ইসলাম

রসিকতা হোক সীমার মাঝে

মানুষের জীবনে আনন্দ ও বিনোদনের প্রয়োজন আছে। কিন্তু জীবনটাকেই যদি বিনোদন বানিয়ে নেয়া হয়, যদি সবকিছুকে খেলতামাশা করে নেয়া হয়, তবে তা প্রশংসনীয় নয়। এই সময়ে প্রাঙ্ক, ট্রল ও মিম প্রভৃতি সংস্কৃতি যে রূপ ধারণ করছে- তা অনেক ক্ষেত্রেই বলা যায় সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। রসিকতা বা হাসি-ঠাট্টার বিষয়টিকে কিছুটা লবণের সাথে তুলনা করা যায়। এর অনুপস্থিতি যখন খাবারকে বিস্বাদ করে তুলে, বিপরীতে এর আধিক্য খাবারকে করে তুলে খাবার অনুপোযুক্ত। হাসি-ঠাট্টা তখনই প্রশংসনীয় যতক্ষণ তা পরিমিত মাত্রার মধ্যে থাকছে। বিশেষ করে এখন তো এমন একটা অবস্থা হয়েছে- দুর্ঘটনা, মৃত্যু, বিপদ-আপদ কোনকিছুকেই আমরা রসিকতার হাত থেকে ছাড় দিচ্ছি না- নিঃসন্দেহে এটা নিন্দনীয়। যখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকেও তামাশা বানিয়ে নেয়া হয়, দরকারী সময়গুলোতেও সিরিয়াসনেস না দেখানো হয়- তা অন্যদের কাছে মানুষের গুরুত্ব কমিয়ে দেয়। মানুষ হাসানোর জন্য মিথ্যা বলা নিয়ে হাদিসে খুব শক্ত কথা বলা হয়েছে (মিথ্যা বলা বলতে গল্প বা ফিকশন উদ্দেশ্য নয়)। কারো বিষয়ে গীবত করা, কাউকে অন্যায়ভাবে অপদস্থ করা, আঘাত বা…

আরো পড়ুনরসিকতা হোক সীমার মাঝে

সালাত: ঈমান ও কুফরের পার্থক্যকারী

আল কুরআনুল কারীমের দ্বিতীয় সূরা, সূরা আল বাকারার শুরুতে মুত্তাকীদের পরিচয় সম্পর্কে বলা হচ্ছে। মুত্তাকী মানে হলো তাকওয়াবান- যারা আল্লাহকে ভয় করে। সূরাটির দ্বিতীয় আয়াতে বলা হচ্ছে- “এটা ঐ কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য পথ নির্দেশ।” এখন মুত্তাকীদের পরিচয় কী? তৃতীয় ও চতুর্থ আয়াতে এ সম্পর্কে এসেছে- “যারা গায়বের প্রতি ঈমান আনে, নামায কায়িম করে এবং আমি যে জীবনোপকরণ তাদেরকে দিয়েছি তাথেকে তারা ব্যয় করে। আর তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে ও তোমার পূর্বে যা নাযিল হয়েছে তাতে তারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং পরকালের প্রতিও তারা নিশ্চিত বিশ্বাসী।” মুত্তাকীদের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে ঈমান আনার পরেই এসেছে নামাজ কায়েম করার কথা। যেখান থেকে নামাজের গুরুত্ব অনুধাবন করা যায়। এখন প্রশ্ন হলো মুত্তাকী হওয়ার প্রয়োজন কী? পরের আয়াত, অর্থাৎ সূরা আল বাকারার পঞ্চম আয়াতে বলা হচ্ছে- “তারাই তাদের প্রতিপালকের হিদায়াতের উপর প্রতিষ্ঠিত আছে, আর তারাই সফলকাম।” আমরা কেউ কি আছি, যে সফল হতে চাই না? আমরা দিনরাত চেষ্টা করছি দুনিয়ার জীবনে…

আরো পড়ুনসালাত: ঈমান ও কুফরের পার্থক্যকারী

ঈদ-উল-ফিতরের দিনের সুন্নত,যা আমাদের প্রত্যেকের জানা জরুরি!

ঈদ মানে আনন্দ।ঈদ মানে একে অপরের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া।কিন্তু এই আনন্দের সীমারেখা কতটুকু,তা আমাদের আল্লাহ তায়ালা ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিখিয়ে দিয়েছেন।এর বাইরে যাওয়াটা হবে সীমালঙ্ঘন।আর আল্লাহ তায়ালা সীমালঙ্ঘনকারীকে ও উদ্ধুতপূর্ণ চলাচলকারীকে পছন্দ করেন না। আমরা যেন ঈদের মতো পবিত্র দিনকে গান-বাজনা,মোজ-ফুর্তি,জিনা-ব্যাভিচারের মতো খারাপ কাজে ব্যয় না করি।হালাল কাজের মধ্যেও কাপড় কেনাকাটা,গলা পর্যন্ত খাওয়া,এসব ক্ষেত্রেও সীমার মধ্যে থাকা উচিত। আল্লাহ আমাদের সকলকে পরিপূর্ণ দ্বীনের পথে চলার তাওফিক দান করুক, আমিন ইয়া রহমানুর রহিম। রোজার ঈদের দিন কি কি করা উচিত? প্রিয়বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী শেখাচ্ছেন আল্লাহ ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দেখানো পথে যেভাবে ঈদ উদযাপন করতে হবে👇

আরো পড়ুনঈদ-উল-ফিতরের দিনের সুন্নত,যা আমাদের প্রত্যেকের জানা জরুরি!

ফিতরা সম্পর্কে না জেনে থাকলে,জেনে নিন বিস্তারিত…

ফিতরা ঈদ-উল-ফিতর নামাজের আগেই দিতে হয়। এরপর দিলে তা সাধারণ দান হিসেবে গণ্য হবে। তাই এখনো আমরা যারা ফিতরা দেইনি,তারা এর সম্পূর্ণ মাছ’য়ালা জেনে নিন নিচে শায়খ আহমাদউল্লাহ-র একটি ভিডিও দেওয়া থাকলো। যেহেতু আমাদের জানার পরিধি অতি নগণ্য, লিখতে গেলে ভুল থেকে যেতে পারে,তাই সরাসরি ভিডিও যুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে… ✅দয়া করে ভিডিওটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত না শুনে কেউ সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন না✅ ফিতরা আদায়ের নিয়ম

আরো পড়ুনফিতরা সম্পর্কে না জেনে থাকলে,জেনে নিন বিস্তারিত…

কুরআন অধ্যয়নের চমৎকার দুটো ওয়েবসাইট (+অ্যাপ)

আমরা কমবেশি জানি যে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ৭৪ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে। তবে quran.gov.bd এখানে ইন্টারফেস ততটা আধুনিক ও স্বচ্ছন্দ্যময় নয়। এখানে আরবির সাথে বাংলা ও ইংরেজি অনুবাদ ও অডিও রয়েছে, তবে তাফসির, ফন্ট পরিবর্তনের সুবিধা প্রভৃতি ফিচার নেই। এছাড়া মোবাইল ডিভাইসসহ সব ধরণের স্ক্রিন সাইজের জন্য ওয়েবসাইটটি রেসপোন্সিভ নয়। আল কুরআনুল কারীম অধ্যয়নের জন্য অন্য কিছু চমৎকার ওয়েবসাইট রয়েছে। আমার কাছে সবচেয়ে সুন্দর লাগা দুটি ওয়েবসাইট শেয়ার করছি। ১. Quran.com পৃথিবীব্যাপী কুরআন অধ্যয়নের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট সম্ভবত Quran.com। বাংলা ভাষায় চারটি অনুবাদ ও তাফসিরসহ বিভিন্ন ভাষার অনুবাদ ও তাফসির রয়েছে এখানে। শব্দভিত্তিক উচ্চারণ ও অর্থ দেখার সুবিধা আছে। ৯ জন ক্বারীর ১২ ধরণের তিলাওয়াত শোনার ব্যবস্থা রয়েছে। আছে তাজবীদ কালারযুক্ত ১টি সহ ৬টি ফন্ট থেকে অভ্যস্থতা ও স্বচ্ছন্দ্যতা অনুযায়ী বেছে নেয়ার সুযোগ। আয়াত শেয়ার, কপি, বুকমার্ক করে রাখ প্রভৃতি ফিচার রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস স্মার্টফোনের জন্য তাদের অ্যাপ রয়েছে। ২. Quran…

