স্মার্টফোন চিপসেট, SoC (এসওসি): যা আপনার জানা দরকার আছে কিংবা নেই!

192 views

প্রথম কথা হলো চিপসেট কী? চিপসেট বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, অনেক ক্ষেত্রে সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণও বলা যায়। একটা গাড়ির জন্য ইঞ্জিন যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ডিজিটাল ডিভাইসে চিপসেটের গুরুত্ব বলা চলে ততটাই। আমরা যদি উইকিপিডিয়া থেকে চিপসেটের সংজ্ঞা দেখি, তাহলে সেখানে বলা হয়েছে, “কম্পিউটার ব্যবস্থায় একটি চিপসেট হল একটি সমন্বিত সার্কিটে বসানো একগুচ্ছ ইলেক্ট্রনিক উপাদান যা প্রসেসর, মেমোরি এবং পেরিফেরালের মধ্যে ডেটার প্রবাহ ব্যবস্থাপনা করে।” সংজ্ঞাটা একটু কঠিন, তবে ভালো ব্যাপার হলো এটা মুখস্থ করার প্রয়োজন নেই, কেননা আমি আমার অসাধারণ আধ্যাত্মিক শক্তিতে জানতে পেরেছি এবছর বিসিএস পরীক্ষায় এই সংজ্ঞা আসার বিশেষ সম্ভাবনা নেই।

আজকে অবশ্যি আমরা সামগ্রিকভাবে চিপসেট নিয়ে আলোচনা করছি না, আমাদের মূল ফোকাস থাকবে, স্মার্টফোন চিপসেট। অবশ্য আরো একুরেট হয় যদি আমরা এখানে SoC শব্দটা ব্যবহার করি, সে কথায় পরে আসছি। তবে চিপসেট কথাটা যেহেতু বেশি প্রচলিত, তাই এই টার্মটাই বেশি ব্যবহার করেছি।

চিপসেট কি খাওয়া যায়?

তো এবার সহজভাবে চিপসেট বোঝার চেষ্টা করি। চিপসেট মানে অনেকগুলো চিপের সমষ্টি। তবে ১০ টাকায় ১ প্যাকেট হাওয়ার সাথে যে চিপস ফ্রি দেওয়া হয় তার সাথে এই চিপসের কিঞ্চিত তফাৎ বিদ্যমান, ওটা খাওয়া যায়, কিন্তু এটা খাওয়া যায় না। চিপ-এর আরেকটা নাম হলো ইনটিগ্রেটেড সার্কিট, বাংলায় বলে সমন্বিত বর্তনী। সিলিকন বা এই টাইপের অর্ধপরিবাহী দিয়ে তৈরি অনেকগুলো ইলেকট্রনিক সার্কিট, যেমন ধরেন রোধ, ট্রানজিস্টর, ডায়োড, ক্যাপাসিটর এইসব নিয়ে চিপ তৈরি হয়। এগুলো হলো গিয়ে একেবারে আণুবীক্ষণিক জিনিস, একটা চিপে লাখ লাখ বা কোটি কোটি সার্কিট থাকতে পারে।

চিপসেটের কাজ হলো তথ্যের প্রবাহ ম্যানেজ করা। এই ধরেন, ইনপুট ডিভাইস থেকে তথ্য নিয়ে প্রসেসর, মেমোরি এগুলোতে পৌছে দেওয়া আবার প্রয়োজনমত আউটপুট ডিভাইসে তথ্য পাঠানো। এই জন্য এটাকে বলা হয় ডেটা ফ্লো ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, কঠিন বাংলায় বললে তথ্য প্রবাহ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি। আপনার বাসায় কোন কম্পিউটার থাকলে তার মাদারবোর্ডে সিপিইউ, জিপিইউ, আরো বিভিন্ন প্রসেসিং ইউনিট, থ্রিজি-ফোরজি-ব্লুটুথ-ওয়াইফাই মডেম এই টাইপের যা যা আছে সবকিছু নিয়ে ওটার চিপসেট গড়ে উঠেছে।

SoC আবার কী জিনিস?

