প্রযুক্তি

Ryans × Lenovo ওয়ারেন্টি এক্সপ্রেরিয়েন্স (IdeaPad Slim 3i 15ITL)

সমস্যা ছিলো চার্জিং ইস্যু ও ডাউন অ্যারো কী কাজ না করা। আমি ভেবেছিলাম দুই বছর ওয়ারেন্টির সময়কাল বোধহয় শেষ হয়ে গেছে, চেক করে দেখলাম জানুয়ারীর ৭ তারিখ পর্যন্ত আছে। যেকারণে একদম শেষ সময়ে এসে ওয়ারেন্টির সুবিধা নিতে পারলাম। এবং আলহামদুলিল্লাহ, দুটো সমস্যাই সমাধান হয়েছে। ডিসেম্বরের ২৫ তারিখে সার্ভিসিংয়ে দিয়েছিলাম, আজকে ৬ জানুয়ারী রিসিভ করলাম। ল্যাপটপের কন্ডিশন ও প্রাসঙ্গিকভাবে নিজের অগোছালো স্বভাবের কিছু কথা বলে নিতে হচ্ছে কনটেক্সটের জন্য। সত্যি বলতে আমি ল্যাপটপের সবচেয়ে যত্নশীল ব্যবহারকারীদের একজন না। যেহেতু একাডেমিক ও নন-একাডেমিক বিভিন্ন এক্টিভিটির জন্য ল্যাপটপ ব্যবহার করি, তাই আমার ল্যাপটপ খুব বেশি বিশ্রামও পায় না। এছাড়া প্রচুর টাইপ করা হয়, এবং আমি বিল্টইন কীবোর্ড ও মাউস ব্যবহার করি। আলাদা কুলার ব্যবহার করি না, তাই বেশি প্রেসার পড়লে মোটামুটি হিটও হয়। সব মিলিয়ে দুই বছর পর হিটিং ও রাফ ইউসেজ মিলিয়ে স্টিকার উঠে গেছিলো, বডিতে বিশেষ করে টাচপ্যাড ও কীবোর্ডের আশেপাশে রং উঠে গেছিলো অনেকাংশে (হু, ল্যাপটপেরও রং উঠে)। এছাড়া একটা…

আরো পড়ুনRyans × Lenovo ওয়ারেন্টি এক্সপ্রেরিয়েন্স (IdeaPad Slim 3i 15ITL)

CASIO fx-991CW: একটি কন্ট্রোভার্সিয়াল আপগ্রেড (হ্যান্ডস অন রিভিউ)

আসসালামু আলাইকুম। এর আগে আমি Casio fx-991EX নিয়ে রিভিউ দিয়েছি, যেটা মাধ্যমিক পর্যায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী চমৎকার একটা ক্যালকুলেটর। তবে সমস্যা হলো, ক্যালকুলেটরটি বর্তমানে আর কন্টিনিউ করা হচ্ছে না, অর্থাৎ Casio নতুন করে আর এই মডেলের ক্যালকুলেটর বাজারে আনছে না। আসলে ক্যাসিও, তাদের ভাষায়, fx-991EX এর একটি আপগ্রেড সংস্করণ নিয়ে এসেছে, যা হলো CASIO fx-991CW CLASSWIZ। fx-991EX এর বিকল্প হিসেবে এই মডেলটি সাজেস্ট করছে তারা। কিন্তু fx-991EX থেকে যদি কেউ fx-991CW-এ এর আপগ্রেড হয়েই থাকে, অন্ততপক্ষে এটা বলতেই হবে যে এটা একটা কন্ট্রোভার্সিয়াল আপগ্রেড। fx-991CW এ অপশনগুলো সুবিন্যস্ত করা হয়েছে। যেমন ফাংশনগুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে বিন্যস্ত করা হয়েছে একটি মেনুতে, ফরমেটগুলো আরেকটি মেনুতে, বিভিন্ন সেটিংস তৃতীয় আরেকটি মেনুতে প্রভৃতি। যারা বেসিক ইউজার, কিংবা প্রথম সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার শিখছেন তাদের জন্য এই বিন্যাস সুবিধাজনক হতেও পারে। কিন্তু যারা পাওয়ার ইউজার, তারা প্রয়োজনীয় অপশনগুলো হাতের নাগালে চাইবেন, বারবার মেনু ব্রাউজ করাটা মোটেও স্বচ্ছন্দ্য লাগার কথা না। অন্যদিকে যারা MS,…

আরো পড়ুনCASIO fx-991CW: একটি কন্ট্রোভার্সিয়াল আপগ্রেড (হ্যান্ডস অন রিভিউ)

