টিউটোরিয়াল

ডিজাইন করা নিয়ে বিস্তারিত ধারণা ও গাইডলাইন

আসসালামু আলাইকুম। বেসিক ডিজাইন করতে পারাটা একটা দরকারি সফট স্কিল। আমি সেই অর্থে কোন ডিজাইনার না- কিন্তু ডিজাইনার না হলেও আমাদের অনেকসময়ই টুকটাক ডিজাইন করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। এই লেখাটা সে জায়গা থেকেই, যেন প্রয়োজনে ডিজাইন নিজে থেকে করতে পারেন। এছাড়া কীভাবে এই স্কিল আরেকটু ডেভেলোপ করা যায়, সেজন্য কিছু নির্দেশনা দেয়ারও চেষ্টা করব ইন শা আল্লাহ। Raster গ্রাফিক্স ও Vector গ্রাফিক্স প্রথমে আমি সহজভাবে Raster (বা Bitmap) গ্রাফিক্স ও Vector গ্রাফিক্সের পার্থক্য উপস্থাপন করতে চাই, কেননা এই ধারণাটুকু থাকলে কিছু ব্যাপার বুঝতে সুবিধা হবে। রাস্টার গ্রাফিক্স পিক্সেলের সমন্বয়ে তৈরি হয়। পিক্সেল সহজভাবে বললে এক রঙের বর্গাকার ব্লক। যখন একটি ছবি যথেষ্ট জুম করা হবে, তখন এই পিক্সেলগুলো আলাদাভাবে দৃশ্যমান হবে। ভেক্টর গ্রাফিক্স বিভিন্ন জ্যামিতিক আকৃতি- যেমন পয়েন্ট, লাইন, কার্ভ কিংবা বহুভুজের সাহায্যে ডিফাইন করা হয়। রাস্টার গ্রাফিক্সে একটি বৃত্তকে যদি জুম করা হয়, তাহলে দেখা যাবে অনেকগুলো পিক্সেল তথা বর্গাকার ব্লক মিলে বৃত্তটি তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে ভেক্টর গ্রাফিক্সে একটি…

আরো পড়ুনডিজাইন করা নিয়ে বিস্তারিত ধারণা ও গাইডলাইন

ফায়ারফক্সে হোমপেজে ওয়েবসাইট পিন করার পদ্ধতি (১ মিনিট টিউটোরিয়াল)

খুব সহজ কিছু জিনিস কখনো একদম চোখের সামনে থেকেও দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। আমারও সেই অবস্থা হয়েছিলো ফায়ারফক্সের হোমপেজে কিছু সাইট পিন করতে গিয়ে। আমি জাস্ট খুঁজে পাচ্ছিলাম না নতুন সাইট পিন করার অপশন কোথায় আছে। ওয়েব সার্চ করেও যথাযথ রেজাল্ট পাচ্ছিলাম। তাই ফাইনালি যখন এটা ফাইন্ড আউট করলাম, তখন মনে হলো একটা ছোট্ট টিউটোরিয়াল লিখে ফেলা-ই যায়। টিউটোরিয়ালটি অ্যাপ্লিকেবল হবে যদি হোমপেজ বা নিউ ট্যাব হিসেবে Firefox Home সিলেক্ট করা থাকে, যেটা ফায়ারফক্সে ডিফল্ট। পেজের ওপরে ডান কোণে গিয়ার আইকন অথবা Settings > Home থেকে হোমপেজ কাস্টমাইজেশনের কিছু অপশন আছে। এর মধ্যে Shortcut সেকশনটিতে বিভিন্ন সাইটের কুইক একসেস আইকন থাকে। এমনিতে বেশি ভিজিট হওয়া সাইটগুলো থাকে এখানে। কোন আইকনের এডিট বাটনে ক্লিক করে সেটি পরিবর্তন করে কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটের URL প্রদান করতে হবে। সাথে টাইটেল ও ইমেজও পরিবর্তন করা যেতে পারে। রিঅ্যারেঞ্জ বা এডিট করা আইকনগুলো পিন হয়ে থাকবে। ডিফল্ট অবস্থায় ফেরাতে চাইলে আনপিন করতে হবে। শর্টকাট সেকশন থেকে বাদ দিতে…

আরো পড়ুনফায়ারফক্সে হোমপেজে ওয়েবসাইট পিন করার পদ্ধতি (১ মিনিট টিউটোরিয়াল)

ফেসবুকে ইমোজিতে রূপান্তর না করে :‌), :‌P লিখবেন যেভাবে এবং টেলিগ্রামে নন-এনিমেটেড ইমোজি পাঠানো ও বাংলায় র‌্য লেখা- অনেক সমস্যার এক সমাধান!