কিন্তুক স্মার্টফোনের চিপসেটে কাহিনী এট্টু ভিন্ন। এখানে সবকিছু থাকে একটা চিপে। এইটার অনেকগুলো পার্ট আছে, যেমন ধরুন CPU, GPU, ISP/IPU (Image signal processor/Image Processing Unit), DSP (Digital Signal Processor, গাণিতিক ফাংশন পরিচালনা করে), NPU (Neural Processing Unit, AI ও মেশিন লার্নিং সংক্রান্ত কাজের জন্য) Modem এরকম আরো হাবিজাবি। কম্পিউটারে এগুলো আলাদা আলাদা চিপ হিসেবে থাকে, সব মিলিয়ে চিপসেট। কিন্তু স্মার্টফোনের চিপসেট বলতে আমরা যা বুঝি তা আদতে চিপের সেট বা সমষ্টি না, এটা একক একখানা চিপ, যার মধ্যে সবকিছু ঠেসে দেয়া হয়। এই কারণে স্মার্টফোনের বেলায় এসওসি (SoC) শব্দটা ব্যবহার করা হয়। মানে হইলো গিয়ে সিস্টেম অন এ চিপ (System on a Chip)। নাম থেকে তো বুঝেই ফেলেছেন, এর মানে হইলো একখানা চিপের ওপরই পুরো সিস্টেম চলতেসে।

অনেকে চিপসেট আর প্রসেসর এক মনে করেন। আসলে একটু তফাৎ আছে, প্রসেসর সচারচর CPU (সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট)-কে নির্দেশ করে, অথবা গ্রাফিক্স প্রসেসর (GPU), ইমেজ প্রসেসর (IPU) প্রভৃতি হতে পারে। আর চিপসেট হলো এর সবের সমষ্টি, সাথে বিভিন্ন মডেম এবং আরো প্রযুক্তির সমন্বয়ে তথ্য প্রবাহের একটি সিস্টেম। আর স্মার্টফোনে মোট একটিই চিপ থাকে যেখানে সব কিছু একসাথে থাকে, এইজন্য এটা হলো SoC। স্মার্টফোনকে যে এত ছোট সাইজে রেখেও এত পাওয়ারফুল করা যায়, এর অন্যতম কারণ হলো চিপসেটের পরিবর্তে SoC ব্যবহার। আশা করি ব্যাপারগুলো হালকা হালকা বোঝা যাচ্ছে।

এখন সিঙ্গেল বোর্ড কম্পিউটারগুলো আস্তে আস্তে জনপ্রিয় হয়ে উঠতেসে। পিচ্চি একখানা ক্রেডিট কার্ড সাইজের বোর্ড কিংবা কীবোর্ডের মধ্যে পুরা একটা পিসির মানে সিপিইউয়ে যা যা থাকে সব ঠেসে দেয়া হচ্ছে, আর এটা সম্ভব হচ্ছে কেননা চিপসেটের পরিবর্তে সেখানে স্মার্টফোনের মত এসওসি ব্যবহার হয়েছে।

এতক্ষণ SoC আর চিপসেটের তফাৎ বুঝাইনোর চেষ্টা করলেম। কিন্তু স্মার্টফোনের SoC-ও দিনশেষে কাইন্ড অফ চিপসেট, জাস্ট আলাদা আলাদা চিপ না হয়ে সব একসাথে। কাজেই ইহাকেও প্রায়সময়ই চিপসেট বলা হয়, আর এটাই মনে হয় বেশি চলে। তাই SoC না বলে চিপসেট বলা যেতেই পারে, এবং আমি নিজেও সাধারণত চিপসেটই বলে থাকি।

সারসংক্ষেপ: চিপসেট হলো অনেকগুলো চিপের সমষ্টি, তবে মোবাইলে বিশেষ ধরণের চিপসেট ব্যবহার হয়, যাকে SoC বলে। SoC হলো সিস্টেম অন এ চিপ, অর্থাৎ এখানে আলাদা আলাদা অনেকগুলো চিপ না থেকে একটি চিপেই সবকিছু থাকে। যার মধ্যে সিপিইউ, জিপিইউ, বিভিন্ন মডেম, নিউরাল প্রসেসর, আইএসপিসহ অনেক কিছু আছে। যখন মোবাইল চিপসেট বলা হয়, তখন মূলত SoC-ই বোঝানো হয়।

খালি চিপসেট হলেই হবে?

দেখে থাকবেন, স্মার্টফোন নিয়ে কথায় চিপসেটের আলোচনা বহুত হয়। অনেক সময় তো চিপসেটের ওপরই ফোনকে বিচার করা হয়, চিপসেট ভালো তো ফোন ভালো, চিপসেট ভালো না হলে ফোনই ভালো না। এখানে প্রশ্ন আসিতে পারে একখানা ফোনের যদি সবকিছু ভালো হইয়া চিপসেটে কমতি থাকিলে দোষ কী?