বর্ণ: অ্যান্ড্রয়েডে বাংলা লেখার জন্য সেরা সফটওয়্যার সম্ভবত এটাই

অ্যান্ড্রয়েডে বাংলা লেখার জন্য বর্তমানে বেশ কিছু সফটওয়্যার জনপ্রিয়- তবে আমার ব্যবহারে সেরা সফটওয়্যার ছিলো বর্ণ। বর্ণের উইন্ডোজ ভার্সনও রয়েছে, তবে আমরা শুধু অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনের দিকে ফোকাস রাখছি। এটা তুলনামূলক নতুন একটি সফটওয়্যার। নতুন বলতে আবার একদম নতুন না, প্রায় বছরতিনেক হয়ে যাচ্ছে প্লে স্টোরে প্রথম রিলিজ হওয়ার। এখন পর্যন্ত বর্ণ সম্পূর্ণ ফ্রি এবং এতে কোন বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয় না। তবে এটা ওপেন সোর্স নয়। এই লেখাটা অনেক আগে শুরু করেছিলাম। প্রিসাইজলি বললে ২০২১ সালের অক্টোবরে, যখন বর্ণ আরো অনেকটা নবীন ছিলো- কিন্তু শেষ করা হয়নি আর। অবশ্য এই সময়কালে নিয়মিতই বর্ণ ব্যবহার করে আসছি। বর্ণ-ও নিয়মিত আপডেট হয়েছে এর মাঝে। হয়ে উঠেছে আরো পূর্ণাঙ্গ, আরো চমৎকার একটি সফটওয়্যার। যদি আপনি রিদ্মিক কিবোর্ড ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে বর্ণ ব্যবহার করতে খুব অপরিচিত মনে হবে না। তবে অনেকাংশে বর্ণ বেশি প্রিফারেন্সেস ও ফ্লেক্সিবিলিটি প্রদান করে, যা এই লেখাতে উঠে আসবে। এছাড়া রিদ্মিক আগের থেকে এখন কিছুটা অন্য পথে চলছে, যেমন বর্তমানে…

আরো পড়ুনবর্ণ: অ্যান্ড্রয়েডে বাংলা লেখার জন্য সেরা সফটওয়্যার সম্ভবত এটাই

Symphony Z60 Plus: বাজেট মার্ভেল রিলোডেড!

বাজেট ফোন তৈরির একটা সাধারণ রেসিপি আছে। কিছু কমন ফিচার সব বাজেট ফোনেই থাকবে, তারপর কিছু এরিয়াতে একটু বেশি দেয়া হবে, আর বাজেট মেইনটেন করার জন্য অন্য কিছু এরিয়াতে স্যাক্রিফাইস করা হবে। কিন্তু সিম্ফনি তাদের নতুন ফোনগুলোতে এই অলিখিত নিয়ম যেন প্রায় ভঙ্গ করছে, যেখানে রেসিপি হলো বাজেটের মধ্যে যা কিছু এক্সপেক্টেড সবকিছু, তার সাথে আরো একটু বেশি। এবং যদি নতুন বাজারে আসা Symphony Z60 Plus-কে নিয়ে বলতে হয়, ওপরের কথাটা আসলে খুব একটা বাড়িয়ে বলা হবে না। ১১,৯৯৯ টাকার অ্যাগ্রেসিভ প্রাইসিংয়ে আসা এই ফোনটি হয়ত আরো হায়ার এন্ড ফোনের সাথে তুলনাযোগ্য হবে না, তবে ১০-১৫ হাজার টাকা বাজেটের একটি স্মার্টফোন থেকে যা কিছু চাওয়া যেতে পারে, সবকিছু থাকছে এখানে- এক প্যাকেজে, এক ফোনে। পূর্বে রিলিজ হওয়া Symphony Z60 অলরেডি বাজেটের মধ্যে একটা দারুণ প্যাকেজ ছিলো- গ্লাস ব্যাক পার্ট, 18 W ফাস্ট চার্জিং, হায়ার রিফ্রেশ রেট, সাইড মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরের মত ফিচারগুলো একে একই বাজেটের অন্যান্য ফোন থেকে বিশেষত্ব দিয়েছিলো,…

আরো পড়ুনSymphony Z60 Plus: বাজেট মার্ভেল রিলোডেড!

লিনাক্স ও উইন্ডোজের জন্য পিডিএফ পড়া, অ্যানোটেশন ও এডিটিংয়ের জন্য চমৎকার কিছু টুলস

আসসালামু আলাইকুম। ডকুমেন্টের জন্য পিডিএফ খুবই জনপ্রিয় একটি ফরমেট। এটি এডোবির লাইসেন্সকৃত একটি প্রপ্রাইটরী ফর্মেট। উইন্ডোজে জনপ্রিয় পিডিএফ অ্যাপগুলোর অধিকাংশ লিনাক্সে সমর্থিত নয় বা খুবই আউটডেটেড অথবা লিমিটেড ফিচার্ড। তবে অনুসন্ধান করে চমৎকার কিছু অ্যাপস পেয়েছি, যেগুলো এখানে শেয়ার করছি। আশা করি লিনাক্স ব্যবহারকারীদের উপকারে আসবে, এবং উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরাও সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। Okular লিনাক্সের জন্য পিডিএফ টুলস নিয়ে লিখতে হলে Okular শুরুতে থাকাটা ডিজার্ভ করে। এটি একটি ফ্রি ও ওপেন সোর্স ইউনিভার্সাল ডকুমেন্ট ভিউয়ার, যেটি পিডিএফ, এবং সেইসাথে ই-পাব, কমিকস, বিভিন্ন ধরণের ইমেজ ফর্মেট সমর্থন করে। এটি KDE Applications এর অন্তর্ভুক্ত এবং KDE ডেস্কটপের ডিফল্ট পিডিএফ ভিউয়ার। যাইহোক, অন্যান্য ডেস্কটপ এবং উইন্ডোজেও এটি ব্যবহার করা যায়। Okular-এ পিডিএফ পড়ার পাশাপাশি টেক্সট হাইলাইটিং, আন্ডারলাইন, স্ট্রাইক আউট; টাইপরাইটিং, পপআপ ও ইনলাইন নোটস, এবং ফ্রি-হ্যান্ড টুল, পলিগন, স্ট্যাম্প বিবিধ ধরণের অ্যানোটেশন সুবিধা রয়েছে। ফর্মস, ডিজিটালি সাইনিং, ইম্বেডেড ফাইল ও মিডিয়া সমর্থিত। এর ইউআই কাস্টমাইজেবল এবং টুলবারগুলো প্রয়োজনমত সাজিয়ে নিয়ে Okular ইফেক্টিভলি ব্যবহার…

