পৃথিবী ও মহাবিশ্ব

মহাবিশ্বের শীতলতম স্থান…

শীতের প্রকোপটা শুরুতে এবার একটু কমই ছিলো, ভালোই ভালোই শীতটা কেটে যাচ্ছে ভেবে যখন পুলকিত হচ্ছিলাম, তখনই আবার এত শীত পড়ছে যে ছোটন কাকুর কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ঠিক এই মুহুর্তে, আমি যখন লিখছি, তখন বগুড়ায় তাপমাত্রা দেখছি ১৫°C, আর এই তাপমাত্রায় কয়েক স্তরের সোয়েটার-হুডি-গ্লাভস-মোজা-মাফলার এমনকি নাক রক্ষার জন্য ডাবল মাস্ক পড়েও তীব্র শীঈইত বোধ করছি। সে যাই হোক, শীত হলো আসলে তাপের অনুপস্থিতি। শীতের একটা সীমা আছে, যার চেয়ে বেশি শীত হওয়া সম্ভব না। অর্থাৎ, কোথাও যদি তাপ একদমই না থাকে, সেখানে যে তাপমাত্রা হবে, তা হলো পরম শূন্য তাপমাত্রা, যা কেলভিন স্কেলে ০, সেলসিয়াস স্কেলে -২৭৩ ডিগ্রি। আমাদের মহাবিশ্বে অবশ্যি এরকম পরম শূন্য তাপমাত্রার স্থান এখনো পাওয়া যায়নি, তবে সর্বনিম্ন যে তাপমাত্রার স্থান এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে, তার তাপমাত্রা এর থেকে মাত্র ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বুমেরাং নীহারিকা, পৃথিবী থেকে যার দূরত্ব ৫০০০ আলোকবর্ষ, এখানেই রেকর্ড হয়েছে এই তাপমাত্রা, -২৭২°C। নীহারিকা মহাকাশে ছড়িয়ে থাকা মেঘের মত, যেখানে ধূলিকণা,…

আরো পড়ুনমহাবিশ্বের শীতলতম স্থান…

প্লুটো ছিলো সৌরজগতের অষ্টম গ্রহ, জানেন কি?

এখন তো প্লুটোকে আর গ্রহের মধ্যেই ধরা হয় না, তবে আমরা সবাই জানি একটা সময়ে প্লুটো ছিলো সৌরজগতের স্বীকৃত নবম গ্রহ। কিন্তু আমি যদি বলি আসলে এটা একসময়ে, এমনকি দু’যুগ আগেও ছিলো সৌরজগতের অষ্টম গ্রহ এবং নেপচুনের অবস্থান ছিলো নবম? আর হ্যা, এটা কিন্তু সত্যিই! যদিও বিতর্ক চলছে এবং হয়ত আরো সময় ধরে চলবে, তবে এখন প্লুটোকে বামন গ্রহ বা Dwarf Planet হিসেবে ধরা হয়। আকারে এটা আমাদের পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদের থেকেও ছোট, চাঁদের ১,৭৩৭.১ কিমি ব্যাসার্ধের বিপরীতে প্লুটোর ব্যাসার্ধ মাত্র ১,১৮৮.৩ কিমি। প্লুটো পৃথিবীর হিসেবে প্রায় ২৪৮ বছরে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে থাকে, কক্ষপথটাও একটু আলাদা ধরণের। সৌরজগতের গ্রহগুলোর কক্ষপথগুলো অনেকটা একই সমতলে অবস্থান করে, যার নাম হলো ক্রাঁতিবৃত্ত বা ক্রান্তিবৃত্ত বা অয়নবৃত্ত বা সৌরবৃত্ত, ইংরেজিতে ecliptic। কিন্তু প্লুটোর কক্ষপথ এর থেকে ১৭ ডিগ্রি কোণের বেশি আনত থাকে। নিচের এনিমেশনে দেখা যাচ্ছে প্লুটোর কক্ষপথ গ্রহগুলো থেকে আলাদা ধরণের। প্লুটো কখনো কখনো নেপচুনের কক্ষপথে অতিক্রম করে ফেলে। নিচের ভিজুয়ালাইজেশনে ১৯০০…

আরো পড়ুনপ্লুটো ছিলো সৌরজগতের অষ্টম গ্রহ, জানেন কি?

মহাবিশ্বের বিশালতা: আপনার কল্পনার চেয়ে অনেক বেশি

রাতের ওই আকাশের জ্বলজ্বলে একেকটা তারা নাকি আমাদের সূর্যের মতই, আর প্রায়ই, আমাদের সূর্যের চেয়ে আরো অনেক অনেক বড় সব আগুনের গোলা, নিস্তদ্ধ রাতের শান্ত আকাশের দিকে তাকিয়ে হঠাৎই মন এক অসীম শূন্যতায় হারিয়ে যায়, হঠাৎই মনে হয়, ক্ষুদ্র, বড় ক্ষুদ্র আমরা। মহাবিশ্বের অসীমতার বুকে এক বিন্দুও কি বলা চলে? ভাবনাগুলো হঠাৎই এলোমেলো হয়ে যায়, মন দূরের ওই তারার দেশে হারিয়ে যায়। আমাদের পৃথিবী, আমাদের বাসস্থান। আমি, আপনি, আমাদের সবার ঠিকানা। একে ঘিরে আমাদের স্বপ্ন, আমাদের ভাবনা, আমাদের চাওয়া, আমাদের হতাশা। একান্নো কোটি বর্গ কিলোমিটার, শুনতে মনে হয় অনেক, অনেক। হ্যাঁ, আমাদের পৃথিবীটা ছোট্ট নয়, ক্ষুদ্র আমাদের তুলনায় অনেকটা বড়। কিন্তু, যখন আরেকটু বড় করে ভাবি? আমাদের সসীম মস্তিষ্কের অসীম কথাটার তাৎপর্য বোঝা কতটা সম্ভব, তা বলা কঠিন, তবে ইউনিভার্সকে আপনি যতটা সম্ভবত বড় ভাবছেন, বা যতটা বড় জানেন, তার চেয়ে তা অনেক অনেক অনেক বড়! চাঁদ, ইউনিভার্সে আমাদের সবচেয়ে কাছের সঙ্গী। কত দূরে সে? যতটা কাছের মনে হচ্ছে, ততটাও…

আরো পড়ুনমহাবিশ্বের বিশালতা: আপনার কল্পনার চেয়ে অনেক বেশি