আসলে চিপসেট হইলো ধরেন একটা ফোনের মস্তিষ্ক, মানে ব্রেন। তো, চিপসেট ভালো না হলে বাকিদিকগুলোও ভালো হইবার পারে না। মনে করেন realme C17 বা 7i-তে 90Hz রিফ্রেশ রেট দেয়া হয়েছে। What is the problem of the সমস্যা here? সমস্যা হইলো এদের চিপসেট সর্বোচ্চ 1080P@60Hz সমর্থন করে, কাজেই এখানে 90Hz দিতে গিয়ে 720P ডিসপ্লে দিতে হয়েছে, এবং তারপরও এই চিপসেট 90Hz এর জন্য ভালোভাবে ক্যাপাবল না, কাজেই 90Hz এর স্মূথনেসের পুরোটা এখান থেকে পাওয়া সম্ভব না।

আবার অনেক ফোনে দেখবেন ৪-৫টা ক্যামেরা দেয়া, কিন্তু প্রাইমারী ক্যামেরা আর সেলফি ক্যামেরা বাদে বাকিগুলো 2MP করে, কিংবা AI Lens, B&W, QVGA লো লাইট সেন্সর এরকম অদ্ভুত কিছু লেন্স, যা সংখ্যা বাড়ানো বাদে বিশেষ কোন কাজেই আসে না। অনেক সময়ই এর সম্ভাব্য কারণ হইতে পারে চিপসেটের সীমাবদ্ধতা, অর্থাৎ, চিপসেট হয়ত ডুয়াল ক্যামেরা সমর্থিত, সেখানে যুগের সাথে তাল মিলাতে ৪-৫টা দিতে গিয়ে 2MP বা QVGA এরকম লেন্স দিতে হচ্ছে…

গীকবেঞ্চে দেখলাম Walton Primo RX8 লিস্টেড হয়েছে, এর স্পেক সম্পর্কে সেই সূত্রে এতটুকু জানা গিয়াছে যে এর র‍্যাম ৪ জিবি আর চিপসেট Helio P22। কিন্তু তাও বইলা দিতে পারি RX7-এ 1080P ডিসপ্লে থাকলেও RX8-এ 720P থাকবে, কেননা Helio P22 আসলে এর বেশি সমর্থনই করে না। তো, এরকম ব্যাপারটা। চিপসেট যেহেতু প্রসেসিংয়ের কাজ করে, তাই ভালো চিপসেট ছাড়া আর সব দিকও ভালো দেওয়া আসলে সম্ভব হইতারে না।

তাই বলে শুধু চিপসেট ভালো হলেই ফোন ভালো, এই কতা আমি বলি নাই। এই ধরেন, 4.7″ ডিসপ্লের সাথে A13 Bionic চিপসেট ধরিয়ে দিয়ে অ্যাপল অনেককেই চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলো এই পিচ্চি ডিসপ্লের ফোনে এত পাওয়ারফুল চিপসেট দিয়ে হবেটা কী? যদি একটি ফোনে Snapdragon 865+ এর সাথে 2GB র‍্যাম ধরিয়ে দেয়া হয়, তখন চিপসেট দেখে কিন্তু টুরু লাভ হইবে না, কেননা র‍্যামের জন্য চিপসেটের ক্ষমতা বাস্তবে কোন কাজেই আসবে না।

আবার সব ফোনে সমান চিপসেট লাগবে, তাও বোধ করি না। ধরেন একটি পারফর্মেন্স সেন্ট্রিক ফোনে বাজেটের মধ্যে সেরা চিপসেটই চাওয়া থাকে, আবার মাল্টিমিডিয়া বা ক্যামেরাতে যদি ফোকাস থাকে, সেক্ষেত্রে চিপসেটে কিছুটা কমতি মেনে নেয়া যায়। তবে দাম আর বাকি স্পেকের সাথে সামঞ্জস্য না রাখলে আবার মুশকিল।

অনেকসময় দেখা যায় এমন স্পেক দেয়া হয়, যা চিপসেটের ক্যাপাবিলিটির বাইরে, ফলে হার্ডওয়্যারের পুরোটা ডেলিভার করতে পারে না, এই realme C17 বা 7i এর 90Hz-এর কথাই ধরেন। 7i তে 8GB বিশাল র‌্যাম ধরিয়ে দিয়েছিলো, যা SD662 এর একটা ডিভাইসে আসলে বিশেষ উপকারে আসিবে না।

তাই চিপসেট অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, ফোনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোর একটি। তবে খালি চিপসেট দেখিলে হইবে না। আবার চিপসেট না দেইখে শুধু র‌্যাম-রম, রিফ্রেশ রেট টাইপের ফিচার দেখে কিনিলে ভবিষ্যতে আড়ালে লুকিয়ে চোখের পানি ফেলিতে হইতেও পারে। অবশ্যি আপনি কী ধরণের ইউজার এইটাও চিন্তায় রাখিবেন…

কিছু ব্যাপার-স্যাপার

কোন এসওসি ভালো এটা অনেক সময়ই আমরা প্রসেসরের ক্লকস্পিড, কোর সংখ্যা, কত nm এসব দেখে করে ফেলি। এটা খুব ভালো একখানা ভুল পদ্ধতি। ধরেন, Helio P22 আর Helio P60, একই কোম্পানি মিডিয়াটেকের দুটো চিপসেট, দুটোই 12nm, কোর সংখ্যা ৮, ক্লকস্পিড 2.0GHz, অথচ বেঞ্চমার্ক স্কোর P60 দেড় থেকে দুইগুণ বেটার স্কোর করে। ইহা কী কারণে?