আরো পড়ুনলিনাক্স ও উইন্ডোজের জন্য পিডিএফ পড়া, অ্যানোটেশন ও এডিটিংয়ের জন্য চমৎকার কিছু টুলস

উবুন্টু ২৩.০৪: উবুন্টু কি আগের থেকে বেটার?

আসসালামু আলাইকুম। জনপ্রিয় লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন উবুন্টুর নতুন একটি ভার্সন ২৩.০৪ সম্প্রতি রিলিজ হয়েছে এবং এই লেখাতে থাকছে উবুন্টুর সর্বনতুন এই ভার্সনটির রিভিউ। বর্তমানে আমি ফিডোরা অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছি আমার ল্যাপটপের মেইন অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে। উবুন্টু ২৩.০৪ ব্যবহারের জন্য আমি একটি ভার্চুয়াল মেশিন ব্যবহার করছি, যেটি Virtual Machine Manager সফটওয়্যার ব্যবহার করে QEMU/KVM-এ তৈরি করা। এখানে আমি বরাদ্দ করেছি ৪ জিবি র‌্যাম ও i5-1135G7 প্রসেসরের ৪টি কোর (সম্ভবত কোর বলতে এখানে থ্রেড নির্দেশ করা হয়)। উবুন্টু প্রতিবছর এপ্রিল ও অক্টোবর মাসে দুটি করে রিলিজ করে। উবুন্টু ২৩.০৪ একটি নন এলটিএস ভার্সন, সবকিছু ঠিক থাকলে এটি ৯ মাসের জন্য সাপোর্ট পাবে এবং এর মধ্যে উবুন্টু ২৩.১০ চলে আসবে। প্রসঙ্গত উবুন্টু প্রতি দু’বছর পরপর একটি এলটিএস বা লং টার্ম ভার্সন রিলিজ করে যা ৫ বছরের জন্য সাপোর্ট দেয়া হয়। উবুন্টুর সর্বশেষ এলটিএস রিলিজ হলো উবুন্টু ২২.০৪, যা নিয়ে আমার রিভিউ রয়েছে এখানে। উবুন্টুর প্রতিটি সংস্করণের একটি কোডনেম থাকে। উবুন্টু ২৩.০৪-এর কোডনেম ‘Lunar…

আরো পড়ুনউবুন্টু ২৩.০৪: উবুন্টু কি আগের থেকে বেটার?

ভার্চুয়াল র‌্যাম: স্মার্টফোন কেনার আগে যেটুকু জানা প্রয়োজন

স্মার্টফোনে ভার্চুয়াল র‌্যাম প্রযুক্তি ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কোম্পানিভেদে এক্সটেন্ডেড র‌্যাম, মেমোরি ফিউশন টেকনোলজি, ডায়নামিক র‌্যাম, র‌্যাপিড মেমোরিসহ বিভিন্ন নামে এই প্রযুক্তির দেখা মিলছে, যার আইডিয়া হলো- স্টোরেজের একটি অংশকে র‌্যাম হিসেবে ব্যবহার করা। যদি আপনি অনেক আগে থেকে অনলাইন ব্যবহার করে থাকেন, স্মার্টফোনের র‌্যাম বাড়িয়ে নেয়া- এরকম টিউটোরিয়াল হয়ত চোখে পড়ে থাকতে পারে। তখনকার সময়ে এটা খুব সহজ প্রসেস ছিলো না, এজন্য সাধারণত স্মার্টফোনকে রুট করা প্রয়োজন হত। এখন কোম্পানিগুলো বিল্ট-ইন ফিচার হিসেবে ভার্চুয়াল র‌্যাম প্রদান করছে, জাস্ট একটা টগলেই যা চালু করা যায়। কিন্তু প্রশ্ন হলো রিয়েল লাইফে এটা কতটুকু কাজের? যদি আপনি বুঝেশুনে একটি স্মার্টফোন কিনতে চান, তাহলে ভার্চুয়াল মেমোরি নিয়ে আপনার একটুখানি জেনে রাখা প্রয়োজন। কেননা যদি আপনি না জানেন, হয়ত কেউ কেউ আপনাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করতে দ্বিধা করবে না। এই লেখার মূল উদ্দেশ্য হলো শুধু ভার্চুয়াল র‌্যামের ধারণা বুঝতে সাহায্য করা- একারণে টেকনিকাল আলোচনাগুলো খুব কম থাকবে। ইচ্ছা আছে মেমোরি নিয়ে সহজ ভাষায়…

