রাউজার। Google ক্রোম পারফর্মেন্স ও সিক্যুরিটির…

আরো পড়ুনপ্রয়োজনীয় কিছু ফ্রি সফটওয়্যার লিনাক্সের জন্য

উবুন্টু ২২.০৪: উবুন্টু কি আগের থেকে বেটার?

বছরখানেক হয়ে গেছে উবুন্টুর সাথে শেষবার দেখা হওয়ার। এই সময়ের মধ্যে দুটো মেজর রিলিজ এসেছে উবুন্টুর এবং বেশ বড় কিছু পরিবর্তন এসেছে। উবুন্টু ২১.১০ নিয়ে যদিও আগ্রহবোধ করিনি, উবুন্টু ২২.০৪-এ কিছু ইন্টেরেস্টিং ব্যাপার ছিলো। সব মিলিয়ে ভাবলাম কেন না ভার্চুয়ালবক্সে একবার ট্রাই করে দেখা যাক! আমার প্রাইমারী মানজারো ইন্সটলেশনের মধ্যে ভার্চুয়ালবক্সে উবুন্টু ২২.০৪ ইন্সটল করেছি। ভার্চুয়ালবক্স সম্পর্কে যারা জানেন না, এটা একটা অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে আরেকটা অপারেটিং সিস্টেম চালানোর একটা পদ্ধতি। এতে মূল অপারেটিং সিস্টেমে সমস্যা কিংবা ডাটা হারানোর ভয় থাকে না। ভার্চুয়ালবক্সে উবুন্টু ইন্সটলেশনের টিউটোরিয়াল রয়েছে এখানে। উবুন্টুরর নতুন ইন্সটলার নিয়ে কাজ করার কথা জানা গিয়েছিলো আগের বছরের শুরুর দিকেই। তবে ২২.০৪-এ এসেও এর দেখা মিলেনি। ইন্সটলার আগের মত থাকলেও পরিবর্তন হয়েছে উবুন্টুর লোগো। বুট স্ক্রিন থেকেই তাই থাকছে নতুনত্বের ছোঁয়া। উবুন্টু ২২.০৪-এর কোডনেম Jammy Jellyfish। এখানে থাকছে গ্নোম ৪২ ডেস্কটপ উবুন্টু ২১.১০-তে সর্বপ্রথম গ্নোম ৪০ ডেস্কটপ ব্যবহার হয়েছিলো, যেটা গ্নোম ৩.৩৮ থেকে ছিলো একটা হিউজ জাম্প। এর মধ্যে…

আরো পড়ুনউবুন্টু ২২.০৪: উবুন্টু কি আগের থেকে বেটার?

ল্যাপটপে লিনাক্স ব্যবহার করছেন? যেকোন ডিই-র জন্য যুক্ত করে নিন টাচপ্যাড জেসচার সমর্থন (X11)

যদি আপনার লিনাক্স সেটআপে ব্যবহৃত ডেস্কটপ এনভায়রনমেন্টে যথেষ্ট ভালো টাচপ্যাড জেসচার সমর্থন না থাকে এবং আপনি X11 বা X.org ডেস্কটপ ইউজার হোন, তবে আপনার জন্য ভালো খবর হলো touchegg ব্যবহার করে যেকোন লিনাক্স ডেস্কটপের জন্য জেসচার সমর্থন যুক্ত করে নিতে পারেন। তবে এটা শুধু X11 সার্ভারে কাজ করবে, ওয়েল্যান্ডের জন্য এটা নয়। আমি কেডিই প্লাজমা ব্যবহার করছি, বর্তমানে এতে জেসচার সাপোর্ট না থাকার মত, পরবর্তী 5.25 সংস্করণে এখানে বড় রকম ইমপ্রুভমেন্ট আসছে, তবে তা শুধু ওয়েল্যান্ডের জন্য। তো একারণে খুঁজছিলাম এখানে জেসচার যুক্ত করার কোন উপায় আছে কিনা এবং touchegg এর সন্ধান পেয়ে গেলাম। touchegg শুধু কেডিই প্লাজমা না, অন্য ডেস্কটপের সাথেও ব্যবহারযোগ্য। এখানে three finger ও four finger এর জন্য swipe ও pinch এবং two finger এর জন্য pinch জেসচার সমর্থন আছে। পাশাপাশি টাচ স্ক্রিনের জন্য মাল্টি ফিঙ্গার টাচ জেসচার রয়েছে। আরো চমৎকার হলো ওয়েব ব্রাউজার বা ভিন্ন ভিন্ন অ্যাপে থাকলে আলাদা জেসচার সেট করা যায়। অ্যাপটার ড্র-ব্যাক বলা…