কারণ বহুত আছে। Helio P22 তে সবগুলো কোর ARM Cortex A53, অথচ P60 তে চারটি করে A73 ও A53। P22 জিপিইউ তে PowerVR GE8320, P60 তে Mali G72 MP3, যা অনেক বেটার। ডিসপ্লে, ক্যামেরা, AI, র‍্যাম প্রভৃতি সমর্থনের দিকেও P60 বেটার পারফর্মার। অর্থাৎ, শুধু ক্লকস্পিড আর কোর সংখ্যা কখনোই চিপসেটের মান বোঝার জন্য যথেষ্ট নয়।

তাহলে একটি চিপসেট কতটা ভালো, তা স্পেসিফিকেশন থেকে কীভাবে বুঝা যাইতে পারে? আগেই বলা হয়েছে, চিপসেটে অনেককিছু থাকে, কাজেই ব্যাপারটা একটু কঠিনই বটে। কয়েকটি নিয়ামক নিচে তুলে ধরা হলো, ব্যতিক্রম থাকতেই পারে:

CPU

Central Processing Unit নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে এটি প্রসেসিং সংক্রান্ত কাজের মূল অংশ। চিপসেট বা SoC তে আরো বিভিন্ন ধরণের প্রসেসিং ইউনিট থাকে, যারা নির্দিষ্ট কাজের জন্য বিশেষায়িত, তবে সিপিইউ হলো কেন্দ্রীয় অংশ, যা সাধারণ প্রসেসিং কাজগুলো করে। এটাকে প্রসেসরও বলা হয়।

প্রসেসরের কিছু দিক আমরা বিশ্লেষণ করি:

কোরসংখ্যা: গ্রাফিক্সের কাজসহ কিছু টাস্ক আছে, যা একসাথে একাধিক কোর ব্যবহার করে, মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্যও বেশি কোর থাকা ভালো। আবার গেমিংসহ কিছু টাস্ক মূলত একটি কোরের ওপরই নির্ভর করে। তো মাল্টিকোরে যে কাজগুলো হয়, কোরসংখ্যা বেশি হলে সেগুলোতে বেটার পারফর্মেন্স পাওয়া সম্ভব। আবার খুব বেশি কোর হলেও সমস্যা, তখন হিটিং ও ব্যাটারী কনজ্যুম বেশি হয়ে যায়। একারণে বর্তমানে সাধারণত আট কোরের প্রসেসর বেশি দেখা যায়।

ক্লকস্পিড: সিপিইউয়ের ক্লকস্পিড বেশি হলে বেটার পারফর্মেন্স পাওয়া যায়। তবে কোর সংখ্যার মত এখানেও খুব বেশি হলে সমস্যা। কোর যত পাওয়ার ইফিশিয়েন্ট হবে ও ট্রানজিস্টর সাইজ যত কম হবে, ক্লকস্পিড তত বেশি দেওয়া সম্ভব। সাধারণত এখন চিপসেটগুলোতে দুই বা তিনটি কোরের সেট থাকে এবং big.LITTLE টেকনোলজি ব্যবহার হয়, অর্থাৎ, কোন সেট পাওয়ার সেভিং হয়, কোন সেট পারফর্মেন্স সেন্ট্রিক হয়। ফলে পারফর্মেন্স ও পাওয়ার ইফিশিয়েন্সির সামঞ্জস্যতা রক্ষিত হয়।

কোরের ধরণ: অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন চিপগুলো মূলত ARM Cortex বেজড হয় এবং তাদের বিভিন্ন ধরণের কোর আছে। বর্তমানে A50 সিরিজের A53 ও A55; A70 সিরিজের A72, A73, A75, A76, A77 ও A78 এই কোরগুলো দেখা যায়। A7, A12, A35, A57 সহ আরো কোর আছে, যাদের ব্যবহার এখন তেমন দেখা যায় না। A50 সিরিজ পাওয়ার ইফিশিয়েন্ট, A70 সিরিজ পারফর্মেন্স সেন্ট্রিক, সামনে আমরা আরো পাওয়ারফুল X1 কোর আমরা দেখতে পারি।