আরো পড়ুনভার্চুয়াল র‌্যাম: স্মার্টফোন কেনার আগে যেটুকু জানা প্রয়োজন

ফিডোরা ৩৮ রিলিজ হয়েছে

খবরটা আসলে একটু পুরনো, ফিডোরা ৩৮ রিলিজ হয়েছে আরো কয়েকদিন আগেই, ১৭ এপ্রিল। ফিডোরা একটি জনপ্রিয় লিনাক্সভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম। লিনাক্স নিয়ে আরো জানতে চাইলে দেখুন ৮০০০ শব্দে লিনাক্স পরিচিতি। ফিডোরা নিয়ে আমার আগের এক্সপ্রেরিয়েন্স তত ভালো ছিলো না। তবে তার কারণ ছিলো সুনির্দিষ্ট কিছু সমস্যা, যেগুলো সমাধান হলে ফিডোরার বাদবাকি সব দারুণ লাগছিলো। যেমন সবচেয়ে মেজর ছিলো ফিডোরা ২৯-এ গ্নোম শেলে মাঝেমাঝেই কার্সর অদৃশ্য হয়ে যেতো, আর ফিডোরা ৩৫-এ ভিডিও কলে স্ক্রিন শেয়ার করতে পারছিলাম না। তবে গত দু-তিন মাস আবারো ফিডোরা ব্যবহার করছি-ফিডোরা ৩৭ ব্যবহার করছিলাম এতদিন অবশ্যই, সম্প্রতি ফিডোরা ৩৮-এ আপগ্রেড করেছি। এই সময়ের মধ্যে আগের সমস্যাগুলোসহ মেজর কোন সমস্যা পাইনি। তবে একটি সমস্যা- টেলিগ্রাম ডেস্কটপ অ্যাপ প্রায়ই ক্র্যাশ করার প্রবণতা আছে, যা ফিডোরা ৩৫, ৩৭ ও ৩৮ তিনটি ভার্সনেই এক্সপ্রেরিয়েন্স করেছি। এছাড়া সেটিংস অ্যাপ ও ফাইল ম্যানেজার অন্তত একবার করে ক্র্যাশ করেছে গত দু-তিনদিনের ব্যবহারে। ফিডোরা ৩৮ একটি কোয়ালিটি অফ লাইফ আপগ্রেড- ফিডোরা ৩৭ থেকে এক্সপ্রেরিয়েন্সে উল্লেখযোগ্য…

আরো পড়ুনফিডোরা ৩৮ রিলিজ হয়েছে

ডিজিটাল ও এনালগ: পার্থক্য কী?

ডিজিটাল- শব্দটার মধ্যেই কেমন যেন একটা আকর্ষণ কাজ করে। তবে এর অর্থটা বেশ সাদামাটা শোনাতে পারে- ডিজিট অর্থ অঙ্ক, ডিজিটাল অর্থ করা যায় অঙ্কভিত্তিক। তাহলে ডিজিটাল ডিভাইস কী? আক্ষরিক অর্থে বললে, ডিজিটাল ডিভাইস হলো এমন কোন ডিভাইস, যেটা অঙ্কভিত্তিক তথ্য বা সংকেত নিয়ে কাজ করে। সাধারণভাবে আমাদের একটা ধারণা হয়ে থাকতে পারে, একটু পুরনো প্রযুক্তিগুলোকে এনালগ আর আধুনিক প্রযুক্তিকে ডিজিটাল বলা হয়। আসলে এরকম না ব্যাপারটা। ডিজিটাল ডিভাইসের উদাহরণ অনেক অতীতেও পাওয়া যাবে। যেমন- অ্যাবাকাসের নাম আমরা সবাই জানি। অ্যাবাকাস কিন্তু একটা ডিজিটাল ডিভাইস, কারণ এখানে গুটি দ্বারা সংখ্যাকে উপস্থাপন করা হয়- অর্থাৎ অঙ্কভিত্তিক তথ্য নিয়ে কাজ করা হয়। ডিজিটাল ডিভাইসের বিপরীতে আরেক ধরণের ডিভাইস রয়েছে- এনালগ ডিভাইস। এনালগ ডিভাইস হলো এমন ডিভাইস যা এনালজি অর্থাৎ সাদৃশ্যতার ভিত্তিতে কাজ করে। এই ধরণের ডিভাইস ফিজিকাল কোন কিছুর তারতম্যের ভিত্তিতে কাজ করে। এই তারতম্য হতে পারে কোন ইলেক্ট্রিকাল বা মেকানিকাল (যান্ত্রিক) কোয়ান্টিটির। যেমন একটা চাকা ঘোরানো হলো, কতটুকু ঘোরানো হয়েছে এটা একটা…

আরো পড়ুনডিজিটাল ও এনালগ: পার্থক্য কী?