ইউনিকোডের Zero Width Joiner (ZWJ) ও Zero Width Non-Joiner (ZWNJ) সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। অথচ ক্যারেক্টারগুলোর অনেক উপযোগিতা রয়েছে প্রতিদিনের ব্যবহারে। ফেসবুকে ইমোজি কোডগুলো ইমোজিতে রূপান্তর না করে লেখা, টেলিগ্রামে সাধারণ আকারের নন-এনিমেটেড ইমোজি পাঠানো, বাংলায় র‌্য লেখা কিংবা যুক্তবর্ণে পরিণত না করে মাঝখানে ্ যুক্ত করাসহ অনেক প্রয়োজন পূর্ণ করতে পারে এই ক্যারেক্টারদুটো। Zero Width থেকে বোঝা যাচ্ছে, ক্যারেক্টারগুলোর প্রস্থ শূন্য, অর্থাৎ, এটা বাড়তি কোন স্পেস নেয় না। বাংলাসহ ইন্দো-আর্য ভাষাগুলোসহ আরো কিছু ভাষাতে এদের ব্যবহার লক্ষ্যণীয়। যদি সাধারণভাবে ষ+্+ম লেখা হয়, তবে তা ষ্ম হিসেবে দেখায়। নিয়নবাতিতে ব্যবহৃত ফন্ট ‘Hind Siliguri’-তে ষ+্+ZWJ+ম আর ষ+্+ZWNJ+ম একইরকম দেখায়- ষ্‍ম, ষ্‌ম। কিন্তু অন্য ফন্টে আপনি পার্থক্য দেখতে পাবেন। বাংলায় র্ দিয়ে রেফ লেখা হয়, আবার ্‌য দিয়ে ্য লেখা হয়। তাই র‌্য লিখতে চাইলে তা র্য হয়ে যায়। কিছু সফটওয়্যারে এজন্য বিকল্প পদ্ধতি আছে- যেমন রিদ্মিক কীবোর্ড র‌্য একটি বাটন রয়েছে, অভ্র কীবোর্ড শুরুতে র্+য লিখলে তা র‌্য অটোমেটিকলি নিয়ে…

আরো পড়ুনফেসবুকে ইমোজিতে রূপান্তর না করে :‌), :‌P লিখবেন যেভাবে এবং টেলিগ্রামে নন-এনিমেটেড ইমোজি পাঠানো ও বাংলায় র‌্য লেখা- অনেক সমস্যার এক সমাধান!

ক্যালকুলেটর (পর্ব ৫): সংখ্যা পদ্ধতির রূপান্তর ও লজিকাল অপারেশন

This entry is part 5 of 5 in the series ক্যালকুলেটর

Casio fx-991EX-এ সংখ্যা পদ্ধতি সংক্রান্ত অঙ্ক করার MENU থেকে 3: Base-N মোড নির্বাচন করতে হবে। এই মোডে একটা সীমাবদ্ধতা হলো এখানে ভগ্নাংশ সংখ্যা নিয়ে কাজ করা করা যায় না। এটা MS, ES ও EX সিরিজের সমর্থিত সব ক্যালকুলেটরের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। পূর্ণসংখ্যার বিভিন্ন সংখ্যা পদ্ধতির পূর্ণ সংখ্যার রূপান্তর ও অঙ্ক এই মোডে খুব সহজে করা যায়। এখানে নীল রঙে DEC, HEX, BIN ও OCT চিহ্নিত বাটনগুলো ডেসিমাল, হেক্সাডেসিমাল, বাইনারি ও অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিতে পরিবর্তন করার জন্য। Base-N মোডে বাটনগুলো সরাসরি এই কাজে ব্যবহার হবে, SHIFT বা ALPHA ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। হেক্সাডেসিমাল মোডে গোলাপি চিহ্নিত A, B, C, D, E, F ব্যবহার করা যাবে। এখানেও শুধু বাটনগুলো প্রেস করতে হবে, তার আগে SHIFT বা ALPHA প্রেস করতে হবে না। অক্টাল সংখ্যা 77-কে ডেসিমালে রূপান্তরের জন্য- OCT সিলেক্ট করে 77 লিখে = প্রেস করতে হবে। এরপর ডেসিমাল সিলেক্ট করতে হবে। অথবা আরেকটি উপায় আছে। OPTN থেকে একবার ডাউন অ্যারো কী চাপলে d,…

আরো পড়ুনক্যালকুলেটর (পর্ব ৫): সংখ্যা পদ্ধতির রূপান্তর ও লজিকাল অপারেশন

ক্যালকুলেটর (পর্ব ৪): অসমতার সমাধান নিমিষেই!

This entry is part 4 of 5 in the series ক্যালকুলেটর

আগের পর্বে আমরা বিভিন্ন রকম সমীকরণের সমাধান করার পদ্ধতি দেখেছি, এই পর্বে দেখবো কীভাবে অসমতা সমাধান করতে হয়। Casio fx-991EX-এ দ্বিঘাত, ত্রিঘাত অথবা চতুর্ঘাত অসমতার সমাধান করা যায়। আমরা একটি অসমতা নিই, x3 + 4×2 + x – 6 ≥ 0 অসমতার সমাধানের জন্য MENU থেকে B: Inequality নির্বাচন করতে হবে। আমাদের অসমতায় x এর সর্বোচ্চ ঘাত ৩, তাই Polynomial Degree 3 নির্বাচন করতে হবে। পরের ধাপে আমাদের সমস্যাটি ax3+bx2+cx+d≥0 আকারে রয়েছে, তাই 3 নির্বাচন করতে হবে। এরপর x বিভিন্ন ঘাতের সহগ ও ধ্রুবপদের মানের ঘরগুলো পূরণ করতে হবে। সবশেষে ‘=’ চাপলে আমাদের উত্তর চলে আসবে।

আরো পড়ুনক্যালকুলেটর (পর্ব ৪): অসমতার সমাধান নিমিষেই!