ARM এর দাবি অনুযায়ী, A53 থেকে A55 18% বেটার পারফর্মার ও 15% বেশি পাওয়ার ইফিশিয়েন্ট। তবে A57 কিন্তু নামে এগিয়ে থাকলেও এটা A55 এর অনেক আগে রিলিজ হয়েছিলো, এখন এর ব্যবহার দেখা যায় না। A70 সিরিজে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী কোরগুলো পূর্ববর্তীগুলো থেকে বেটার, অর্থাৎ A78>A77>A76>A75>A73>A72। এমনকি দেখা যায়, সেম ক্লকস্পিডের দুটি A75 কোর ৪টি A73 থেকে কিছু জায়গায় বেটার আউটপুট দিতে পারে।

পারফর্মেন্স ও ইফিশিয়েন্সির ব্যালেন্স রাখার জন্য সিপিইউ কোরগুলো সাধারণত ২ বা ৩টি ক্লাস্টার বা গুচ্ছ হিসেবে থাকে। একটি ক্লাস্টারে হয়ত বেশি ক্লকস্পিডের ২ অথবা ৪টি হাই পারফর্মেন্স কোর দেয়া হলো, আরেকটি ক্লাস্টারে পাওয়ার সেভিং চারটি কোর। আবার হাই পারফর্মেন্স কোরগুলোর মধ্যে ১ অথবা ২টির ক্লকস্পিড বা কোর আরো পাওয়ারফুল দিয়ে তিন ক্লাস্টার করা হতে পারে।

আমরা উদাহরণ থেকে সহজে বুঝতে পারি। কোয়ালকমের নতুন ফ্ল্যাগশিপ Snapdragon 888 চিপসেটে একটি 2.84GHz ক্লকস্পিডের X1, তিনটি 2.4GHz এর A78 ও ৪টি 1.8GHz ক্লকস্পিডের A55 কোর থাকতে পারে। পারফর্মেন্সের বেলায় X1 কোরটি অত্যন্ত পাওয়ারফুল। এই কোরটি সিঙ্গেল কোর টাস্কগুলোতে সর্বোচ্চ পারফর্মেন্স ডেলিভার করার জন্য। A78-ও খুব পাওয়ারফুল কোর, তবে X1 থেকে কিছুটা কম, একইসাথে ইফিশিয়েন্সিও কিছুটা বেটার, তাই বাকি তিনটি হাই পারফর্মেন্স কোর এই সিরিজের। A55 কোরগুলোতে যেহেতু পাওয়ার সেভিং ও ইফিশিয়েন্সি গুরুত্বপূর্ণ, তাই এদের ক্লকস্পিড কম দেয়া হয়েছে।

ট্রানজিস্টর সাইজ: চিপসেটগুলো কোনটি 7nm, কোনটি 12nm এরকম আমরা শুনি। অনেকে এটাকে পুরো চিপসেটের সাইজ মনে করে, আসলে না, এটা হলো সিপিইউয়ের ট্রানজিস্টরের সাইজ। সিপিইউগুলো কোটি কোটি ট্রানজিস্টরে তৈরি হয়, প্রতিটি ট্রানজিস্টর যত ছোট হবে, তা তত কম পাওয়ারে কাজ করতে পারবে। ফলে কাজ দ্রুততর হবে আর কম তাপ উৎপন্ন হবে। ইতোমধ্যেই আমরা স্মার্টফোনের জন্য সর্বনিম্ন 5nm পর্যন্ত ট্রানজিস্টর সাইজের কথা জেনেছি। আরো দেখুন এখানে

এই ব্যাপারগুলো কিন্তু শুধু সিপিইউয়ের জন্য নয়, অন্যান্য প্রসেসিং ইউনিটগুলোতেও মোটামুটি প্রযোজ্য। তবে অন্যগুলো আমরা এতটা ডিটেইলে আলোচনা করব না।

GPU

GPU গ্রাফিক্সের কাজের জন্য বিশষায়িত। স্ন্যাপড্রাগন SoC-তে সাধারণত কোয়ালকমের নিজেদের Adreno জিপিইউ দেখা যায়, অ্যাপলের বায়োনিক চিপসেটগুলোতেও থাকে অ্যাপলের নিজস্ব জিপিইউ। এক্সিনস, মিডিয়াটেক, ইউনিসক ও অন্যরা দেখায় Mali বা PowerVR ব্র্যান্ডের জিপিইউ ব্যবহার করে থাকে।

ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন চিপসেটগুলোর মধ্যে সাধারণত অ্যাপলের বায়োনিক চিপসেটের জিপিইউ পারফর্মেন্স সেরা হয়ে থাকে, তবে দিনদিন কম্পিটিশন টাফ হচ্ছে। ৭৭-টি জিপিইউ-এর একটি র‌্যাঙ্কিং ও কোন কোন চিপসেটে এদের ব্যবহার করা রয়েছে তার একটি তালিকা আছে এখানে, যা থেকে একটি তুলনামূলক ধারণা পেতে পারেন।