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাম্প্রতিক অগ্রগতি ও আমার ভাবনা

প্রযুক্তির অগ্রগতি মাত্রই মানুষের জন্য কল্যাণ নিয়ে আসবে- এমন ভাবনাটা বাস্তবসম্মত না, আর ইতিহাসও এই কথার সাক্ষ্য দেয় না। কখনো প্রযুক্তির উদ্ভাবন হয়েছে ধ্বংসাত্মক উদ্দেশ্যে, কখনো ভালো উদ্দেশ্যে হওয়া আবিষ্কার বয়ে এনেছে মন্দ পরিণতি। অতি আশাবাদী অবস্থান থেকে কোন প্রযুক্তি নিয়ে সব আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না- সে প্রযুক্তি যত চমকপ্রদ হোক না কেন। আর যখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কথা আসে, তখন এই কথা আরো বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে যায়। প্রযুক্তি যখন অনেক কিছুকে অনেক সহজ করে দিয়েছে, একই সাথে জীবনে যোগ করেছে নতুন অনেক চ্যালেঞ্জ আর কমপ্লেক্সিটি। এটা সত্য যে যোগাযোগ, লেনদেন, বিনোদন থেকে শুরু করে জ্ঞানার্জন, স্কিল ডেভেলোপমেন্টের মত বিষয়গুলো প্রযুক্তির কারণে অনেক সহজ হয়ে গেছে। এক ট্যাপেই এখন হয়ে যায় অনেক কিছু। কিন্তু একই সাথে কোন কিছু যখন খুব সহজলভ্য হয়ে যায়, তার গুরুত্বও কমে যায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস তত পুরনো নয়। কিন্তু কয়েক দশকের মধ্যেই এর অগ্রগতি হয়েছে খুব দ্রুত। আরো আগেই আমরা ভিডিও গেমে ভার্চুয়াল…

আরো পড়ুনকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাম্প্রতিক অগ্রগতি ও আমার ভাবনা

হ্যান্ডস অন রিভিউ: Lenovo Tab M10 HD (2nd Gen)

বর্তমানে দেশের বাজারে ২৯ হাজার টাকার আশেপাশে পাওয়া যাচ্ছে Lenovo Tab M10 HD-এর 4/64 ভ্যারিয়েন্ট। ট্যাবটিতে থাকছে 10.1″ এর একটি HD+ রেজ্যুলেশনের ডিসপ্লে। প্রসেসর হিসেবে থাকছে Helio P22T। সামনে 5 MP ক্যামেরা ও পেছনে 8 MP ক্যামেরাযুক্ত মেটাল বিল্ট এই ট্যাবটিতে থাকছে সিম কার্ড সমর্থন। এই লেখাতে ট্যাবটি নিয়ে আমার অভিমত তুলে ধরছি। তার আগে বলে নিই যে, এটি একটি হ্যান্ডস অন রিভিউ, তবে ট্যাবটি খুব বেশি সময়ের জন্য কিংবা ডেইলি ড্রাইভার হিসেবে আমি ব্যবহার করিনি, এবং পুরো লেখার সময়ে ট্যাবটি আমার কাছেshorts ছিলো না- যেকারণে কিছু সূক্ষ্মতর বিষয় এই রিভিউতে আসবে না। এক্সটেরিয়র থেকে শুরু করি। Lenovo Tab M10 HD মেটাল বিল্ট, যা ট্যাবটিকে শাইনি ও প্রিমিয়াম লুক দিয়েছে। ট্যাবটির ডানদিকে থাকছে পাওয়ার ও ভলিউম বাটন এবং কার্ড ট্রে। বাম দিকে থাকছে POGO পিন, যেটা সম্ভবত কীবোর্ড যুক্ত করার জন্য। ওপরে ও নিচে থাকছে ডুয়াল স্পিকার। সাথে ওপরের দিকে মাইক্রোফোন পোর্ট ও নিচের দিকে চার্জিং পোর্ট থাকছে। ডিজাইন ও…

আরো পড়ুনহ্যান্ডস অন রিভিউ: Lenovo Tab M10 HD (2nd Gen)

অনলিঅফিস: কোলাবোরেটিভ ফিচারসহ এন্টারপ্রাইজ রেডি অফলাইন অথবা ক্লাউডভিত্তিক অফিস সফটওয়্যার

অনলিঅফিস একটি এন্টারপ্রাইজ-রেডি, ক্রস প্লাটফর্ম ও ওপেন সোর্স অফিস সফটওয়্যার। এটা অনলাইন ক্লাউডভিত্তিক অথবা অফলাইনে ব্যবহারযোগ্য। অনলিঅফিসের অনন্যতা এর ক্লাউডভিত্তিক ও কোলাবোরেটিভ ফিচার এবং এন্টারপ্রাইজ সাপোর্টে, কিন্তু সেইসাথে শুধুমাত্র একজন রেগুলার ইউজারের জন্যও যথেষ্ট কারণ রয়েছে মাইক্রোসফট অফিস, লিব্রাঅফিস, WPS অফিস কিংবা গুগল ডকসের মত বিকল্পগুলোর পরিবর্তে অনলিঅফিসকে বেছে নেয়ার। ইন্ডিভিজুয়াল, এডুকেশনাল অথবা ৫ জন পর্যন্ত কোলাবোরেটিভ ইউসেজের জন্য অনলিঅফিস সম্পূর্ণ ফ্রি, যেখানে তারা ২ জিবি ক্লাউড স্টোরেজও প্রদান করে। তবে হোম সার্ভার, বৃহত্তর বিজনেস ইউসেজ ও ডেভেলোপারদের জন্য জন্য বিভিন্ন প্যাকেজ অনলিঅফিস অফার করে। অনলিঅফিস নিজস্ব সার্ভারে ডিপ্লয় ও বিভিন্ন প্লাটফর্মের সাথে ইন্ট্রিগ্রেশন সুবিধা আছে। যাইহোক, এই লেখাতে অনলিঅফিসকে একজন সাধারণ ইউজারের পার্সপেক্টিভ থেকে উপস্থাপন করা হবে, এবং এই দৃষ্টিকোণে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে। অনলিঅফিসের বেশকিছু সংস্করণ রয়েছে। অনলিঅফিস ডকস- মূল ক্লাউডভিত্তিক অফিস স্যুট। অনলিঅফিস ওয়ার্কস্পেস- ডকসের সাথে আরো বিভিন্ন মডিউল ইন্ট্রিগ্রেট করে। এবং রয়েছে অফলাইনে ব্যবহারের জন্য ডেস্কটপ ও মোবাইল অ্যাপস। অনলিঅফিস ডকসের মধ্যে ডকুমেন্ট,…

আরো পড়ুনঅনলিঅফিস: কোলাবোরেটিভ ফিচারসহ এন্টারপ্রাইজ রেডি অফলাইন অথবা ক্লাউডভিত্তিক অফিস সফটওয়্যার

কেডিই প্লাজমা ডেস্কটপে আনুন ব্যতিক্রমী এনটিক ছোঁয়া

একটা সময়ে লিনাক্সভিত্তিক বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম এক্সপ্লোর করতে অভ্যস্থ ছিলাম, তবে এখন অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তনটা একরকম বিলাসিতা হবে- তাই অনেকদিন-ই মানজারো কেডিই-র সাথে আছি। তবে দীর্ঘদিন একইকম এক্সপ্রেরিয়েন্স ব্যাপারটা একটু বোরিং-ও মনে হয়। ভালো কথা হলো এখানে একটু পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগানোর জন্য কেডিই প্লাজমাতে অনেকরকম কাস্টমাইজেবিলিটির সুযোগ আছে। আমি খুঁজছিলাম এমন কিছু, যেটা উইন্ডোজ কিংবা ম্যাকের মত দেখতে নয়, এবং বর্তমানে প্রচলিত ডিজাইন একটু অন্যরকম। এই জায়গাতে ‘Psion’ থিম আমার কাছে বেশ সুন্দর লেগেছে। এর সাথে ‘Buuf For Many Desktops’ আইকন প্যাকটি বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ। স্পষ্টত, মডার্ন যেধরণের ফ্ল্যাট কিংবা ম্যাটেরিয়াল ডিজাইনের সাথে আমরা পরিচিত, এটা তেমনটা নয়। অনেকটা এনটিক একটা লুক আছে, যেটা আবশ্যিকভাবে মন্দ নয়। Buuf আইকন প্যাকের কথা বললে এখানে বেশ কিছু অদ্ভুত ধরণের আইকন আছে- যার সবগুলো আসলে ভালো লাগেনি আমার। তবে সচারচর যে আইকনগুলো বেশি চোখে পড়ে- ফাইল ম্যানেজার বা ফোল্ডার বা ডকুমেন্টস, সেগুলো একটা ভিনটেজ ভাইবসহ ভালোই লেগেছে। অবশ্যই অন্য কোন আইকন প্যাকও ব্যবহার করা…

আরো পড়ুনকেডিই প্লাজমা ডেস্কটপে আনুন ব্যতিক্রমী এনটিক ছোঁয়া

নিয়ন টেক আপডেট, ৩য় সপ্তাহ (৯ জুুলাই ২০২২ – ১৫ জুলাই ২০২২)

JWST-র প্রথম ছবি, উইন্ডোজ ১২-র সম্ভাবনা, ৯৬ কোরের সিপিইউ, নাথিং ফোন (1) এর রিলিজ, ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে ৫ প্রোফাইল যুক্ত করার ফিচার এবং সপ্তাহের আরো আকর্ষণীয় খবরাখবর
আরো পড়ুননিয়ন টেক আপডেট, ৩য় সপ্তাহ (৯ জুুলাই ২০২২ – ১৫ জুলাই ২০২২)

নিয়ন টেক আপডেট, ২য় সপ্তাহ (২ জুুলাই ২০২২ – ৮ জুলাই ২০২২)

টুইটারের চুক্তি বাতিল, হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফাংশনালিটি, আসুসের নতুন ফোন এবং আরো খবর...
আরো পড়ুননিয়ন টেক আপডেট, ২য় সপ্তাহ (২ জুুলাই ২০২২ – ৮ জুলাই ২০২২)

ফেসবুকে ইমোজিতে রূপান্তর না করে :‌), :‌P লিখবেন যেভাবে এবং টেলিগ্রামে নন-এনিমেটেড ইমোজি পাঠানো ও বাংলায় র‌্য লেখা- অনেক সমস্যার এক সমাধান!

