
নবম শ্রেণি – বিজ্ঞান – রাশি, একক ও মাত্রার ধারণা
যদিও বর্তমান বইয়ে আলাদাভাবে রাশি, একক ও মাত্রা নিয়ে আলোচনা হয়নি, এই ধারণাগুলো পদার্থবিজ্ঞানে সবসময়ই প্রয়োজন।
যদিও বর্তমান বইয়ে আলাদাভাবে রাশি, একক ও মাত্রা নিয়ে আলোচনা হয়নি, এই ধারণাগুলো পদার্থবিজ্ঞানে সবসময়ই প্রয়োজন।
কিছু একটা সমস্যা অবশ্যই হচ্ছে। কী সেটা? এই ব্যাপারগুলো প্রকৃতির নিয়মকে নিয়ে সম্পূর্ণ নতুন আৢঙ্গিকে চিন্তা করার অবকাশ দিলো।
বিজ্ঞান সে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে যা পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণের ভিত্তিতে যাচাইযোগ্য। এর বাইরে যা আছে তা বিজ্ঞানের ক্ষেত্র নয়।
বিভাগগুলো এক করায় শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার সাধারণ ধারণা দেয়ার সুযোগ ছিলো, কিন্তু তা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না।
পূর্বের শিক্ষাক্রম যে খুব ভালো ছিলো, এরকম না। তবে এখন যা করা হয়েছে, এটা আসলে কল্পনাতীত।
আসলে এই তাপশক্তি আলাদা কিছু নয়, একটা বস্তুর কণাগুলোর সম্মিলিত গতিশক্তি-ই তাপশক্তি, অর্থাৎ গতিশক্তির কারণেই আমরা তাপ অনুভব করি।
চাপ হলো একক ক্ষেত্রফলে কোন তলের ওপর লম্বভাবে প্রযুক্ত বল। চাপকে P দ্বারা প্রকাশ করা হয়। মনে করো A ক্ষেত্রফলে F বল লম্বভাবে প্রযুক্ত হচ্ছে। তাহলে চাপ, P = F/A
কাজের একটা সুন্দর সংজ্ঞা হিসেবে আমরা বলতে পারি, বল প্রয়োগের মাধ্যমে বস্তুতে শক্তির স্থানান্তর ঘটানোই কাজ। এখন প্রশ্ন হলো শক্তি কী? শক্তি হলো কাজ করার সমার্থ্য।
যে বাহ্যিক কারণ বস্তুর বেগের পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম, তাকে বল বলে। এভাবেও বলতে পারি, বল হলো যা কোন বস্তুতে ত্বরণ সৃষ্টি করতে পারে।
যদি সূত্রগুলো কীভাবে এসেছে তা না বোঝো, তাহলে তোমার কনসেপ্টে বড় ঘাটতি যেমন থেকে যাবে, তেমনি পদার্থবিজ্ঞান পড়ায় যে আনন্দ থাকতে পারে, তা তুমি উপলদ্ধি করতে পারবে না।
সহজ কথায় গতি হলো সময়ের সাথে স্থানের পরিবর্তন। কিন্তু একটা সমস্যা, এই ধারণাটা সম্পূর্ণ নয়, অন্তত পদার্থবিজ্ঞানের জন্য তো নয়ই!
আমার যেটা মনে হয় এই অধ্যায়টা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, কেননা সবচেয়ে বেসিক আইডিয়াগুলো এখানে রয়েছে।