রসিকতা হোক সীমার মাঝে
মানুষের জীবনে আনন্দ ও বিনোদনের প্রয়োজন আছে। কিন্তু জীবনটাকেই যদি বিনোদন বানিয়ে নেয়া হয়, যদি সবকিছুকে খেলতামাশা করে নেয়া হয়, তবে তা প্রশংসনীয় নয়। এই সময়ে প্রাঙ্ক, ট্রল ও মিম প্রভৃতি সংস্কৃতি যে রূপ ধারণ করছে- তা অনেক ক্ষেত্রেই বলা যায় সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। রসিকতা বা হাসি-ঠাট্টার বিষয়টিকে কিছুটা লবণের সাথে তুলনা করা যায়। এর অনুপস্থিতি যখন খাবারকে বিস্বাদ করে তুলে, বিপরীতে এর আধিক্য খাবারকে করে তুলে খাবার অনুপোযুক্ত। হাসি-ঠাট্টা তখনই প্রশংসনীয় যতক্ষণ তা পরিমিত মাত্রার মধ্যে থাকছে। বিশেষ করে এখন তো এমন একটা অবস্থা হয়েছে- দুর্ঘটনা, মৃত্যু, বিপদ-আপদ কোনকিছুকেই আমরা রসিকতার হাত থেকে ছাড় দিচ্ছি না- নিঃসন্দেহে এটা নিন্দনীয়। যখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকেও তামাশা বানিয়ে নেয়া হয়, দরকারী সময়গুলোতেও সিরিয়াসনেস না দেখানো হয়- তা অন্যদের কাছে মানুষের গুরুত্ব কমিয়ে দেয়। মানুষ হাসানোর জন্য মিথ্যা বলা নিয়ে হাদিসে খুব শক্ত কথা বলা হয়েছে (মিথ্যা বলা বলতে গল্প বা ফিকশন উদ্দেশ্য নয়)। কারো বিষয়ে গীবত করা, কাউকে অন্যায়ভাবে অপদস্থ করা, আঘাত বা…