ইউনিকোডের Zero Width Joiner (ZWJ) ও Zero Width Non-Joiner (ZWNJ) সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। অথচ ক্যারেক্টারগুলোর অনেক উপযোগিতা রয়েছে প্রতিদিনের ব্যবহারে। ফেসবুকে ইমোজি কোডগুলো ইমোজিতে রূপান্তর না করে লেখা, টেলিগ্রামে সাধারণ আকারের নন-এনিমেটেড ইমোজি পাঠানো, বাংলায় র‌্য লেখা কিংবা যুক্তবর্ণে পরিণত না করে মাঝখানে ্ যুক্ত করাসহ অনেক প্রয়োজন পূর্ণ করতে পারে এই ক্যারেক্টারদুটো। Zero Width থেকে বোঝা যাচ্ছে, ক্যারেক্টারগুলোর প্রস্থ শূন্য, অর্থাৎ, এটা বাড়তি কোন স্পেস নেয় না। বাংলাসহ ইন্দো-আর্য ভাষাগুলোসহ আরো কিছু ভাষাতে এদের ব্যবহার লক্ষ্যণীয়। যদি সাধারণভাবে ষ+্+ম লেখা হয়, তবে তা ষ্ম হিসেবে দেখায়। নিয়নবাতিতে ব্যবহৃত ফন্ট ‘Hind Siliguri’-তে ষ+্+ZWJ+ম আর ষ+্+ZWNJ+ম একইরকম দেখায়- ষ্‍ম, ষ্‌ম। কিন্তু অন্য ফন্টে আপনি পার্থক্য দেখতে পাবেন। বাংলায় র্ দিয়ে রেফ লেখা হয়, আবার ্‌য দিয়ে ্য লেখা হয়। তাই র‌্য লিখতে চাইলে তা র্য হয়ে যায়। কিছু সফটওয়্যারে এজন্য বিকল্প পদ্ধতি আছে- যেমন রিদ্মিক কীবোর্ড র‌্য একটি বাটন রয়েছে, অভ্র কীবোর্ড শুরুতে র্+য লিখলে তা র‌্য অটোমেটিকলি নিয়ে…

আরো পড়ুনফেসবুকে ইমোজিতে রূপান্তর না করে :‌), :‌P লিখবেন যেভাবে এবং টেলিগ্রামে নন-এনিমেটেড ইমোজি পাঠানো ও বাংলায় র‌্য লেখা- অনেক সমস্যার এক সমাধান!

টেলিগ্রামের ১২টি টিপস, যার কিছু হয়ত অজানা-ই ছিলো!

আসসলামু আলাইকুম। টেলিগ্রামের পরিচয় একটি ইন্সট্যান্ট মেসেজিং সার্ভিস অসাধারণ কিছু ফিচার এবং সেইসাথে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় উন্নত প্রাইভেসির জন্য অনেকেই টেলিগ্রামকে বেছে নিচ্ছেন। টেলিগ্রাম ইন্সট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপগুলোর মধ্যে একটি হলেও এটি তার থেকে অনেক বেশি কিছু। টেলিগ্রাম ক্লাউডভিত্তিক ও ক্রস প্লাটফর্ম। যেকোন অপারেটিং সিস্টেমে এবং ওয়েব থেকেও টেলিগ্রাম ব্যবহার করা যায়। যদিও প্রাইভেসি প্রধানতম চিন্তা হলে অধিকতর নিরাপত্তা ও প্রাইভেসির জন্য আমি টেলিগ্রাম থেকে সিগনাল সাজেস্ট করব, তবে জনপ্রিয় অন্য কিছু সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর তুলনায় বেশি স্বাধীনতা ও বেটার প্রাইভেসি টেলিগ্রাম দিয়ে থাকে। টেলিগ্রামের কিছু দারুণ ফিচার, টিপস শেয়ার করছি এখানে। এগুলোর সবই মূলত টেলিগ্রামের রেগুলার ফিচার, কোন সিক্রেট ট্রিকস না- তারপরও হতে পারে এর কিছু আপনার জানা ছিলো না। আর আমি অবশ্যই টেলিগ্রামের একদম লেটেস্ট ভার্সন ব্যবহারের পরামর্শ দিব, কেননা প্রতিটি আপডেটে টেলিগ্রাম দারুণ কিছু নিয়ে আসছে। ১. মেসেজ সেভ করে রাখা টেলিগ্রামে Saved Messages একটি সেকশন রয়েছে, এখানে আপনি যেকোন মেসেজ সেভ রাখতে পারবেন। সাইডবার কিংবা Chat List থেকে…

আরো পড়ুনটেলিগ্রামের ১২টি টিপস, যার কিছু হয়ত অজানা-ই ছিলো!