এখানেও বিভিন্ন ধরণের কোর দেখা যায়। কোরের সংখ্যাও জিপিইউভেদে একটি, দুটি, দশটি এমনকি বাইশটি পর্যন্ত আমার চোখে পড়েছে। ক্লকস্পিডও কমবেশি হয়ে থাকে। এবং 8nm একটি চিপসেটে জিপিইউ কিন্তু 14nm আর্কিটেকচারেরও হতে পারে, কেননা চিপসেট এত ন্যানোমিটার এমনটা বললে মূলত সিপিইউয়ের ট্রানজিস্টর সাইজ বোঝানো হয়।

IPU/ISP

স্মার্টফোন গ্রাহকদের অন্যতম চাহিদা থাকে ক্যামেরা। ক্যামেরা শুধু মেগাপিক্সেল বেশি হলেই কিন্তু যথেষ্ট না, সেন্সর কোয়ালিটি আর সফটওয়্যারও গুরুত্বপূর্ণ। এবং সেই সাথে গুরুত্বপূর্ণ হলো চিপসেটের ইমেজ প্রসেসিং ক্যাপাবিলিটি কতটা আছে, সর্বোচ্চ কী ধরণের রেজ্যুলেশনের ছবি সে প্রসেসর করতে ক্যাপাবল। তাই IPU বা ইমেজ প্রসেসিং ইউনিট একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। এর আরেকটি নাম হলো আই ISP বা ইমেজ সিগনাল প্রসেসর।

মডেম

মডেম বলতে WiFi, Bluetooth, Cellular Network প্রভৃতি সিগনাল কনভার্সনের টেকনোলজি বোঝায়। যেমন, আমাদের দেশে খুব বেশি না হলেও অনেক ক্ষেত্রেই এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা হলো 5G সুবিধা। তো, একটি ফোনে তখনই 5G থাকা সম্ভব যদি এর চিপসেটে 5G মডেম থাকে।

NPU

বর্তমানে মেশিন লার্নিং ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। স্মার্টফোনগুলো আরো স্মার্ট হয়ে ওঠার জন্য তাই Neural Processing Unit বা NPU এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

এখানে যা বলা হয়েছে, তা কয়েকটি দিক। চিপসেটের আরো অনেক পার্ট থাকতে পারে। আবার চিপসেটভেদে অনেক সময় কিছু এক্সট্রা ফিচার্স বা ফাংশনালিটি থাকে। শুধু গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটা ব্যাপার বললাম আরকি।

বেঞ্চমার্ক

কাগজে কলমে হিসেব নিকেশ কষেই যে সব ঠিকঠিক বোঝা যায় এমন নয়। পারফর্মেন্সের দিক দিয়ে একটা সাধারণ ধারণা পাওয়ার জন্য একটি পদ্ধতি হলো বেঞ্চমার্ক। বেঞ্চমার্কে কিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে তাদের অ্যালগরিদমের সাহায্যে একটি স্কোর দেয়া হয়।

বেঞ্চমার্ক স্কোর বেশি হলেই একটি চিপসেট সবসময় বেটার নয়, তারপরও একটা সাধারণ ধারণার জন্য বেঞ্চমার্ক বেশ কাজে দেয়। কয়েকটি ফোনের বেঞ্চমার্ক স্কোর থেকে তাদের চিপসেটের পারফর্মেন্স নিয়ে একটা মোটামুটি ধারণা পাওয়া যেতে পারে। বেঞ্চমার্কের মধ্যে Geekbench, AnTuTu বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এছাড়াও 3DMark, PCMark, Octane সহ আরো বেশকিছু আছে।

তাছাড়া অনলাইনে বিভিন্ন কম্পারিজন ওয়েবসাইট রয়েছে, যারা একাধিক চিপসেটের মধ্যে তুলনামূলক ধারণা পেতে সাহায্য করে। তবে এর মধ্যে কারো কারো, বিশেষ করে Versus এর স্কোরিং সিস্টেম কখনো কখনো বেশ বিভ্রান্তিকর। আমার অভিজ্ঞতায় NanoReview এর কম্পারিজনগুলো তুলনামূলক ভালো। তবে দিনশেষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রিয়েল লাইফ এক্সপেরিয়েন্স, যেটা আসলে কাগজে-কলমে হিসেব কষে পুরোপুরি বোঝা প্রায় অসম্ভব।

জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলো

আমরা সবচেয়ে জনপ্রিয় SoC ব্র্যান্ডগুলোর সাথে পরিচিত হয়ে থাকবো। যেমন, কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন, মিডিয়াটেক, ইউনিসক, স্যামসাংয়ের এক্সিনস, হুওয়াওয়ের কিরিন, অ্যাপলের বায়োনিক এগুলো বেশ পরিচিত নাম।

বায়োনিক চিপসেটকে স্মার্টফোনের জগতে সিম্পলি বেস্ট মনে করা হয়। অ্যাপল নিজেদের ডেভেলোপকৃত কোর ব্যবহার করে। জিপিইউতেও তারা অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তবে মনে হচ্ছে সামনে ফাইটটা কঠিন হবে, বিশেষ করে ২০২১ সালে Snapdragon 888, Exynos 2100, Kirin 9000 চিপসেটগুলো অ্যাপলের জন্য শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে।

ইউনিসক ততটা জনপ্রিয় এখন পর্যন্ত না। এক্সিনস, কিরিন আর বায়োনিক নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের বাইরে তেমন একটা দেখা যায় না, অবশ্য এক্সিনস স্যামসাংয়ের বাইরেও অল্প কিছু ডিভাইসে ব্যবহার হয়েছে, আপকামিং Vivo X60 সিরিজে Exynos 1080 থাকার কথা। যাইহোক, সাধারণভাবে স্ন্যাপড্রাগন আর মিডিয়াটেক নিয়ে আলোচনা বেশি হয়।

বছরতিনেক আগেও লো রেঞ্জের বাইরে মিডিয়াটেক তেমন দেখা যেত না, মিড বাজেট ও হায়ার মিড বাজেটে স্ন্যাপড্রাগনের আধিপত্য ছিলো স্পষ্টভাবেই। দুষ্টলোকেরা মিডিয়াটেক না বলিয়া গোপনে মদনটেক বলিয়া ডাকিতো (এখনো ডাকে)। তবে দিনদিন অনেক কোম্পানি লোয়ার মিড, মিড কিংবা ফ্ল্যাগশিপ কিলার ধরণের ডিভাইসেও মিডিয়াটেকের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। মিডিয়াটেক দিনদিন ভালোই উন্নতি করছে এটা বলতেই হয়।

তারপরও বহু লোকে স্ন্যাপড্রাগন পছন্দ করেন। মিডিয়াটেকের কিছু পুরনো অভিযোগ আছে, যেমন অপটিমাইজেশনের অভাব, সময়ের সাথে পারফর্ম্যান্স কমে যাওয়া, হিটিং প্রভৃতি। এই বিষয়গুলো অবশ্য তাদের নতুন চিপসেটগুলোতে অনেকটাই সমাধান হয়েছে এবং আরো হচ্ছে, তবে তারপরও এখনো ডেভেলোপার সাপোর্ট, অপটিমাইজেশন, স্ট্যাবল পারফর্মেন্সে স্ন্যাপড্রাগন চিপসেটকে বেটার মনে করা হয়। বিভিন্ন লেটেস্ট টেকনোলজি ব্যবহারে প্রায়সই স্ন্যাপড্রাগন অগ্রগামী হয়ে থাকে।

স্ন্যাপড্রাগনের ডেভ সাপোর্ট ভালো হওয়ার একটি বিশেষ প্লাসপয়েন্ট হলো গুগল ক্যামেরা। সাধারণত স্ন্যাপড্রাগন ডিভাইসের ক্ষেত্রে সহজেই উপযুক্ত গুগল ক্যামেরা খুঁজে পাওয়া যায়, কিন্তু মিডিয়াটেক চিপসেট হলে প্রায়সই ডিভাইসের উপযুক্ত গুগল ক্যামেরা পাওয়া যায় না। গুগল ক্যামেরা অ্যাপ দিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই ফোনের স্টক ক্যামেরা অ্যাপ থেকে বেটার ছবি তুলে থাকে বলে অনেকেই গুগল ক্যামেরা সমর্থনকে গুরুত্ব দেন।

তবে বিশেষ করে লো বাজেট ও মিড বাজেটে এখন দেখা যাচ্ছে মিডিয়াটেক ওভারঅল প্রতিদ্বন্দ্বী স্ন্যাপড্রাগন SoC থেকে সিপিইউ ও জিপিইউ পারফর্মেন্সের দিক থেকে এগিয়ে থাকছে। আবার, একটি মিডিয়াটেক চিপসেট তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্ন্যাপড্রাগন চিপসেট থেকে দামের দিক দিয়ে অনেকটা কম হয়ে থাকে। অন্যভাবে বললে কম দামের মধ্যে বেটার পারফর্মেন্স দেয় মিডিয়াটেক। তাই উভয়ের সুবিধা-অসুবিধা মিলিয়ে দিনদিন প্রতিযোগিতা বেশ জমে উঠছে।

