ক্যালকুলেটর

ক্যালকুলেটর (পর্ব ১): CALC ফাংশন ব্যবহার

This entry is part 1 of 5 in the series ক্যালকুলেটর

আসসালামু আলাইকুম। সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটরের কিছু উপকারী টিউটোরিয়াল ইন শা আল্লাহ শেয়ার করা হবে এই সিরিজে। এখানে আমরা ব্যবহার করছি মূলত CASIO fx-991EX CLASSWIZ ক্যালকুলেটরটি, অন্য জনপ্রিয় মডেলগুলোর ক্ষেত্রে কিছু প্রক্রিয়া একটু ভিন্ন হতে পারে এবং সবকিছু কাজ না-ও করতে পারে। কেন আমি fx-991EX সাজেস্ট করে থাকি, তা আগের একটি পোস্টের বিশ্লেষণ করেছিলাম, দেখে নিতে পারেন। তো অনেক সময় আমাদের একই সমীকরণে কোন একটা রাশির ভিন্ন ভিন্ন মানের জন্য সমীকরণের মান বের করতে হয়। বাস্তব জীবনেও মাঝে মাঝে এমনটা প্রয়োজন হয়। অঙ্ক করার ক্ষেত্রে প্রায়সই x এর বিভিন্ন মানের জন্য y নির্ণয় করতে হয়। এধরণের সমস্যার সমাধানে বারবার এডিট করা থেকে CALC ফাংশন ব্যবহার অনেক কার্যকর উপায় (তবে TABLE মোড প্রায় সময়ই অধিক সুবিধাজনক, যা পরের পর্বে রয়েছে।) fx-991EX এ ৯টা পর্যন্ত চলকযুক্ত সমীকরণ নিয়ে হিসেব নিকেশ সম্ভব (A, B, C, D, E, F, x, y, M)। চলকগুলো লেখার জন্য প্রথমে ALPHA বাটনটি চেপে এরপর চলকর বাটন চাপতে হবে। যেমন ধরা…

আরো পড়ুনক্যালকুলেটর (পর্ব ১): CALC ফাংশন ব্যবহার

ক্যালকুলেটর (পর্ব ২): Table মোড ব্যবহার (গ্রাফ আঁকতে খুবই কার্যকর!)

This entry is part 2 of 5 in the series ক্যালকুলেটর

ধরা যাক আমি y = x3 + x2 + x + 1 এর একটি গ্রাফ আঁকতে চাই, এটার জন্য x এর বিভিন্ন মানের জন্য আমাদের y বের করতে হবে। বারবার ক্যালকুলেটরে এডিট করে বিভিন্ন মান বের করাটা প্রচুর সময়ের ব্যাপার, আগের পর্ব অনুসরণ করে CALC ব্যবহার করা কিছুটা সহজ, কিন্তু আমরা আরো দ্রুত করতে পারি, আরো অনেক ইফেক্টিভ মেথডে করতে পারি। প্রথমে আমরা Mode-এ যাবো, এরপর Table মোডটি নির্বাচন করব। এই সিরিজের জন্য আমরা fx-991EX CLASSWIZ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করছি, এর সাথে ES সিরিজের কিছু ক্যালকুলেটরেও মোডটি থাকে। এরপর স্ক্রিনে f(x) এর মান লিখতে হবে। আমরা আমাদের সমীকরণে যেভাবে আছে সেভাবেই লিখবো, অর্থাৎ x3 + x2 + x + 1 এরপর = চাপবো। তারপর g(x) এর মান চাইবে, 991EX-এ একসাথে দুটি সমীকরণ নিয়ে কাজ করা যায়, কিন্তু আমাদের সমীকরণ এখানে একটি, তাই g(x) প্রয়োজন নেই, সরাসরি = চাপবো। এবার Table Range এর ভ্যালু দিতে বলা হচ্ছে। Start এর ঘরে লিখলাম -5,…

আরো পড়ুনক্যালকুলেটর (পর্ব ২): Table মোড ব্যবহার (গ্রাফ আঁকতে খুবই কার্যকর!)