নিয়ন টেক আপডেট, ১ম সপ্তাহ (২৫ জুুন ২০২২ – ১ জুলাই ২০২২)

Nothing Phone (1), ওয়ালটনের নতুন ল্যাপটপ, সিম্ফনির নতুন স্মার্টফোন, 3 nm চিপ প্রোডাকশন, গুগলের কিছু খবর এবং এ সপ্তাহের আরো প্রযুক্তি সংবাদ...
আরো পড়ুননিয়ন টেক আপডেট, ১ম সপ্তাহ (২৫ জুুন ২০২২ – ১ জুলাই ২০২২)

রেজ্যুলেশন, পিক্সেল ডেনসিটি, মেগাপিক্সেল, পিক্সেল বিনিং ও সুপার রেজ্যুলেশন

টেকনিকাল কথাবার্তা কম হবে, সহজ কথায় সরলভাবে ধারণাগুলো বোঝা যাক। রেজ্যুলেশন HD (High Resolution) রেজ্যুলেশন বলতে বোঝায় এর রেজ্যুলেশন হলো 1280 x 720 পিক্সেল। অর্থাৎ ১২৮০টি করে পিক্সেলের ৭২০টি সারি বা ৭২০টি করে পিক্সেলের ১২৮০টি সারি। আর FHD (Full HD)-এর রেজ্যুলেশন হলো 1920 x 1080। UHD (Ultra HD) বা 4K রেজ্যুলেশন হলো 3840 x 2160। পিক্সেল ডেনসিটি ডিসপ্লের মাপ সচারচর কোণাকুণি হিসেব করা হয়। দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত 16:9 হলে 6″ ডিসপ্লের দৈর্ঘ্য প্রায় 5.24″ ও প্রস্থ প্রায় 2.95″। রেজ্যুলেশন HD হলে 5.24″-তে 1280 টি পিক্সেল ও 2.95″-তে 720 টি পিক্সেল আছে। তাহলে প্রতি ইঞ্চিতে পিক্সেল সংখ্যা প্রায় 244। এজন্য এই ডিসপ্লের পিক্সেল ডেনসিটি 244 PPI (Pixel Density)। পিক্সেল ওপরের ছবিটির রেজ্যুলেশন 50 x 50 পিক্সেল। অর্থাৎ এখানে মোট 50 * 50 = 2500টি পিক্সেল আছে। ছবিটি যখন আমরা জুম করব, তখন এই পিক্সেলগুলো আপনি আলাদাভাবে দেখতে পারবেন। ওপরের ছবিটিতে জুম করার পর দেখতে পারছেন আগের ছবিটি মূলত কিছু বর্গাকার…

আরো পড়ুনরেজ্যুলেশন, পিক্সেল ডেনসিটি, মেগাপিক্সেল, পিক্সেল বিনিং ও সুপার রেজ্যুলেশন

এডুকেশনের জন্য গুগল ওয়ার্কস্পেসের আনলিমিটেড ক্লাউড স্টোরেজের যুগ শেষ হলো, edu মেইলের অধিকারীরা আর পাবেন না আনলিমিটেড গুগল ড্রাইভ স্টোরেজ

জুলাই ২০২২ থেকে Google Workspace for Education-এর গ্রাহকদের জন্য গুগলের নতুন পলিসি প্রযোজ্য হচ্ছে, যেখানে প্রতিটি স্কুল বা ইউনিভার্সিটির জন্য সর্বমোট ১০০ টেরাবাইট স্টোরেজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গুগলের কথা অনুযায়ী যা প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডকুমেন্ট, ৮ মিলিয়ন প্রেজেন্টেশন অথবা ৪ লাখ ঘন্টার ভিডিও-র জন্য যথেষ্ট হবে। এখানে একটা স্যাড বাট ফান ফ্যাক্ট শেয়ার না করে পারছি না, যেভাবেই হোক, আমাদের ভার্সিটির শুধু একজন সিনিয়র ভাই ১৫৩ টেরাবাইটের বেশি স্টোরেজ ব্যবহার করেছিলেন, যা গুগলের পুরো প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন বরাদ্দের দেড়গুণ। 1 MBPS স্পিডে এই পরিমাণ আপলোড করতে প্রায় ৫ বছর সময় প্রয়োজন। দুঃখজনকভাবে গুগলের নতুন পলিসির কারণে তা এখন হারাতে হয়েছে। যাইহোক, নতুন নিয়মে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১০০ টেরাবাইট বেজলাইন শেয়ার্ড স্টোরেজ পাবে। পাশাপাশি প্রতিটি টিচিং ও লার্নিং লাইসেন্স ক্রয়ের জন্য ১০০ গিগাবাইট ও প্রতিটি এডুকেশন প্লাস লাইসেন্সের জন্য ২০ গিগাবাইট স্টোরেজ শেয়ার্ড পুলে যুক্ত হবে। যদি কোন ডোমেইনের অধীনে মোট ব্যবহৃত স্টোরেজ বরাদ্দ থেকে ২৫% বেশি হয়ে যায়, অথবা ১৪ দিনের…

আরো পড়ুনএডুকেশনের জন্য গুগল ওয়ার্কস্পেসের আনলিমিটেড ক্লাউড স্টোরেজের যুগ শেষ হলো, edu মেইলের অধিকারীরা আর পাবেন না আনলিমিটেড গুগল ড্রাইভ স্টোরেজ