গিম্প ব্যবহার করে ছবি থেকে অনাকাঙ্খিত অংশ মুছে ফেলার টিউটোরিয়াল

শাহরিয়ার নাজিম রিফাতের লেখা মেমোরি কার্ড বিষয়ক পোস্টের জন্য একটা ফিচার ছবি খুঁজছিলাম। পিক্সাবে-তে নিচের ছবিটা পেলাম। পোস্ট যেহেতু মেমোরি কার্ড নিয়ে, সিম কার্ড এখানে অপ্রাসঙ্গিক। ভালো কথা হলো গিম্প (GIMP)-এর একটি প্লাগইন ব্যবহার করে খুব সহজে ছবি থেকে এরকম কোন কিছু রিমুভ করে ফেলা যায়। গিম্পের সাথে অনেকেরই পরিচয় থেকে থাকবে, তবে কারো কারো কাছে অপরিচিত হতে পারে। গিম্প একটি ফ্রি ফটো এডিটিং সফটওয়্যার, যা কাজের দিক থেকে অনেকটা ফটোশপের অনুরূপ। গিম্প নিয়ে জানতে আমাদের এই লেখাটি দেখুন। গিম্পে সরাসরি ছবি থেকে কোন অংশ রিমুভ করার জন্য যে প্লাগইনটি ব্যবহার করা হচ্ছে, তা হলো Resynthesizer। ইন্সটলেশন উইন্ডোজ গিম্প ইন্সটলের পর এখান থেকে প্লাগইনটি ডাউনলোড করে নিয়ে এক্সট্রাক্ট করে এক্সট্রাক্টকৃত ফোল্ডারে থাকা ফাইলগুলো C:\Program Files\GIMP 2\lib\gimp\2.0\plug-ins ফোল্ডারে রাখুন। লিনাক্স লিনাক্সের মধ্যে আর্চভিত্তিক ডিস্ট্রো ব্যবহার করলে AUR থেকে gimp-plugin-resynthesizer ইন্সটল করতে পারেন। তবে উবুন্টুর ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক ভার্সনগুলোতে Python 3 রয়েছে, যেখানে Resynthesizer প্লাগইনে ব্যবহার হয়েছে Python 2। তাই রিপোজিটরীতে থাকা ভার্সনে…

আরো পড়ুনগিম্প ব্যবহার করে ছবি থেকে অনাকাঙ্খিত অংশ মুছে ফেলার টিউটোরিয়াল

ক্যালকুলেটর (পর্ব ৩): সাধারণ, বহুপদী ও যুগপৎ সমীকরণ সমাধান

This entry is part 3 of 5 in the series ক্যালকুলেটর

এই পর্বে ক্যালকুলেটরে বিভিন্ন ধরণের সমীকরণ সমাধানের পদ্ধতি দেখানো হবে। এই সিরিজের জন্য বরাবরের মতই আমরা Casio fx-991EX ব্যবহার করছি। SOLVE ফাংশন ব্যবহার আমরা একটা সমীকরণ নিলাম- সমীকরণটা দেখতে যেমনই হোক, এটা একটা একঘাত সমীকরণ, এবং একটা মাত্র সমাধান আছে, যেটা বাস্তব সংখ্যা। এরকম ক্ষেত্রে SOLVE ফাংশনটি বেশ কাজের। ক্যালকুলেটরটি যদি অন্য কোন মোডে থাকে তবে প্রথমে MENU থেকে 1:Calculate নির্বাচন করে নিতে হবে। এরপর সাধারণভাবে সমীকরণটি ক্যালকুলেটরে লিখতে হবে, ‘=’ লেখার জন্য ALPHA + CALC ব্যবহার করতে হবে। তারপর SHIFT + SOLVE চাপতে হবে। পরের ধাপে x এর একটা মান দিতে হবে, বাই ডিফল্ট সর্বশেষ x এর সংরক্ষিত মান দেয়া থাকবে। CASIO-র প্রচলিত সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটরগুলো মূলত এক্ষেত্রে নিউটন-রাফসন পদ্ধতিতে সমাধান করে। যে মানটি এই ধাপে দেয়া হবে তা একটা স্টার্টিং পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার হবে। এখানে আনুমানিক কাছাকাছি মান দেয়া গেলে ক্যালকুলেটর দ্রুত হিসেব করতে পারবে, নাহলে সময় তুলনামূলক বেশি লাগতে পারে। মান দেয়ার পর অথবা ডিফল্ট অবস্থায় রেখে দিয়ে…

আরো পড়ুনক্যালকুলেটর (পর্ব ৩): সাধারণ, বহুপদী ও যুগপৎ সমীকরণ সমাধান

ল্যাপটপে লিনাক্স ব্যবহার করছেন? যেকোন ডিই-র জন্য যুক্ত করে নিন টাচপ্যাড জেসচার সমর্থন (X11)