আরো পড়ুনল্যাপটপে লিনাক্স ব্যবহার করছেন? যেকোন ডিই-র জন্য যুক্ত করে নিন টাচপ্যাড জেসচার সমর্থন (X11)

মাসখানেক ফিডোরার সাথে খুব ভালো কাটেনি…

তো আমার আগের পোস্টে যেমনটা বলেছিলাম, ফিডোরাতে দীর্ঘদিন স্থায়ী হওয়ারই চিন্তা ছিলো, যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে। এটা সে পোস্টের আপডেট বলা যায়। তো না, সবকিছু ঠিকঠাক থাকেনি, প্রায় এক মাসের মত ব্যবহারের পর আমি সিদ্ধান্তে উপনীত হই, তা হলো ফিডোরাতে বেশিদিন কাটানোর চিন্তা খুব সুবিধাজনক হবে না। পৃথিবীতে কোনকিছু পারফেক্ট না, অবশ্যই কিছু সমস্যা থাকবে যা হয়ত সমাধান করতে হবে, অথবা মেনে নিতে হবে। কিন্তু কখনো কখনো সমস্যাগুলোর সমাধান খোঁজার চেয়ে যদি থাকে তো বিকল্প পথ বেছে নেয়াটাই শ্রেয় বোধ হয়। তো শুরুতে বলি যে সমস্যাটা আমাকে ফিডোরা ছাড়তে মোটামুটি বাধ্য করেছে, তা হলো জুম ও টেলিগ্রামে অনলাইন ভিডিও চ্যাটে স্ক্রিন শেয়ার করতে না পারা। কল চলাকালীন কথা বলা বা শোনা, ক্যামেরা ভিডিও অন করা নিয়ে কোন সমস্যা না থাকলেও স্ক্রিন শেয়ার কাজ করছিলো না। ফিডোরা মডার্ন Wayland ডিসপ্লে সার্ভার বাই ডিফল্ট ব্যবহার করে, পাশাপাশি লিগ্যাসি X11 সার্ভারে সুইচের সুবিধা আছে। X11 অনেক পুরনো প্রযুক্তি, ওয়েল্যান্ড অনেক দিকে উন্নত হলেও…

আরো পড়ুনমাসখানেক ফিডোরার সাথে খুব ভালো কাটেনি…

Gnome 41 এর সাথে Fedora 35 কতটা ভালো?

মাসদুয়েক আগ পর্যন্ত, যখন আমি ডেস্কটপ ব্যবহার করতাম, তখন নিয়মিতই ডিস্ট্রো পরিবর্তন করতাম। যদিও আভিধানিকভাবে আমি ডিস্ট্রো হপার নই, কেননা আমার জন্য স্থায়ী হওয়ার মত পারফেক্ট ডিস্ট্রোর খোঁজে আমি ছিলাম না, তবে কোনকিছু আকর্ষণীয় লাগলে পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য বা কখনো স্বাদ বদলের জন্য সরাসরি মূল হার্ডডিস্কেই ইন্সটল করতাম (আর আমার i3-3220 প্রসেসরের সাথে সীমিত র‌্যামের ডেস্কটপ ভার্চুয়ালাইজেশনে সক্ষম হলেও ঠিক যুৎসই না)। আরেকটা সুবিধা ছিলো, অফলাইনে আমার তেমন কোন কালেকশন বা কিছু ছিলো না, যেকারণে প্রায়সই পুরো হার্ডডিস্ক মুছে ফেলা তেমন ব্যাপার ছিলো না আমার জন্য (যদিও কিছু জিনিস নতুন করে সেটআপ তো করতেই হত)। আর মাল্টিবুটিংও করতাম, একসাথে ৬টা পর্যন্ত ডিস্ট্রো ইন্সটল করেছি। বাই দা ওয়ে, সাধারণভাবে অবশ্যই এগুলো ভালো প্রাক্টিস না, পিসিকে প্রোডাক্টিভ কাজে ইউজ করতে হলে নেভার বি লাইক মি। এতক্ষণ যে টার্মগুলো ব্যবহার করেছি, অনেকের হয়ত পূর্বপরিচিতি নেই। পরের কথায় যাওয়ার আগে টার্মগুলোর অর্থ বলে রাখি। লিনাক্স কার্নেলকে ভিত্তি করে উবুন্টু, লিনাক্স মিন্ট, পপ ওএস, ফিডোরা এরকম…

আরো পড়ুনGnome 41 এর সাথে Fedora 35 কতটা ভালো?
solus

Solus: An Awesome Snappy Distro Developed Independently

Assalamu Alaikum. Hope you all are doing great by the grace of Allah SWT. First, let us get introduced with Solus. Solus is a Linux distro that is developed independently. By independent I’m meaning that Solus is not based on Ubuntu, Arch, Fedora or any other Linux distribution. This makes Solus a very interesting one to try. However, this also rises a question that how well built Solus is and in my experience, Solus is solid. Bangla Version: সোলাস: স্বাধীনভাবে ডেভেলোপকৃত একটি ফাস্ট, স্ন্যাপি লিনাক্স ডিস্ট্রো Solus is primarily targeted to the home users, e.g. it’s made to do some multimedia consuming, official works, perhaps some development and productivity things, content creation or gaming and other things generally done by regular PC users. Solus was one of the fastest and snappiest distro I’ve ever experienced, if not the fastest and the snappiest. Starting, shutting down, opening or closing apps and…

আরো পড়ুনSolus: An Awesome Snappy Distro Developed Independently

কেডিই প্লাজমার ভালো লাগা কিছু ব্যাপার

লিনাক্স ডেস্কটপ এনভায়রনমেন্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় তিনটি নামের একটি হলো কেডিই প্লাজমা (KDE Plasma, অন্য দুটো Gnome ও XFCE)। প্লাজমা ডেস্কটপের জন্য অবশ্যই কেডিই কমিউনিটি প্রশংসার দাবি রাখে। Krita, Kdenlive, KDE Connect, Elisa, GCompris সহ আরো অনেক দারুণ কিছু ওপেন সোর্স অ্যাপ্লিকেশন তৈরি হয়েছে কেডিই কমিউনিটির মাধ্যমে। ফিচার, ফাংশনালিটি, ফ্রেন্ডলিনেস, কাস্টমাইজেবিলিটি, অপটিমাইজেশন সবদিকে কেডিই প্লাজমা ক্রমাগত আরো অসাধারণ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরদুয়েকের মধ্যে লক্ষ্যণীয় উন্নতি হয়েছে প্লাজমা এক্সপ্রেরিয়েন্সে। অনেকরকম ফিচার, ইফেক্ট, এনিমেশন সত্ত্বেও কেডিই বেশ রিসোর্স এফিশিয়েন্ট, যেটা কয়েক বছর আগেও তারা এতটা ছিলো না। XFCE বা মাতের মত লাইটওয়েট অবশ্যই কেডিই নয় এবং লাইটওয়েট হওয়াটা কেডিই-র মূল বিষয়ও নয়, তারপরও আইডল সিচুয়েশনে এখন কিন্তু কেডিই আর এক্সএফসিই প্রায় একইরকম র‌্যাম কনজাম্পশন করে, যেটা একটা চমৎকার বিষয়। দুই জিবি র‌্যামের পিসিতেও কেডিই বেশ সুন্দরভাবে ব্যবহারযোগ্য। বিভিন্ন লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে কেডিই প্লাজমা ডেস্কটপসহ। উবুন্টুভিত্তিক KDE Neon ওএসটি কেডিই কমিউনিটি কতৃক মেইনটেন হয়। এছাড়া আছে Kubuntu, Garuda Linux, Manjaro…

আরো পড়ুনকেডিই প্লাজমার ভালো লাগা কিছু ব্যাপার

সোলাস: স্বাধীনভাবে ডেভেলোপকৃত একটি ফাস্ট, স্ন্যাপি লিনাক্স ডিস্ট্রো

আসসালামু আলাইকুম। সোলাসের সাথে প্রথমে পরিচিত হওয়া যাক। সোলাস অর্থ নিঃসঙ্গ বা একাকী লোগোটা সম্ভবত কোন পালতোলা জাহাজের প্রতিনিধিত্ব করে। আসলে এটা স্বাধীনভাবে ডেভেলোপকৃত একটি রোলিং রিলিজ লিনাক্স ডিস্ট্রো। স্বাধীনভাবে মানে হলো এটা অন্য কোন লিনাক্স ডিস্ট্রো যেমন ডেবিয়ান, উবুন্টু, আর্চ বা ফিডোরা কোনটির ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়নি। সাধারণত এধরণের একটা ভিত্তি বা বেজ থাকলে ভরসা রাখাটা সহজ হয়, অন্যদিকে স্বাধীনভাবে ডেভেলোপ হওয়ার ব্যাপারটা বেশ ইন্টেরেস্টিং হওয়ার সাথে কতটা well built, এটা নিয়ে একটা প্রশ্ন তোলার সুযোগ করে দেয়। Copyright © Solus Project. সোলাসের ক্ষেত্রে এক্সপ্রেরিয়েন্স বেশ সলিড ছিলো, তারা যথেষ্ট ভালোভাবে ওএসটি ডেভেলোপ করেছে। এটা তৈরি করা হয়েছে সাধারণ হোম ইউজারদের উপযোগী করে। বেশ কিছু ইন্টেরেস্টিং ব্যাপার এখানে আছে। আমার চালানো ডিস্ট্রোগুলোর মধ্যে অন্যতম সবচেয়ে ফাস্ট এবং স্ন্যাপি এক্সপ্রেরিয়েন্স পেয়েছি সোলাসে। স্টার্ট আপ ও শাট ডাউন খুব দ্রুত এবং একইসাথে অ্যাপ ওপেনিংসহ বিভিন্ন টাস্কগুলো স্ন্যাপি ফিল দেয়। আমার মনে হয় স্বাধীনভাবে বিল্ড হওয়া সোলাসের এই স্ন্যাপিনেসের অন্যতম কারণ,…

আরো পড়ুনসোলাস: স্বাধীনভাবে ডেভেলোপকৃত একটি ফাস্ট, স্ন্যাপি লিনাক্স ডিস্ট্রো

পপ ওএস ২১.০৪: নতুন কিছুর শুরু (কসমিক)

পপ ওএস (Pop!_OS) নিয়ে ভালো লাগা বা না লাগা এর আগে যা কিছু ছিলো, ২১.০৪ ভার্সনে এসে অনেক কিছুই বদলে গেছে। পপ ওএসে এতদিন ভ্যানিলা বা স্টক গ্নোম ডেস্কটপের যে ইনহেন্সড একটা এক্সপেরিয়েন্স পাওয়া যেত, তা পার্সোনালি আমার বেশ ভালো লাগতো। তবে ২১.০৪-এ এসে তারা ইন্টিড্রিউস করেছে কসমিক ডেস্কটপ, যেটা ঠিক নতুন কোন ডিই না, গ্নোম ডেস্কটপের আরো কাস্টমাইজড এক্সপেরিয়েন্স। ট্রেডিশনাল ডেস্কটপ এক্সপেরিয়েন্সের সাথে গ্নোম এক্সপেরিয়েন্স কিছুটা মিক্সআপ হয়ে গেছে পপ ওএসে। শুরুতে একটু নতুন করে অভ্যস্থ হতে হয়, নতুন একটা ওয়ার্কফ্লোতে মানিয়ে নিতে হয়। প্রাথমিকভাবে কসমিক নিয়ে আমার যেটা মনে হয়েছে, তারা তাদের ডেস্কটপকে আরো বেশি প্রোডাক্টিভ করতে চেয়েছে। পপ ওএস আগে থেকেই কীবোর্ডফ্রেন্ডলি। কসমিকে তারা এটাকে আরো রিফাইন্ড করেছে। তবে বিশেষভাবে মাউস এবং ট্র্যাকপ্যাড ফ্রেন্ডলি করার ব্যাপারটা এই ভার্সনের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক। পপ ওএস ২১.০৪-কে নিয়ে কথা বলতে হলে একটা কথা মনে রাখতে হবে, এখানে তারা একটি বড় রকম পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, যার সবে শুরু হলো। কাজেই সময়ের…

আরো পড়ুনপপ ওএস ২১.০৪: নতুন কিছুর শুরু (কসমিক)

পপ ওএস বা উবুন্টু ডকে আইকনে ক্লিক একশন হিসেবে মিনিমাইজ-সহ আরো ৮টি বিকল্প এনাবল করা (১ মিনিট টিউটোরিয়াল)

পপ ওএস ২১.০৪-এ তারা নতুন একটি ডক যুক্ত করেছে এবং উবুন্টুতে ডক আগে থেকেই ছিলো। উবুন্টুর ডকে কোন আইকনে ক্লিক করলে যদি একটি উইন্ডো ওপেন থাকে, তবে সেটি একটিভ হয়, একাধিক উইন্ডো ওপেন থাকলে উইন্ডোগুলো প্রদর্শিত হয়, যেখান থেকে প্রয়োজনীয়টি একটিভ করা যায়। পপ ওএসের ডকে একটি উইন্ডোর ক্ষেত্রে একটিভ হয়, একাধিক উইন্ডো হলে উইন্ডোগুলোর মধ্যে সাইকেল করে অর্থাৎ প্রতি ক্লিকে চক্রাকারে একেকটি উইন্ডো একটিভ করে। আমরা অনেকেই সাধারণত ফোকাসে থাকা উইন্ডো ক্লিক করে মিনিমাইজ করতে অভ্যস্থ, সেটা এখানে বাই ডিফল্ট হয় না। সেটিংসেও এটা পরিবর্তনের অপশন নেই। তবে উভয় ওএসের ডক-ই আসলে ড্যাশ টু ডক এক্সটেনশনের মডিফাইড ভার্সন, তাই একটা সিম্পল কমান্ডে ক্লিক একশন পরিবর্তন করে নেয়া যায়। আপনি যেটি চাইছেন, সেই কমান্ড ব্যবহার করুন: ক্লিক করলে ক্লিককৃত অ্যাপটি- ১. ফোকাস হবে, ফোকাসে থাকলে মিনিমাইজ হবে: gsettings set org.gnome.shell.extensions.dash-to-dock click-action ‘minimize’ ২. একটি উইন্ডো থাকলে ফোকাস/মিনিমাইজ হবে, একাধিক উইন্ডো থাকলে সবগুলো প্রিভিউ দেখাবে: gsettings set org.gnome.shell.extensions.dash-to-dock click-action ‘minimize-or-previews’ ৩.…

আরো পড়ুনপপ ওএস বা উবুন্টু ডকে আইকনে ক্লিক একশন হিসেবে মিনিমাইজ-সহ আরো ৮টি বিকল্প এনাবল করা (১ মিনিট টিউটোরিয়াল)

জরিন ওএস ১৬ এর প্রথম অনুভূতি (বিটা ভার্সন)

অনেক দীর্ঘ একটা সময় হয়ে গেলো, সম্ভবত প্রায় ৮ মাস, পিসিতে নতুন কোন অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করা হয় না। আমার স্বাভাবিক স্বভাবের সাথে ব্যাপারটা যায় না। কেননা এমন দিনও আমার জীবনে কম নয়, যখন একদিনে দুতিনটা ওএস ইন্সটল করেছি। কিন্তু এখন অনেকটা স্ট্যাবল হয়ে এসেছি। পিসিতে আসলে উবুন্টু, পপ ওএস আর ডিপিন ইন্সটল করা ছিলো এই সময়টাতে, যার মধ্যে মূলত ব্যবহার করতাম ডিপিন। এখন জরিন ওএস সহ মোট ৪টি ওএস ইন্সটল আছে পিসিতে। জরিন ওএস ১৬ কিন্তু এখনো ফাইনাল রিলিজ হয়নি, মানে বিটা স্টেজে আছে। আর অবশ্যই আমি যেটা চালাচ্ছি, সেটা হলো কোর এডিশন, যেটা ফ্রি। জরিন ওএসের কিন্তু একটি পেইড আল্টিমেট এডিশনও আছে, এতে কিছু এক্সট্রা অ্যাপস ও ফিচার থাকে, তবে বিটা ভার্সন হিসেবে শুধু কোর এডিশনটিই এভেইলেবল, আর আমার পকেটে ডলারও নেই। যতটুকু ব্যবহার করেছি, জরিন ওএস ১৫ থেকে অনেক নতুনত্ব এবং ইমপ্রুভমেন্ট অবশ্যই এতে আছে। তবে এর আগে জরিন ওএস ১২ থেকে ১৫-তে (১৩, ১৪ নাম্বার স্কিপ…

আরো পড়ুনজরিন ওএস ১৬ এর প্রথম অনুভূতি (বিটা ভার্সন)

উইন্ডোজ পিসিতে ভার্চুয়ালবক্সে উবুন্টু ইন্সটলেশন

লিনাক্স ইন্সটলেশনের জন্য অন্যতম একটি নিরাপদ রাস্তা হলো ভার্চুয়ালবক্স ব্যবহার। শুধু লিনাক্স না, এতে উইন্ডোজ, বিএসডি এগুলোও ইন্সটল করা যায়। এতে পিসির ডাটা হারানোর বা হার্ডডিস্ক ভুলক্রমে ফরমেট করে ফেলার আশঙ্কা থাকে না। অবশ্য সত্যিকার অর্থে লিনাক্স চালাতে হলে ভার্চুয়ালবক্স আদর্শ নয়, কেননা এখানে আসলে পিসির রিসোর্স দুটো ওএসের মধ্যে শেয়ার হয়। বিশেষ করে পিসির কনফিগারেশন যদি তেমন ভালো না হয়, ভার্চুয়ালবক্সের এক্সপেরিয়েন্স মোটেও ভালো হবে না। যাইহোক, শুধু যদি কিছুটা টেস্ট নেয়ার জন্য হয়, সেক্ষেত্রে ভার্চুয়ালবক্স একটি ভালো উপায় হতে পারে। আমি এখানে দেখাবো কীভাবে খুবই সহজে ভার্চুয়ালবক্সে লিনাক্স ইন্সটল করা যেতে পারে। এখানে আমি উবুন্টু ব্যবহার করছি, অন্য লিনাক্সের ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে মূল ইন্সটলেশনের ক্ষেত্রে। তবে সেটা আশা করি খুব একটা সমস্যা হবে না (যদি না আর্চ বা জেন্টু টাইপের কিছু ইন্সটল করতে যান)। প্রথমে আমাদের যেটা করতে হবে, তা হলো ভার্চুয়ালাইজেশন টেকনোলজি এনাবল করা। এটার প্রসেস ম্যানুফ্যাকচারারভেদে একটু ভিন্ন হয়ে থাকে। যাইহোক, বায়োস সেটআপে এই…

আরো পড়ুনউইন্ডোজ পিসিতে ভার্চুয়ালবক্সে উবুন্টু ইন্সটলেশন

উবুন্টু ২১.০৪ রিলিজ ডেট, নতুন ফিচার এবং আরো…

আমাদের নতুন লোমশ বন্ধুর সাথে পরিচয় হয়েছে তো? সে কিন্তু আসতে চলেছে এ মাসেই! চলুন, তার কথা জেনে নিই। কোডনেম ও রিলিজ ডেট ৬ মাস পরপর রিলিজের স্ট্রিক্ট শিডিউল মেইনটেন করে উবুন্টুর পরবর্তী ভার্সন উবুন্টু ২১.০৪ রিলিজ হতে চলেছে এ মাসেই, এবং ইতোমধ্যেই, পহেলা এপ্রিল তারা এর বিটা ভার্সন উন্মুক্ত করেছে। এই ভার্সনের কোডনেম রাখা হয়েছে Hirsute Hippo বা লোমশ জলহস্তী। প্রসঙ্গত, উবুন্টুর কোডনেমগুলো দুশব্দের হয়, যার প্রথমটি বিশেষণ ও পরেরটি বিশেষ্য এবং শব্দদুটির প্রথম বর্ণ আগের ভার্সনের কোডনেমে ব্যবহৃত বর্ণের পরবর্তী বর্ণ হয়। ৯ মাস সাপোর্ট Hirsute Hippo উবুন্টুর একটি নন-এলটিএস রিলিজ, তাই এখানে ৯ মাস সাপোর্ট থাকছে এবং এরপর ব্যবহারকারীদের নিরাপদ থাকতে অক্টোবারে প্রকাশিতব্য পরবর্তী রিলিজ ২১.১০-তে আপডেট করে নিতে হবে। উল্লেখ্য, উবুন্টু দুবছর অন্তর এলটিএস বা লং টার্ম সাপোর্ট রিলিজ করে থাকে, সে ভার্সনগুলোতে ৫ বছর সাপোর্ট দেয়া হয়। পরবর্তী এলটিএস রিলিজ হওয়ার কথা ২২.০৪। ওয়ালপেপার উবুন্টু 8.04 Hardy Heron-এর মাসকটসহ ওয়ালপেপারটি অনেকের কাছেই উবুন্টুর সেরা ওয়ালপেপার…

আরো পড়ুনউবুন্টু ২১.০৪ রিলিজ ডেট, নতুন ফিচার এবং আরো…

আসছে JingOS চালিত লিনাক্স স্মার্টফোন? (অথবা হয়ত এখনই না…)

JingOS খুব সম্ভবত অনেকের কাছেই অপরিচিত হয়ে থাকবে এবং খুব সম্ভবত লিনাক্স স্মার্টফোন বিষয়টিও কারো কারো কাছে নতুন। ওয়েল, যারা লিনাক্সের সাথে তেমন পরিচিত নন, তাদের জন্য আমার বিশেষ সাজেশন থাকবে এই লেখাটি। আর আমরা যদি লিনাক্স ফোনের কথা বলি, এখনো লিনাক্স ফোন ততটা জনপ্রিয় হয়নি। তবে দুটো ডিভাইস কিন্তু ইতোমধ্যে অনেকটা অগ্রসর হয়েছে- PinePhone, যেখানে ডিফল্ট ওএস হিসেবে Plasma Mobile-কে বেছে নেয়া হয়েছে এবং Librem 5, যেখানে তারা নিজেদের ডেভেলোপকৃত PureOS ব্যবহার করছে। এদের নিয়ে আরো জানতে সিম্পলি অনলাইনে সার্চ করুন, আমরা JingOS-এর প্রসঙ্গে আসি। JingOS ট্যাবলেটের জন্য বিশেষায়িত প্রথম লিনাক্স ওএস এবং এটি সিক্রেট নয় যে, তারা আইপ্যাড থেকে ইন্সপিরেশন নিয়ে JingOS তৈরি করেছেন। এখানে KDE Plasma ডেস্কটপের কাস্টমাইজড ভার্সন ব্যবহার হয়। এখন পর্যন্ত এটি আর্লি ডেভেলোপমেন্টে আছে, অবশ্যই দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য মোটেও তৈরি নয়। এর সর্বশেষ ভার্সনটি হলো v0.8। তো যাই হোক, সম্প্রতি তারা তাদের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে একটি স্মার্টফোনে JingOS v0.6 ডেমো…

আরো পড়ুনআসছে JingOS চালিত লিনাক্স স্মার্টফোন? (অথবা হয়ত এখনই না…)

নতুন ইন্সটলার নিয়ে কাজ করছে উবুন্টু, দেখা মিলতে পারে ২১.১০ ভার্সনে!

উবুন্টুর বর্তমান ইন্সটলার, আমাদের অতি পরিচিত ‘Ubiquity’ প্রথম আনা হয়েছিলো উবুন্টু ১০.০৪-এ, এবং এখন, প্রায় ১১ বছর পর, উবুন্টু কাজ করছে সম্পূর্ণ নতুন, আরো আধুনিক একটি ইন্সটলার নিয়ে। অক্টোবরে প্রকাশিতব্য উবুন্টু ২১.১০-তে একটি প্রাথমিক সংস্করণ পরীক্ষামূলকভাবে আনার এবং এরপর পরবর্তী এলটিএস ২২.০৪-এ নতুন ইন্সটলার নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। উবুন্টু ডিসকোর্সে নতুন ইন্সটলার নিয়ে কিছু পরিকল্পনা ও তথ্য শেয়ার করেছে উবুন্টু ডেস্কটপ লিড মার্টিন উইনপ্রেস। নতুন ইন্সটলার নিয়ে আসার মূল কারণ হলো Ubiquity সময়ের বিবেচনায় এখন পুরনো হয়ে গেছে, এবং বলা হচ্ছে, এর আদিকালের কোডবেজের জন্য একে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। উবুন্টু ডেস্কটপ টিম ও ক্যানোনিকেল ডিজাইন টিম এখানে কাজ করছে, নতুন এই ইন্সটলারে ফ্লাটার (Flutter) ও কার্টিন (Curtin) ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে। তাছাড়া উবুন্টু সার্ভারের জন্য তৈরি Subiquity ইন্সটলার থেকে এটি সহায়তা নিতে পারে। Ubiquity বেশ চমৎকার একটি ইন্সটলার, তবে আরো আধুনিক কিছু দিয়ে এটিকে রিপ্লেস করাটা সম্ভবত প্রয়োজন ছিলো। এক্ষেত্রে আরো বেশ কিছু ইন্সটলার ইতোমধ্যেই আছে, যেমন, মানজারোর Calamares…

আরো পড়ুননতুন ইন্সটলার নিয়ে কাজ করছে উবুন্টু, দেখা মিলতে পারে ২১.১০ ভার্সনে!

উবুন্টু ২১.০৪-এ আবারো ডিফল্ট হচ্ছে ওয়েল্যান্ড!

এর আগে উবুন্টু ১৭.১০-তে উবুন্টু ডিসপ্লে সার্ভার হিসেবে X.Org থেকে Wayland-এ সুইচ করে। তবে তখনও সবকিছু ওয়েল্যান্ডের জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত না হওয়ায় পরবর্তী এডিশনে পুনরায় ডিফল্ট হিসেবে X.Org-এ ফিরে আসে উবুন্টু। তবে এবার তারা আবারো ওয়েল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অর্থাৎ, পরবর্তী উবুন্টু ২১.০৪ সংস্করণে ডিফল্ট ডিসপ্লে ম্যানেজার থাকার কথা ওয়েল্যান্ড। ওয়েল্যান্ড একটি ডিসপ্লে সার্ভার প্রটোকল, যা এতদিন ব্যবহৃত এক্স.অর্গের একটি সিম্পল ও মডার্ন রিপ্লেসমেন্ট। যদি কারো তাত্ত্বিকভাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার ইচ্ছে থাকে, সেক্ষেত্রে উইকিপিডিয়া আপনাকে সাহায্য করতে পারে। তুলনামূলক নতুন হওয়ায় শুরুতে ওয়েল্যান্ড নিয়ে কিছু সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি অবশ্যই হতে হয়েছে, যেমন উবুন্টু ১৭.১০-তে জিপার্টেডসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় অ্যাপ ব্যবহারের জন্য এক্স.অর্গ সেশনে সুইচ করে নিতে হত। তবে ওয়েল্যান্ড খুব দ্রুত ডেভেলোপ হচ্ছে এবং সামনের দিনে লিনাক্সের জগতে হয়ত এটাই সবচেয়ে প্রচলিত ডিসপ্লে সার্ভার হিসেবে জায়গা করে নিতে পারে। ফিডোরাসহ কিছু ডিস্ট্রো আরো আগে থেকেই ডিফল্ট ওয়েল্যান্ড ব্যবহার করে আসছে। এক্স.অর্গ সময়ের সাথে যে ওয়েল্যান্ড দিয়ে রিপ্লেস হয়ে যাবে, এটা…

আরো পড়ুনউবুন্টু ২১.০৪-এ আবারো ডিফল্ট হচ্ছে ওয়েল্যান্ড!