ক্যালকুলেটর (পর্ব ৩): সাধারণ, বহুপদী ও যুগপৎ সমীকরণ সমাধান

This entry is part 3 of 5 in the series ক্যালকুলেটর

এই পর্বে ক্যালকুলেটরে বিভিন্ন ধরণের সমীকরণ সমাধানের পদ্ধতি দেখানো হবে। এই সিরিজের জন্য বরাবরের মতই আমরা Casio fx-991EX ব্যবহার করছি। SOLVE ফাংশন ব্যবহার আমরা একটা সমীকরণ নিলাম- সমীকরণটা দেখতে যেমনই হোক, এটা একটা একঘাত সমীকরণ, এবং একটা মাত্র সমাধান আছে, যেটা বাস্তব সংখ্যা। এরকম ক্ষেত্রে SOLVE ফাংশনটি বেশ কাজের। ক্যালকুলেটরটি যদি অন্য কোন মোডে থাকে তবে প্রথমে MENU থেকে 1:Calculate নির্বাচন করে নিতে হবে। এরপর সাধারণভাবে সমীকরণটি ক্যালকুলেটরে লিখতে হবে, ‘=’ লেখার জন্য ALPHA + CALC ব্যবহার করতে হবে। তারপর SHIFT + SOLVE চাপতে হবে। পরের ধাপে x এর একটা মান দিতে হবে, বাই ডিফল্ট সর্বশেষ x এর সংরক্ষিত মান দেয়া থাকবে। CASIO-র প্রচলিত সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটরগুলো মূলত এক্ষেত্রে নিউটন-রাফসন পদ্ধতিতে সমাধান করে। যে মানটি এই ধাপে দেয়া হবে তা একটা স্টার্টিং পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার হবে। এখানে আনুমানিক কাছাকাছি মান দেয়া গেলে ক্যালকুলেটর দ্রুত হিসেব করতে পারবে, নাহলে সময় তুলনামূলক বেশি লাগতে পারে। মান দেয়ার পর অথবা ডিফল্ট অবস্থায় রেখে দিয়ে…

আরো পড়ুনক্যালকুলেটর (পর্ব ৩): সাধারণ, বহুপদী ও যুগপৎ সমীকরণ সমাধান

ক্যালকুলেটর (পর্ব ৪): অসমতার সমাধান নিমিষেই!

This entry is part 4 of 5 in the series ক্যালকুলেটর

আগের পর্বে আমরা বিভিন্ন রকম সমীকরণের সমাধান করার পদ্ধতি দেখেছি, এই পর্বে দেখবো কীভাবে অসমতা সমাধান করতে হয়। Casio fx-991EX-এ দ্বিঘাত, ত্রিঘাত অথবা চতুর্ঘাত অসমতার সমাধান করা যায়। আমরা একটি অসমতা নিই, x3 + 4×2 + x – 6 ≥ 0 অসমতার সমাধানের জন্য MENU থেকে B: Inequality নির্বাচন করতে হবে। আমাদের অসমতায় x এর সর্বোচ্চ ঘাত ৩, তাই Polynomial Degree 3 নির্বাচন করতে হবে। পরের ধাপে আমাদের সমস্যাটি ax3+bx2+cx+d≥0 আকারে রয়েছে, তাই 3 নির্বাচন করতে হবে। এরপর x বিভিন্ন ঘাতের সহগ ও ধ্রুবপদের মানের ঘরগুলো পূরণ করতে হবে। সবশেষে ‘=’ চাপলে আমাদের উত্তর চলে আসবে।

আরো পড়ুনক্যালকুলেটর (পর্ব ৪): অসমতার সমাধান নিমিষেই!

ক্যালকুলেটর (পর্ব ৫): সংখ্যা পদ্ধতির রূপান্তর ও লজিকাল অপারেশন

This entry is part 5 of 5 in the series ক্যালকুলেটর

Casio fx-991EX-এ সংখ্যা পদ্ধতি সংক্রান্ত অঙ্ক করার MENU থেকে 3: Base-N মোড নির্বাচন করতে হবে। এই মোডে একটা সীমাবদ্ধতা হলো এখানে ভগ্নাংশ সংখ্যা নিয়ে কাজ করা করা যায় না। এটা MS, ES ও EX সিরিজের সমর্থিত সব ক্যালকুলেটরের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। পূর্ণসংখ্যার বিভিন্ন সংখ্যা পদ্ধতির পূর্ণ সংখ্যার রূপান্তর ও অঙ্ক এই মোডে খুব সহজে করা যায়। এখানে নীল রঙে DEC, HEX, BIN ও OCT চিহ্নিত বাটনগুলো ডেসিমাল, হেক্সাডেসিমাল, বাইনারি ও অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিতে পরিবর্তন করার জন্য। Base-N মোডে বাটনগুলো সরাসরি এই কাজে ব্যবহার হবে, SHIFT বা ALPHA ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। হেক্সাডেসিমাল মোডে গোলাপি চিহ্নিত A, B, C, D, E, F ব্যবহার করা যাবে। এখানেও শুধু বাটনগুলো প্রেস করতে হবে, তার আগে SHIFT বা ALPHA প্রেস করতে হবে না। অক্টাল সংখ্যা 77-কে ডেসিমালে রূপান্তরের জন্য- OCT সিলেক্ট করে 77 লিখে = প্রেস করতে হবে। এরপর ডেসিমাল সিলেক্ট করতে হবে। অথবা আরেকটি উপায় আছে। OPTN থেকে একবার ডাউন অ্যারো কী চাপলে d,…

আরো পড়ুনক্যালকুলেটর (পর্ব ৫): সংখ্যা পদ্ধতির রূপান্তর ও লজিকাল অপারেশন