যদি আপনার লিনাক্স সেটআপে ব্যবহৃত ডেস্কটপ এনভায়রনমেন্টে যথেষ্ট ভালো টাচপ্যাড জেসচার সমর্থন না থাকে এবং আপনি X11 বা X.org ডেস্কটপ ইউজার হোন, তবে আপনার জন্য ভালো খবর হলো touchegg ব্যবহার করে যেকোন লিনাক্স ডেস্কটপের জন্য জেসচার সমর্থন যুক্ত করে নিতে পারেন। তবে এটা শুধু X11 সার্ভারে কাজ করবে, ওয়েল্যান্ডের জন্য এটা নয়। আমি কেডিই প্লাজমা ব্যবহার করছি, বর্তমানে এতে জেসচার সাপোর্ট না থাকার মত, পরবর্তী 5.25 সংস্করণে এখানে বড় রকম ইমপ্রুভমেন্ট আসছে, তবে তা শুধু ওয়েল্যান্ডের জন্য। তো একারণে খুঁজছিলাম এখানে জেসচার যুক্ত করার কোন উপায় আছে কিনা এবং touchegg এর সন্ধান পেয়ে গেলাম। touchegg শুধু কেডিই প্লাজমা না, অন্য ডেস্কটপের সাথেও ব্যবহারযোগ্য। এখানে three finger ও four finger এর জন্য swipe ও pinch এবং two finger এর জন্য pinch জেসচার সমর্থন আছে। পাশাপাশি টাচ স্ক্রিনের জন্য মাল্টি ফিঙ্গার টাচ জেসচার রয়েছে। আরো চমৎকার হলো ওয়েব ব্রাউজার বা ভিন্ন ভিন্ন অ্যাপে থাকলে আলাদা জেসচার সেট করা যায়। অ্যাপটার ড্র-ব্যাক বলা…

আরো পড়ুনল্যাপটপে লিনাক্স ব্যবহার করছেন? যেকোন ডিই-র জন্য যুক্ত করে নিন টাচপ্যাড জেসচার সমর্থন (X11)

কোড না লিখে অ্যাপ তৈরি MIT App Inventor-এর সাথে

CSE Lab-এর সিলেবাস শেষ হয়েছিলো আগের ক্লাসেই, একারণে স্যার শেষ ক্লাসে একটু অন্যরকম কিছু শেখাতে চাইছিলেন, যেকারণে MIT App Inventor-এর সাথে আবারও দেখা হলো। আবারও বলছি কারণ আমার অ্যাকাউন্টে প্রজেক্টের তালিকায় ২০১৪ সালের একটা প্রজেক্ট খুঁজে পেলাম, এবং তখন প্রজেক্ট তৈরি পর্যন্ত গেলেও আদতে এর ব্যবহারের কিছুই বুঝিনি এবং সময়ের আবর্তে এর কথাও একদমই মনে ছিলো না। Android Studio-সহ এধরণের প্লাটফর্মগুলোর মত তত এডভান্সড এটি নয়, তবে যদি ওভাবে সিরিয়াস ডেভেলোপার হওয়ার চিন্তা কিংবা তত সময় নিয়ে শেখার ইচ্ছে না থাকে, তাহলে MIT App Inventor আসলে যথেষ্ট শক্তিশালী একটি প্লাটফর্ম। এটা ব্যবহার করা ও শেখা সহজ, তবে ভালো কিছু তৈরি করতে অবশ্যই আপনার কাছে সুন্দর আইডিয়া, প্রচেষ্টা ও ধৈর্য্য থাকতে হবে, এটা ঠিক কিছু সিলেকশন/চেকবক্স ধরে এগিয়ে গেলেই অ্যাপ তৈরি হয়ে যাবে, এরকম কোন প্লাটফর্ম নয়। টাইটেলে যেমনটা লিখেছি, MIT App Inventor ব্যবহার করতে কোড লেখার দরকার হয় না। তবে এটা মানে কিন্তু এই না যে এখানে প্রোগ্রামিং বা কোডিংয়ের…

আরো পড়ুনকোড না লিখে অ্যাপ তৈরি MIT App Inventor-এর সাথে

ফিডোরাতে ফ্র্যাকশনাল স্কেলিং (১ মিনিট টিউটোরিয়াল)

এর আগে আমি 1366*768 রেজ্যুলেশনে 18.5″ HD মনিটর ব্যবহারকারী ছিলাম, আমার নতুন ল্যাপটপ-এর মনিটরটি 15.6″ FHD, যেখানে অপটিমাল রেজ্যুলেশন 1920*1080। এখানে কনটেন্টগুলো ডিফল্ট স্কেলিংয়ে আমার অভ্যস্থতার তুলনায় বেশ ছোট বোধ হয়। কিন্তু এখন অবধি ফিডোরাতে ফ্র্যাকশনাল স্কেলিং বাই ডিফল্ট সাপোর্ট নেই দেখে কিছুটা হতাশই হলাম, সেটিংসে শুধু ১০০% ও ২০০% স্কেলিং অপশন রয়েছে, ১২৫% বা ১৫০% নয়। সমাধান সহজ। টার্মিনালে কমান্ড দিন- gsettings set org.gnome.mutter experimental-features “[‘scale-monitor-framebuffer’]” এরপর লগ আউট-লগইন করলে Settings > Display > Scale – এ ফ্র্যাকশনাল স্কেলিং অপশনগুলো চলে আসার কথা, না পেলে রিস্টার্ট করে দেখতে পারেন। আমার ক্ষেত্রে প্রথমে অপশনগুলো আসেনি, যদ্দুর মনে পড়ে লগ আউট-লগইনের পরেও, একারণে রিস্টার্টের কথাটা বললাম।   বাট ব্যাপারটা হলো এইটা আমার পছন্দের সল অনলাইনে আরো কিছু সমাধান পেলেও কাজ হয়নি আমার ক্ষেত্রে। যেটাতে সমাধান হলো (কোথায় পেয়েছিলাম খুঁজে পাচ্ছিনা) তা হলো Gnome Tweaks (Gnome Tweak Tool) ব্যবহার করে Fonts > Scaling Factor > 1.25 বা প্রিফার্ড ভ্যালু সেট করে দিতে…

আরো পড়ুনফিডোরাতে ফ্র্যাকশনাল স্কেলিং (১ মিনিট টিউটোরিয়াল)

ক্যালকুলেটর (পর্ব ২): Table মোড ব্যবহার (গ্রাফ আঁকতে খুবই কার্যকর!)

This entry is part 2 of 5 in the series ক্যালকুলেটর

ধরা যাক আমি y = x3 + x2 + x + 1 এর একটি গ্রাফ আঁকতে চাই, এটার জন্য x এর বিভিন্ন মানের জন্য আমাদের y বের করতে হবে। বারবার ক্যালকুলেটরে এডিট করে বিভিন্ন মান বের করাটা প্রচুর সময়ের ব্যাপার, আগের পর্ব অনুসরণ করে CALC ব্যবহার করা কিছুটা সহজ, কিন্তু আমরা আরো দ্রুত করতে পারি, আরো অনেক ইফেক্টিভ মেথডে করতে পারি। প্রথমে আমরা Mode-এ যাবো, এরপর Table মোডটি নির্বাচন করব। এই সিরিজের জন্য আমরা fx-991EX CLASSWIZ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করছি, এর সাথে ES সিরিজের কিছু ক্যালকুলেটরেও মোডটি থাকে। এরপর স্ক্রিনে f(x) এর মান লিখতে হবে। আমরা আমাদের সমীকরণে যেভাবে আছে সেভাবেই লিখবো, অর্থাৎ x3 + x2 + x + 1 এরপর = চাপবো। তারপর g(x) এর মান চাইবে, 991EX-এ একসাথে দুটি সমীকরণ নিয়ে কাজ করা যায়, কিন্তু আমাদের সমীকরণ এখানে একটি, তাই g(x) প্রয়োজন নেই, সরাসরি = চাপবো। এবার Table Range এর ভ্যালু দিতে বলা হচ্ছে। Start এর ঘরে লিখলাম -5,…

আরো পড়ুনক্যালকুলেটর (পর্ব ২): Table মোড ব্যবহার (গ্রাফ আঁকতে খুবই কার্যকর!)

নিজের হোস্টিংয়ে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি (ওয়ার্ডপ্রেস টিউটোরিয়াল – পর্ব ৩)

আগের দুটো পর্বে আমরা লোকালহোস্ট এবং ওয়ার্ডপ্রেস.কম ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করা দেখেছি, যেগুলো অধিকাংশ সময়ে আদর্শ উপায় নয়। সত্যিকারের একটা ওয়ার্ডপ্রেস সাইট করতে হলে, যেখানে সে ধরণের কোন সীমাবদ্ধতা থাকবে না, আমাদের দরকার হবে নিজের একটি ডোমেইন ও হোস্টিং। প্রথমে ডোমেইনের কথায় আসি। ডোমেইন নামের ক্ষেত্রে বর্তমানে সহস্রাধিক এক্সটেনশন রয়েছে, দামেও রয়েছে তারতম্য। আপনি হয়ত খেয়াল করেছেন অধিকাংশ ওয়েবসাইট .com ডোমেইন ব্যবহার করে। আসলে এর একটা বিশেষ ফেস ভ্যালু গড়ে ওঠেছে। তবে ভালো একটি নামের .com ডোমেইন এভেইলেবল পাওয়াটা সাধারণত বেশ কঠিন, কেননা দেখা যায় আগেই অন্য কেউ তা কিনে রেখেছে, বিশেষ করে আকর্ষণীয় ডোমেইন নেম উচ্চমূল্যে বিক্রির বেশ বড় মার্কেট আছে। .com এর বিকল্প হিসেবে .net বেশ জনপ্রিয়, এছাড়া .io, .co এগুলো এখন চলছে অনেকক্ষেত্রে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে .xyz দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। .org ডোমেইনটি সাধারণত অর্গানাইজেশনগুলো ব্যবহার করে। বাংলাদেশ বেজড হলে .com.bd বা অন্য কোন .bd ডোমেইনও নেয়া যেতে পারে, তবে আমার অভিজ্ঞতা থেকে .বাংলা সাধারণভাবে না…

আরো পড়ুননিজের হোস্টিংয়ে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি (ওয়ার্ডপ্রেস টিউটোরিয়াল – পর্ব ৩)

পপ ওএস বা উবুন্টু ডকে আইকনে ক্লিক একশন হিসেবে মিনিমাইজ-সহ আরো ৮টি বিকল্প এনাবল করা (১ মিনিট টিউটোরিয়াল)

পপ ওএস ২১.০৪-এ তারা নতুন একটি ডক যুক্ত করেছে এবং উবুন্টুতে ডক আগে থেকেই ছিলো। উবুন্টুর ডকে কোন আইকনে ক্লিক করলে যদি একটি উইন্ডো ওপেন থাকে, তবে সেটি একটিভ হয়, একাধিক উইন্ডো ওপেন থাকলে উইন্ডোগুলো প্রদর্শিত হয়, যেখান থেকে প্রয়োজনীয়টি একটিভ করা যায়। পপ ওএসের ডকে একটি উইন্ডোর ক্ষেত্রে একটিভ হয়, একাধিক উইন্ডো হলে উইন্ডোগুলোর মধ্যে সাইকেল করে অর্থাৎ প্রতি ক্লিকে চক্রাকারে একেকটি উইন্ডো একটিভ করে। আমরা অনেকেই সাধারণত ফোকাসে থাকা উইন্ডো ক্লিক করে মিনিমাইজ করতে অভ্যস্থ, সেটা এখানে বাই ডিফল্ট হয় না। সেটিংসেও এটা পরিবর্তনের অপশন নেই। তবে উভয় ওএসের ডক-ই আসলে ড্যাশ টু ডক এক্সটেনশনের মডিফাইড ভার্সন, তাই একটা সিম্পল কমান্ডে ক্লিক একশন পরিবর্তন করে নেয়া যায়। আপনি যেটি চাইছেন, সেই কমান্ড ব্যবহার করুন: ক্লিক করলে ক্লিককৃত অ্যাপটি- ১. ফোকাস হবে, ফোকাসে থাকলে মিনিমাইজ হবে: gsettings set org.gnome.shell.extensions.dash-to-dock click-action ‘minimize’ ২. একটি উইন্ডো থাকলে ফোকাস/মিনিমাইজ হবে, একাধিক উইন্ডো থাকলে সবগুলো প্রিভিউ দেখাবে: gsettings set org.gnome.shell.extensions.dash-to-dock click-action ‘minimize-or-previews’ ৩.…

আরো পড়ুনপপ ওএস বা উবুন্টু ডকে আইকনে ক্লিক একশন হিসেবে মিনিমাইজ-সহ আরো ৮টি বিকল্প এনাবল করা (১ মিনিট টিউটোরিয়াল)

ক্যালকুলেটর (পর্ব ১): CALC ফাংশন ব্যবহার

This entry is part 1 of 5 in the series ক্যালকুলেটর

আসসালামু আলাইকুম। সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটরের কিছু উপকারী টিউটোরিয়াল ইন শা আল্লাহ শেয়ার করা হবে এই সিরিজে। এখানে আমরা ব্যবহার করছি মূলত CASIO fx-991EX CLASSWIZ ক্যালকুলেটরটি, অন্য জনপ্রিয় মডেলগুলোর ক্ষেত্রে কিছু প্রক্রিয়া একটু ভিন্ন হতে পারে এবং সবকিছু কাজ না-ও করতে পারে। কেন আমি fx-991EX সাজেস্ট করে থাকি, তা আগের একটি পোস্টের বিশ্লেষণ করেছিলাম, দেখে নিতে পারেন। তো অনেক সময় আমাদের একই সমীকরণে কোন একটা রাশির ভিন্ন ভিন্ন মানের জন্য সমীকরণের মান বের করতে হয়। বাস্তব জীবনেও মাঝে মাঝে এমনটা প্রয়োজন হয়। অঙ্ক করার ক্ষেত্রে প্রায়সই x এর বিভিন্ন মানের জন্য y নির্ণয় করতে হয়। এধরণের সমস্যার সমাধানে বারবার এডিট করা থেকে CALC ফাংশন ব্যবহার অনেক কার্যকর উপায় (তবে TABLE মোড প্রায় সময়ই অধিক সুবিধাজনক, যা পরের পর্বে রয়েছে।) fx-991EX এ ৯টা পর্যন্ত চলকযুক্ত সমীকরণ নিয়ে হিসেব নিকেশ সম্ভব (A, B, C, D, E, F, x, y, M)। চলকগুলো লেখার জন্য প্রথমে ALPHA বাটনটি চেপে এরপর চলকর বাটন চাপতে হবে। যেমন ধরা…

আরো পড়ুনক্যালকুলেটর (পর্ব ১): CALC ফাংশন ব্যবহার

ওয়ার্ডপ্রেস.কম ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি (ওয়ার্ডপ্রেস টিউটোরিয়াল – পর্ব ২)

এর আগের আমরা দেখিয়েছি কীভাবে লোকালহোস্টে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। তবে সেটি শুধুমাত্র চর্চার জন্যই প্রযোজ্য, যদি সত্যিকারের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়, তাহলে আসলে লোকালহোস্ট ব্যবহার করা সমাধান নয়। একটা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরিতে সাধারণভাবে আমাদের ডোমেইন ও হোস্টিং প্রয়োজন, যা সাধারণত কিনে নিতে হয়। কিছু প্রোভাইডার বিনামূল্যে ডোমেইন বা হোস্টিং প্রোভাইড করে থাকে, তবে সেটা আসলে কোন কনভিনিয়েন্ট সমাধান হয় না সাধারণত, কেননা এই ফ্রি সার্ভিসগুলোতে প্রচুর লিমিটেশন থেকে থাকে। তবে আপনি যদি একটা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট বিনামূল্যে করতে চান, সেক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেস.কম-এর সেবা গ্রহণ করা একটা সমাধান হতে পারে, যদিও এখানেও যথেষ্ট লিমিটেশন আছে। এখানে একটা কনফিউশন পরিষ্কার করে নেয়া ভালো, তা হলো ওয়ার্ডপ্রেসের মূল ওয়েবসাইটটি হলো ওয়ার্ডপ্রেস.অর্গ (wordpress.org)। ওয়ার্ডপ্রেস.কম (wordpress.com) তাদের হোস্টিংয়ে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে, তবে এটা অফিসিয়ালি ওয়ার্ডপ্রেসের কোন প্রকল্প না বা সরাসরি সংযোগ নেই (যদিও পরোক্ষ কিছু সংযোগ আছে)। আরো জানতে এখানে দেখে নিতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেস.কম তাদের হোস্টিং ও সাবডোমেইনে একটি ওয়েবসাইট বিনামূল্যে করার সুযোগ দেয়।…

আরো পড়ুনওয়ার্ডপ্রেস.কম ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি (ওয়ার্ডপ্রেস টিউটোরিয়াল – পর্ব ২)

গ্নোম ডেস্কটপে স্ক্রিনশট নেয়া (১ মিনিট টিউটোরিয়াল)

উবুন্টু, জরিন, পপ ওএস সহ সাধারণভাবে সব গ্নোম ডেস্কটপযুক্ত ওএসেই খুব সহজে স্ক্রিনশট নেয়া যায়, আর স্ক্রিন রেকর্ড করাও খুবই সহজ। স্ক্রিন রেকর্ডের ১ মিনিট টিউটোরিয়াল আগেই লিখেছি, আজকে স্ক্রিনশট নেয়ার পদ্ধতি দেখাচ্ছি। গ্নোম ডেস্কটপে “Screenshot” নামের অ্যাপ ইনক্লুড করা-ই থাকে, ব্যবহার করা একদমই সহজ। তবে সুবিধাজনক হলো কীবোর্ড শর্টকাট ব্যবহার করা। পুরো স্ক্রিনের স্ক্রিনশট নেয়ার জন্য PrintScreen কী, বর্তমান উইন্ডোর স্ক্রিনশটের জন্য Alt+PrintScreen কী, আর সিলেকশনের স্ক্রিনশট নেয়ার জন্য Shift+PrintScreen কী। স্ক্রিনশট সরাসরি Pictures ফোল্ডারে সেভ হবে। যদি আপনি চান সেভ না হয়ে ক্লিপবোর্ডে কপি হয়ে থাকুক, তাহলে সাথে Ctrl প্রেস করুন। অর্থাৎ, পুরো স্ক্রিনের স্ক্রিনশট কপি করতে Ctrl+PrintScreen, বর্তমান উইন্ডোর জন্য Ctrl+Alt+PrintScreen, সিলেকশনের জন্য Ctrl+Shift+PrintScreen। শর্টকাটগুলো আপনি নিজের মত পরিবর্তন করে নিতে পারেন। Settings 🡲 Keyboard Shortcuts থেকে।

আরো পড়ুনগ্নোম ডেস্কটপে স্ক্রিনশট নেয়া (১ মিনিট টিউটোরিয়াল)

সহজেই ফেসবুকের মত একটি সোশ্যাল মিডিয়া তৈরি করে নিন (ওয়ার্ডপ্রেস টিউটোরিয়াল)

আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, তারপরও কেউ কেউ হয়ত প্রশ্ন তুলতে পারে, তাই শুরুতেই একটি সংশয় নিরসন করে নিই, আর তা হলো ফেসবুকের মত বলতে আমি অবশ্যই ফেসবুক গ্রেড বা ফেসবুক কোয়ালিটি বোঝাচ্ছি না, কেননা সেরকম কিছু অবশ্যই একটা টিউটোরিয়াল দেখে ‘সহজেই’ ‘প্রায় বিনামূল্যে’ করে ফেলা সম্ভব না, আমি বোঝাতে চাচ্ছি এমন একটা সাইট যেখানে এখানে একটা টাইমলাইন থাকবে, কেউ চাইলে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে, পোস্ট করতে পারবে, লাইক-কমেন্ট-শেয়ার মেসেজ করতে পারবে এরকম। প্রশ্ন আসতে পারে, কেন আমার নিজের একটি সোশ্যাল মিডিয়া তৈরি করার প্রয়োজন হবে, যেখানে ফেসবুক, টুইটার, টেলিগ্রামসহ অনেক অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ইতোমধ্যেই আছে এবং তাদের হিউজ ইউজারবেসও রয়েছে। এর উত্তর হলো, খুব সম্ভবত আপনার এর কোন প্রয়োজন নেই। তবে হয়ত আপনি শেখার জন্য বানাতে চাইতে পারেন, অথবা এমন কিছু হয়ত আপনার প্রয়োজন থাকতে পারে যা অন্য সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে সম্ভব না, যেমন হয়ত কোন প্রতিষ্ঠান বা কমিউনিটির জন্য এটা বিশেষায়িত করলেন বা শুধু নিজের বন্ধুদের মাঝে সীমিত রাখলেন বা এমন…

আরো পড়ুনসহজেই ফেসবুকের মত একটি সোশ্যাল মিডিয়া তৈরি করে নিন (ওয়ার্ডপ্রেস টিউটোরিয়াল)

গিম্পে লেখাকে ৩০ সেকেন্ডে দিন দারুণ ইফেক্ট (১ মিনিট টিউটোরিয়াল)

হঠাৎই এটা আবিষ্কার করলাম, ফিচার ছবির মত টেক্সট ইফেক্ট গিম্পে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে দেয়া যায়। জাস্ট প্রয়োজনীয় টেক্সট লিখতে হবে, দুবার লং শ্যাডো ফিল্টার অ্যাপ্লাই করতে হবে। প্রথমবার Length 0, Composition: Shadow minus image, দ্বিতীয়বার Composition: Shadow plus image, Length পছন্দমত এডজাস্ট করে নিতে হবে। ব্যাকগ্রাউন্ড লেয়ার ডার্ক, আর শ্যাডো কালার লাইট হলে ভালো দেখায়। গিম্প নিয়ে যাদের কিছুটা পরিচিতি আছে, তারা মনে হয় ওপরের প্যারা থেকেই চেষ্টা করলে পারবেন। আর যদি সবকিছু কানের সাথে ১৩ ডিগ্রি কোণ করে মাথার দু’আঙ্গুল ওপর দিয়ে চলে যায়, তাহলেও চিন্তা নেই, ভিডিও দিয়ে দিচ্ছি।   আর তারপর অ্যালাইনমেন্ট করার জন্য প্রথমে টেক্সট লেয়ারে Layer > Crop to Content, তারপর Alignment Tool সিলেক্ট করে টেক্সটের ওপর ক্লিক করে অ্যালাইন করে নিতে পারেন। সবশেষে সেভ করুন।

আরো পড়ুনগিম্পে লেখাকে ৩০ সেকেন্ডে দিন দারুণ ইফেক্ট (১ মিনিট টিউটোরিয়াল)

গিম্প: ইন্টারফেস পরিচিতি

দারুণ একটি গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার হলেও অনলাইনে বাংলা ভাষায় গিম্প নিয়ে রিসোর্স উল্লেখযোগ্য পাওয়া যায় না। অথচ গিম্পের চমৎকার কিছু দিক রয়েছে, এটি ফ্রি, লাইটওয়েট, ক্রস প্লাটফর্ম, এডভান্সড ফিচারে পূর্ণ, আবার ব্যবহারও সহজ। আর লিনাক্সে সফটওয়্যার ম্যানেজারে ঢুঁ মারুন বা টার্মিনাল থেকে gimp প্যাকেজটি ইন্সটল করে নিন। পয়েন্ট রিলিজ ডিস্ট্রোতে লেটেস্ট ভার্সনের জন্য অফিসিয়াল Flatpak ভার্সন ইন্সটল করতে পারেন। এর ইন্টারফেসের সাথে একটু পরিচিত হই। ইনিশিয়ালি গিম্পের ইন্টারফেস এরকম। ট্যাবগুলো ড্র্যাগ এন্ড ড্রপ করে পছন্দমত পজিশন করে নিতে পারেন। আমি আমার কাজের পরিবেশ নিচের মত পছন্দ করি। বামদিকে টুলবার, ডানদিকে উপরে লেয়ার, চ্যানেল, পথ, হিস্টরি এগুলো, তার নিচে টুল অপশনস ও বিভিন্ন টুল সংক্রান্ত ট্যাব। এটা ব্যক্তিগত স্বচ্ছন্দ্যের ওপর নির্ভর করে। এরপর টপ মেনু থেকে Edit>Preferences>Interface থেকে ইন্টারফেস সংক্রান্ত কিছু অপশন পাওয়া যাবে। Theme অপশনে চারটি থিম রয়েছে, Dark, Gray, White, System। Icon Theme-ও রয়েছে ছয়টি, Symbolic এর ডার্ক-লাইট ও এদের High Contrast ভার্সন, Color, Legacy। এছাড়া আরো থিম ও…

আরো পড়ুনগিম্প: ইন্টারফেস পরিচিতি

লিনাক্স টার্মিনালে একসাথে একাধিক কমান্ড দেওয়া (১+ মিনিট টিউটোরিয়াল)

লিনাক্স ব্যবহার করলে অবশ্যই কমান্ড লাইন নিয়ে নাড়াচাড়া করে থাকবেন। গ্রাফিকাল পদ্ধতিতে বেশ সময় প্রয়োজন এরকম একটা কাজ অনেক সময়ই ছোট্ট একটা কমান্ড দিয়ে টার্মিনালে খুব সহজে করা যায়। বিষয়টা আরেকটু মজার আর আরো সহজ করতে আমরা কিন্তু একাধিক কমান্ড একসাথে এক্সিকিউট করতে পারি। এটা খুবই সহজ, এজন্য কমান্ডগুলোর মাঝে & অথবা ; অথবা && অথবা || ব্যবহার করতে হবে। তো এদের ব্যবহারিক পার্থক্য কী? ধরা যাক, আমার পিসিতে Blender ইন্সটল নেই, GIMP আর Inkscape ইন্সটল আছে। এখন কোন কমান্ড দিলে কী হয় দেখে নিই: &: কমান্ডগুলো একসাথে এক্সিকিউট হবে। gimp & blender & inkscape কমান্ড দিলে GIMP আর Inkscape একসাথে ওপেন হবে, Blender যেহেতু নেই, Command ‘blender’ not found দেখাবে। ;: একটি শেষ হলে পরেরটি, এভাবে সবগুলো কমান্ড এক্সিকিউট হবে। gimp ; blender ; inkscape কমান্ড দিলে GIMP ওপেন হবে। GIMP ক্লোজ করলে Command ‘blender’ not found দেখাবে এবং তারপর Inscape ওপেন হবে। &&: কোন কমান্ড সফলভাবে সমাপ্ত (রিটার্ন…

আরো পড়ুনলিনাক্স টার্মিনালে একসাথে একাধিক কমান্ড দেওয়া (১+ মিনিট টিউটোরিয়াল)