আরো পড়ুনকুরআন অধ্যয়নের চমৎকার দুটো ওয়েবসাইট (+অ্যাপ)

ভাস্কর্য থেকে মূর্তিপূজার সূচনা

“(ইবলীস) বললঃ আপনি যে আমাকে পথভ্রষ্ট করলেন এ কারণে আমিও শপথ করে বলছি – আমি আপনার সরল পথে অবশ্যই ওৎ পেতে বসে থাকব। অতঃপর আমি তাদের সম্মুখ দিয়ে, পিছন দিয়ে, ডান দিক দিয়ে এবং বাম দিক দিয়ে তাদের কাছে আসব, আপনি তাদের অধিকাংশকেই কৃতজ্ঞ পাবেননা।” – সূরা আল ‘আরাফ, আয়াত ১৬, ১৭ এমন কিন্তু হয়নি যে সবকিছু সুন্দরভাবে চলছিলো, আর একদিন শয়তান হঠাৎই মূর্তি বানিয়ে এনে হাজির হয়ে সেটির উপাসনা করার জন্য লোকদেরকে প্ররোচিত করলো আর লোকেরা মূর্তিপূজা শুরু করে দিলো। বরং শয়তান মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে ধীরে ধীরে, ধাপে ধাপে। হযরত আদম আলাইহিস সালাম, প্রথম মানুষ ও প্রথম নবী। যাকে আল্লাহ রব্বুল আ’লামীন তাওহীদ, তথা আল্লাহর একত্ববাদের শিক্ষা দিয়েছিলেন। এমনকি প্রত্যেক নবীর শিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তাওহীদ, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তিনি এক ও অদ্বিতীয়, না তার কোন শরীক আছে, না আছে তার সমকক্ষ আর কেউ। তাহলে তাওহীদের শিক্ষাসহ যে মানবজাতির সূচনা হয়েছিলো, কীভাবে তাদের মধ্যে শিরকের প্রবেশ…

আরো পড়ুনভাস্কর্য থেকে মূর্তিপূজার সূচনা

ইসলামী যিন্দেগী: মুসলিমদের দৈনন্দিন জীবনে অতি প্রয়োজনীয় একটি অ্যাপ

প্লে-স্টোরে মুসলিমদের জন্য অনেক অ্যাপ রয়েছে। তন্মধ্যে ইসলামী যিন্দেগী আমার মতে শ্রেষ্ঠ (অন্তত বাংলা ভাষায়)। জামি`আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার অর্থায়নে অ্যাপটি তৈরি এবং ডেভেলপ হয়। প্রথমেই বলে রাখি অ্যাপটি মুসলিমদের দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য। এতে কোনো এড, সাবস্ক্রিপশন নেই। অ্যাপটির UI অত্যান্ত ক্লিন ও মডার্ন। এর ডিজাইন, কালার কম্বিনেশন, ফন্ট সবমিলিয়ে গর্জিয়াস। 😍 এই অ্যাপ এ প্রপার ফন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। তাই আল-কোরআন আরবি এবং বাংলায় পড়তে কোনো সমস্যা হবে না। প্রতিটি সূরার অডিও ডাউনলোড করা যায়।  💖 রেগুলার ফিচারের পাশাপাশি নামাজ, ইফতার-সাহরি এর সময় (এলার্ম সেট করা যায়) , তসবিহ, কিবলা কম্পাস উল্লেখযোগ্য। স্পেশাল ফিচারগুলোর কথা না বললেই নয়। বিল্টইন অনেকগুলো ইসলামিক বই রয়েছে। একটি সুন্দর Widget রয়েছে। এটি ম্যানুয়ালী রিফ্রেশ করতে হয়। অ্যাপটি অনেক অপটিমাইজড। তাই গত রমজান থেকে ব্যাবহারের ফলেও মাত্র ৬৩ Mb storage দখল করেছে 🤗 ‌। এটি অ্যানড্রয়েড ও আইওএস এ অ্যভেলেবল। বিস্তারিত জানতে ও ডাউনলোড করতেClick Here পরিশেষে বলছি রেটিং 4.7 দেখে ইনস্টল করার সময়…

আরো পড়ুনইসলামী যিন্দেগী: মুসলিমদের দৈনন্দিন জীবনে অতি প্রয়োজনীয় একটি অ্যাপ

বিজ্ঞান কি ইসলামের প্রতিপক্ষ?

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু। অজ্ঞতাবশত অনেকের মধ্যে ধারণা প্রচলিত আছে, বিজ্ঞান ও ধর্ম বিপরীতধর্মী কথা বলবে, দুটো একসাথে চলতে পারে না। এ থেকে কেউ কেউ বিজ্ঞান ও ধর্মকে প্রতিপক্ষরূপে উপস্থাপন করে। অর্থাৎ, বিজ্ঞান ও ধর্মের একটা বেছে নিতে হবে। ইসলাম নিয়েও কারো ধারণা এমনটাই। কিছুটা ইসলাম চর্চা করেন, এমন অনেকের মধ্যেও ধারণা দেখা যায়, বিজ্ঞান বিজ্ঞানের স্থানে, ইসলাম ইসলামের স্থানে। বিজ্ঞান ও ইসলামকে মিক্স আপ করা যাবে না। দুটো আলাদাভাবে থাকবে। ব্যক্তিজীবনে একজন সালাত, সাওম এরকম ইবাদত পালন করতে পারে, কিন্তু বিজ্ঞানের কোন কথা ইসলামের মাধ্যমে যাচাই করা যাবে না। অনেক বিষয়ে বাস্তবিক ভাবেই ইসলাম ও বিজ্ঞান কিছুটা ভিন্ন কথা বলে। তাহলে, এখানে আমাদের মনোভাব কেমন হওয়া উচিৎ? ইসলাম: একটি পূর্ণাঙ্গ দ্বীন ধর্ম বলতে আমরা অনেকে একজন ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করে নেওয়া, তার উপাসনা ও আনুসঙ্গিক কিছু আনুষ্ঠানিকতা অনেকটা এরকম বুঝে থাকি। কোন কোন ধর্মের ক্ষেত্রে এই সংজ্ঞা প্রযোজ্য হতে পারে, কিন্তু ইসলাম এর চেয়ে বেশি কিছু। ইসলাম ব্যাপারটার…

আরো পড়ুনবিজ্ঞান কি ইসলামের প্রতিপক্ষ?

সৃষ্টিকর্তা একজন হলে কেন এত ধর্ম? সত্য ধর্ম কোনটি?

নবীদের শিক্ষার মধ্যে কোন অসামঞ্জস্যতা নেই। তারা শিক্ষা দিয়েছেন তাওহীদ ও রিসালাতের। শিখিয়েছেন একজন প্রভুর ইবাদত করতে। শিখিয়েছেন সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য।
আরো পড়ুনসৃষ্টিকর্তা একজন হলে কেন এত ধর্ম? সত্য ধর্ম কোনটি?