চিপসেট সিরিজ

Mediatek

Helio: Mediatek এর Helio সিরিজ নিয়ে একটু বলে রাখি। এই সিরিজের ৪টি সাবসিরিজ আছে। Helio X চিপসেট এখন দেখা যায় না, অনেকদিন মিডিয়াটেক এই সেগমেন্টে নতুন কিছু আনেওনি। Extreme Performance ট্যাগযুক্ত প্রায় বিলুপ্ত এই সিরিজের অধিকাংশ SoC ছিলো ডেকাকোর বা ১০ কোরের এবং তিনটি ক্লাস্টার বা সেটে বিভক্ত। এই অতিরিক্ত সংখ্যক কোরের সুবিধার সাথে অসুবিধাও আছে, যা আগেই বলেছি।

Advanced & Accessible ট্যাগসহ Helio A সিরিজের SoC-গুলো মোটামুটি ১০ হাজার টাকার নিচের বাজেটের ডিভাইসের জন্য তৈরি বলা যায়। P সিরিজের ট্যাগলাইন হলো Premium Performance। তবে এই সিরিজের চিপসেটগুলোর মধ্যে বেশ বিস্তর তফাৎ আছে। যেমন, P22 অনেকটা বাজেটসেন্ট্রিক, আবার P95 অনেকটা এডভান্সড।

এরপর “The G in Gaming” ট্যাগ নিয়ে G সিরিজ একটু গেমিং ফোকাসড ভাইভ নিয়ে আছে, তবে নামে G থাকলেই গেমিং হয়না, যেমন, G25, G35 অবশ্যই সেরকম কিছু না। আবার এই সিরিজের কয়েকটি চিপসেট P সিরিজ থেকে রিব্র্যান্ড, এবং শুধু নামের মধ্যে P কেটে G লাগিয়ে দিয়েই মিডিয়াটেক কিন্তু সফলভাবে মার্কেটে আলাদা একটা ফেসভ্যালু ক্রিয়েট করেছে।

Dimensity: নামের মধ্যেই জব্বর একটা ভাব আছে, তাই না? এটা মিডিয়াটেকের 5G সিরিজ। Helio P ও G সিরিজ যদিও মিডিয়াটেককে লো রেঞ্জ ও মিড রেঞ্জে জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে, তবে Mediatek Dimensity 1000 বলা যায় তাদের প্রথম চিপসেট যা স্ন্যাপড্রাগনের ফ্ল্যাগশিপ চিপসেটের সাথে হেড টু হেড কম্পারিজনের যোগ্য (যদিও ওভারঅল একটু পিছিয়ে)।

Dimennsity সিরিজে মূলত এখন পর্যন্ত মিডিয়াটেকের সব 5G চিপসেটই এই সিরিজের অন্তর্ভুক্ত। চিপসেটগুলো 7nm আর্কিটেকচারে তৈরি। তবে এই সিরিজের সব চিপসেটই সর্বোচ্চ FHD+ রেজ্যুলেশন, LPDDR4x র‌্যাম ও UFS 2.2 স্টোরেজ সমর্থিত, যারা এর অন্যতম উইক পয়েন্ট, কেননা বিপরীতে Snapdragon এর ফ্ল্যাগশিপ চিপসেটে QHD+, LPDDR5, UFS 3.0 সমর্থন করে।

Snapdragon

কোয়ালকম কোম্পানির স্ন্যাপড্রাগন চিপসেটগুলোর মধ্যে SD400 হলো একদমই লো রেঞ্জ সিরিজ, তবে ব্যতিক্রম SD460, যেটা লোয়ার মিডরেঞ্জ বলা যায়, মূলত SD665 এর লোয়ার ক্লক ভার্সন। এরপর SD600 সিরিজ লোয়ার মিডরেঞ্জ, SD700 সিরিজ মিডরেঞ্জ ও হায়ার মিডরেঞ্জ এবং SD800 সিরিজ হলো ফ্ল্যাগশিপ। SD865 হলো তাদের বর্তমান (২০২০) ফ্ল্যাগশিপ। নিয়মমত পরবর্তী ফ্ল্যাগশিপ (২০২১) SD875 হওয়ার কথা থাকলেও এর নাম দেয়া হয়েছে SD888।

কোয়ালকম তাদের চিপসেটগুলোতে “Kryo” কোর ব্যবহার করে, যেটা মূলত ARM Cortex কোরের কাস্টম বা সেমি-কাস্টম ভার্সন। যেমন SD665 এ থাকা Kryo 260 Gold মূলত 2.0GHz সর্বোচ্চ ক্লকস্পিডের ARM Cortex A73। এর সাথে তাদের নিজেদের জিপিইউ Adreno।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *