জানা অজানা

নরমাল

গণিতের মধ্যে সম্ভাবনার টপিক পড়তে গেলে বেশ ইন্টেরেস্টিং কিছু ব্যাপার দেখা যাবে। প্রকৃতির বিভিন্ন ঘটনা- যেমন কোন গাছের পাতাগুলোর আকার, কিংবা বিভিন্ন মানুষের উচ্চতা, ওজন, আইকিউ থেকে শুরু করে কোন পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর কিংবা বিভিন্ন নক্ষত্রের উজ্জলতাসহ এরকম ঘটনাগুলোতে পরিমাপ করা অনেক সংখ্যক মান নিয়ে তাদের বিন্যাসের (distribution) গ্রাফ যদি অঙ্কন করা হয় (এই গ্রাফকে হিস্টোগ্রাম বলে), তাহলে প্রায়সই দেখা যাবে কমবেশি এরকম একটা কার্ভ পাওয়া যাচ্ছে: এই কার্ভের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন ঠিক মধ্যখানে এর মান সবচেয়ে বেশি, যেখান থেকে দু’দিকে এটা সিমেট্রিকাল এবং এর আকৃতি বেল বা ঘন্টার মত। প্রথম স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশনে (ওপরের গ্রাফে μ-σ থেকে μ+σ অঞ্চলে) প্রায় ৬৮.২% মান আছে। এরপর দ্বিতীয় স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশনে প্রায় ২৭.২% মান, পরবর্তী স্ট্যান্ডার্ড ডেভিয়েশনে ২.১% মান এভাবে ক্রমাগত ডেনসিটি কমছে। এই বৈশিষ্ট্যগুলোসহ কার্ভকে নরমাল কার্ভ বা গসিয়ান কার্ভ (Gaussian curve) বলে। যে ডিস্ট্রিবিউশনগুলোর হিস্টোগ্রামে এই কার্ভ পাওয়া যায়, তাদেরকে নরমাল ডিস্ট্রিবিউশন বা গসিয়ান ডিস্ট্রিবিউশন বলে। সেন্ট্রাল লিমিট থিওরেম অনুযায়ী…

আরো পড়ুননরমাল

অ্যান্টিকিথেরা মেকানিজম: প্রথম অ্যানালগ কম্পিউটার

সময়ের সাথে মানুষ আরো সভ্য হয়েছে কিনা, এই প্রশ্নটা আপেক্ষিক হতে পারে, কিন্তু এটা ঠিক যে সময়ের সাথে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষ শিখেছে, অনেক কিছু- যা একসময় দুরুহ ছিলো, যন্ত্রসভ্যতা তাকে সহজ করেছে। তবে সেই সময়ে, যখন মানুষের কাছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগুলো মোটেও ছিলো না, তখনকারও এমন কিছু নিদর্শন আমরা পেয়েছি যা আমাদের বিস্মিত করে। আমি বলছি দুই হাজার বছরেরও আগের প্রাচীন গ্রিক সভ্যতার অ্যান্টিকিথেরা মেকানিজমের কথা। অ্যান্টিকিথেরা মেকানিজম অ্যানালগ মেকানিকাল কম্পিউটারের এখন পর্যন্ত আমাদের জানা সবচেয়ে পুরনো নিদর্শন। এমন ডিভাইসকে আমরা কম্পিউটার বলে থাকি যা তথ্য গ্রহণ, সংরক্ষণ, গাণিতিক ও লজিকাল প্রসেসিং ও প্রদর্শন করতে পারে। অ্যান্টিকিথেরা মেকানিজম একটা অরেরি (orrery)। অরেরি বলতে বোঝায় সৌরজগতের মেকানিকাল মডেল যা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মহাকাশীয় বস্তুর অবস্থা প্রদর্শন করতে পারে। ২০ শতকের শুরুতে কারো ধারণা ছিলো না খ্রিস্টপূর্ব প্রায় একশো বছর সময়ে এই যন্ত্রের মত কোন কিছুর অস্তিত্ব সম্ভব হতে পারে। ১৯০১ সালে অ্যান্টিকিথেরা দ্বীপের নিকটে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে আরো অনেক নিদর্শনের…

আরো পড়ুনঅ্যান্টিকিথেরা মেকানিজম: প্রথম অ্যানালগ কম্পিউটার

ডিজিটাল ও এনালগ: পার্থক্য কী?

ডিজিটাল- শব্দটার মধ্যেই কেমন যেন একটা আকর্ষণ কাজ করে। তবে এর অর্থটা বেশ সাদামাটা শোনাতে পারে- ডিজিট অর্থ অঙ্ক, ডিজিটাল অর্থ করা যায় অঙ্কভিত্তিক। তাহলে ডিজিটাল ডিভাইস কী? আক্ষরিক অর্থে বললে, ডিজিটাল ডিভাইস হলো এমন কোন ডিভাইস, যেটা অঙ্কভিত্তিক তথ্য বা সংকেত নিয়ে কাজ করে। সাধারণভাবে আমাদের একটা ধারণা হয়ে থাকতে পারে, একটু পুরনো প্রযুক্তিগুলোকে এনালগ আর আধুনিক প্রযুক্তিকে ডিজিটাল বলা হয়। আসলে এরকম না ব্যাপারটা। ডিজিটাল ডিভাইসের উদাহরণ অনেক অতীতেও পাওয়া যাবে। যেমন- অ্যাবাকাসের নাম আমরা সবাই জানি। অ্যাবাকাস কিন্তু একটা ডিজিটাল ডিভাইস, কারণ এখানে গুটি দ্বারা সংখ্যাকে উপস্থাপন করা হয়- অর্থাৎ অঙ্কভিত্তিক তথ্য নিয়ে কাজ করা হয়। ডিজিটাল ডিভাইসের বিপরীতে আরেক ধরণের ডিভাইস রয়েছে- এনালগ ডিভাইস। এনালগ ডিভাইস হলো এমন ডিভাইস যা এনালজি অর্থাৎ সাদৃশ্যতার ভিত্তিতে কাজ করে। এই ধরণের ডিভাইস ফিজিকাল কোন কিছুর তারতম্যের ভিত্তিতে কাজ করে। এই তারতম্য হতে পারে কোন ইলেক্ট্রিকাল বা মেকানিকাল (যান্ত্রিক) কোয়ান্টিটির। যেমন একটা চাকা ঘোরানো হলো, কতটুকু ঘোরানো হয়েছে এটা একটা…

আরো পড়ুনডিজিটাল ও এনালগ: পার্থক্য কী?

পাউন্ড একককে lb দ্বারা প্রকাশ করা হয় কেন?

ভর পরিমাপের জন্য বাংলাদেশে সচারচর কিলোগ্রাম এককটি ব্যবহার হয়ে থাকে। ভরের জন্য আরো অনেক একক আছে, যেমন- আউন্স, টন, পাউন্ড প্রভৃতি। বাংলাদেশে পাউন্ড এককের ব্যবহার সাধারণ না, তবে ইউএস, ইউকে সহ অনেক দেশে এর ব্যবহার প্রচলিত। পাউন্ড কেজির প্রায় ২.২ ভাগের ১ ভাগ। আরো একুরেটলি বললে 1 পাউন্ড প্রায় 0.453592 কেজির সমতূল্য। হয়ত আমরা লক্ষ্য করে থাকবো, পাউন্ড এককে পরিমাপ lbs বা lb দ্বারা প্রকাশ করা হয়। যেমন ৫ পাউন্ডকে 5 lb লেখা হয়। lb পাউন্ডের লিখিত সংক্ষিপ্ত রূপ। প্রশ্ন হলো পাউন্ডের সাথে lb-র সম্পর্ক কী? ইংরেজিতে পাউন্ড বানান হলো- pound। এখানে তো lb আসার আপাত কোন কারণ নেই। এজন্য একটু পুরনো ইতিহাসে যেতে হবে। lb নির্দেশ করে ল্যাটিন শব্দ libra। লিব্রা শব্দের অর্থ হলো পাল্লা বা নিক্তি (scales / balance)। প্রাচীন রোমে লিব্রা নামে একটি একক ছিলো। লিব্রা এককে পরিমাপ বোঝানোর জন্য ‘libra pondo’ এক্সপ্রেশনটি ব্যবহার হত, যার অর্থ- লিব্রা এককে পরিমাপকৃত ওজন। এই এক্সপ্রেশনটির প্রোটো-জার্মানিক ভাষার রূপান্তর থেকে…

আরো পড়ুনপাউন্ড একককে lb দ্বারা প্রকাশ করা হয় কেন?

রেজ্যুলেশন, পিক্সেল ডেনসিটি, মেগাপিক্সেল, পিক্সেল বিনিং ও সুপার রেজ্যুলেশন

টেকনিকাল কথাবার্তা কম হবে, সহজ কথায় সরলভাবে ধারণাগুলো বোঝা যাক। রেজ্যুলেশন HD (High Resolution) রেজ্যুলেশন বলতে বোঝায় এর রেজ্যুলেশন হলো 1280 x 720 পিক্সেল। অর্থাৎ ১২৮০টি করে পিক্সেলের ৭২০টি সারি বা ৭২০টি করে পিক্সেলের ১২৮০টি সারি। আর FHD (Full HD)-এর রেজ্যুলেশন হলো 1920 x 1080। UHD (Ultra HD) বা 4K রেজ্যুলেশন হলো 3840 x 2160। পিক্সেল ডেনসিটি ডিসপ্লের মাপ সচারচর কোণাকুণি হিসেব করা হয়। দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত 16:9 হলে 6″ ডিসপ্লের দৈর্ঘ্য প্রায় 5.24″ ও প্রস্থ প্রায় 2.95″। রেজ্যুলেশন HD হলে 5.23″-তে 1280 টি পিক্সেল ও 2.94″-তে 720 টি পিক্সেল আছে। তাহলে প্রতি ইঞ্চিতে পিক্সেল সংখ্যা প্রায় 245। এজন্য এই ডিসপ্লের পিক্সেল ডেনসিটি 245 PPI (Pixel Density)। পিক্সেল ওপরের ছবিটির রেজ্যুলেশন 50 x 50 পিক্সেল। অর্থাৎ এখানে মোট 50 * 50 = 2500টি পিক্সেল আছে। ছবিটি যখন আমরা জুম করব, তখন এই পিক্সেলগুলো আপনি আলাদাভাবে দেখতে পারবেন। ওপরের ছবিটিতে জুম করার পর দেখতে পারছেন আগের ছবিটি মূলত কিছু বর্গাকার…

আরো পড়ুনরেজ্যুলেশন, পিক্সেল ডেনসিটি, মেগাপিক্সেল, পিক্সেল বিনিং ও সুপার রেজ্যুলেশন

সম্ভাবনার হেঁয়ালি, যেখানে সম্ভাব্যতা ৫০-৫০ নয়

ধরা যাক আপনি একটা গেম শো-তে আছেন, যেখানে আপনার সামনে তিনটি দরজা রয়েছে, যার একটির পেছনে রয়েছে একটি আকর্ষণীয় উপহার, অন্য দুটির পেছনে কিছু নেই। উপস্থাপক জানেন কোন দরজার পেছনে উপহার রয়েছে, কিন্তু আপনি জানেন না। আপনাকে একটি দরজা নির্বাচন করতে বলা হলো। ধরা যাক আপনি প্রথম দরজাটি নির্বাচন করলেন। উপস্থাপক তখন তৃতীয় দরজাটি খুলে দেখিয়ে দিলেন তার পেছনে কিছু নেই এবং আপনাকে সুযোগ দিলেন, আপনি চাইলে প্রথম দরজাতে স্থির থাকতে পারেন, অথবা দ্বিতীয় দরজাতে সুইচ করতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে আপনার কি সুইচ করা উচিৎ? মন্টি হল সমস্যাটা অনেকটা এরকম, যা কিছুটা অনুপ্রাণিত হয়েছে আমেরিকান টেলিভিশন গেম শো “Let’s Make a Deal” থেকে, এবং এর নামকরণ করা হয়েছে অনুষ্ঠানটির মূল উপস্থাপক মন্টি হলের নামে। ১৯৭৫ সালে আমেরিকান স্ট্যাটিস্টিশিয়ান-এর কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে এই হেঁয়ালি উপস্থাপন ও সমাধান করেছিলেন স্টিভ সেলভিন। প্যারেড ম্যাগাজিনের একজন পাঠকের প্রশ্নের বিবৃতিতে সমস্যাটা জনপ্রিয় হয়েছে, প্রশ্নটা ছিলো এরকম: Suppose you’re on a game show, and you’re…

আরো পড়ুনসম্ভাবনার হেঁয়ালি, যেখানে সম্ভাব্যতা ৫০-৫০ নয়

ঈদ-উল-ফিতরের দিনের সুন্নত,যা আমাদের প্রত্যেকের জানা জরুরি!

ঈদ মানে আনন্দ।ঈদ মানে একে অপরের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া।কিন্তু এই আনন্দের সীমারেখা কতটুকু,তা আমাদের আল্লাহ তায়ালা ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিখিয়ে দিয়েছেন।এর বাইরে যাওয়াটা হবে সীমালঙ্ঘন।আর আল্লাহ তায়ালা সীমালঙ্ঘনকারীকে ও উদ্ধুতপূর্ণ চলাচলকারীকে পছন্দ করেন না। আমরা যেন ঈদের মতো পবিত্র দিনকে গান-বাজনা,মোজ-ফুর্তি,জিনা-ব্যাভিচারের মতো খারাপ কাজে ব্যয় না করি।হালাল কাজের মধ্যেও কাপড় কেনাকাটা,গলা পর্যন্ত খাওয়া,এসব ক্ষেত্রেও সীমার মধ্যে থাকা উচিত। আল্লাহ আমাদের সকলকে পরিপূর্ণ দ্বীনের পথে চলার তাওফিক দান করুক, আমিন ইয়া রহমানুর রহিম। রোজার ঈদের দিন কি কি করা উচিত? প্রিয়বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী শেখাচ্ছেন আল্লাহ ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দেখানো পথে যেভাবে ঈদ উদযাপন করতে হবে👇

আরো পড়ুনঈদ-উল-ফিতরের দিনের সুন্নত,যা আমাদের প্রত্যেকের জানা জরুরি!

ফিতরা সম্পর্কে না জেনে থাকলে,জেনে নিন বিস্তারিত…

ফিতরা ঈদ-উল-ফিতর নামাজের আগেই দিতে হয়। এরপর দিলে তা সাধারণ দান হিসেবে গণ্য হবে। তাই এখনো আমরা যারা ফিতরা দেইনি,তারা এর সম্পূর্ণ মাছ’য়ালা জেনে নিন নিচে শায়খ আহমাদউল্লাহ-র একটি ভিডিও দেওয়া থাকলো। যেহেতু আমাদের জানার পরিধি অতি নগণ্য, লিখতে গেলে ভুল থেকে যেতে পারে,তাই সরাসরি ভিডিও যুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে… ✅দয়া করে ভিডিওটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত না শুনে কেউ সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন না✅ ফিতরা আদায়ের নিয়ম

আরো পড়ুনফিতরা সম্পর্কে না জেনে থাকলে,জেনে নিন বিস্তারিত…

আঘাতপ্রাপ্ত অঙ্গ নতুন করে গজায় যে প্রাণীর!

মিলিমিটার স্কেলে যে প্রাণীর দৈর্ঘ্য মাপতে হয়, তার নাম কিনা ৯ মাথাওয়ালা গ্রীক মিথলজির সবচেয়ে বিখ্যাত প্রকান্ড দানবের নামে! হাইড্রার গল্পটা চমকপ্রদ এক রূপকথা, যেখানে গ্রীক মিথলজির অন্যতম শ্রেষ্ঠ বীর হারকিউলিস তাকে বধ করেছিলেন। গ্রীক মিথলজিতে তার নাম অবশ্য হেরাক্লিস, রোমান নাম হলো হারকিউলিস। হারকিউলিসের গল্পে রাজা ইউরেস্থিস তাকে খুব কঠিন ১২টা কাজ দিয়েছিলেন, নিমিয়ার দুষ্ট দানব সিংহকে বধের পর দ্বিতীয় কাজ ছিলো হাইড্রাকে বধ করা। হাইড্রাকে বধ করার গল্পটা রোমাঞ্চকর। হাইড্রাকে গ্রীক দেবী হীরা (Hḗrā) প্রতিপালন করেছিলেন শুধু হারকিউলিসকে বধ করার জন্য। দানব সিংহ থেকে হাইড্রাকে বধ করা ছিলো আরো কঠিন। আগের কাজটি একা করলেও এবার হারকিউলিস সাথে নেন বিশ্বস্ত ভাতিজা লোলাউসকে এবং বেরিয়ে পড়েন ঘোড়ার রথে চড়ে হাইড্রা লার্না লেকের পথে। হাইড্রার গভীর গুহা থেকে তাকে বের করতে জ্বলন্ত তীর ছুঁড়তে লাগেন হারকিউলিস। শেষবধি গগুহা থেকে বেরিয়ে এলে তার কাস্তে, মতান্তরে তলোয়াড় কিংবা বিখ্যাত গদা দিয়ে সম্মুখ সমরে মুখোমুখি হন। তবে হাইড্রাকে বধ করা সহজ ছিলো না, কেননা…

আরো পড়ুনআঘাতপ্রাপ্ত অঙ্গ নতুন করে গজায় যে প্রাণীর!

কী হবে যদি সাপ না থাকে? যে দেশগুলোতে সাপ নেই…

সাপ, অনেকের কাছেই এ যেন এক জ্বলজ্যান্ত আতঙ্কের নাম। কোমল ত্বক, খন্ডিত জিহ্বা, জ্বলজ্বলে চোখ আর বিষাক্ত বিষের অধিকারী এই প্রাণী স্নায়ুতে যে শিহরণ বইয়ে দেয়, অন্য কোন প্রাণীর সাথে তার তুলনা চলে না। সাপের প্রতি এই আতঙ্ক অমূলক নয়, কারণ সাপের প্রজাতিগুলোর একটি বড় অংশ বিষধর, যে বিষ হতে পারে আপনার মৃত্যুর কারণ, এবং এমনকি কোন সাপ আপনাকে গিলে নেয়ার ক্ষমতা রাখে। তবে সাপের ভীতি যদি অস্বাভাবিক রূপ নেয়, হয়ত আপনি উঠতে, বসতে, ঘুমাতে কিংবা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতেও যদি সাপের ভয় আপনাকে তাড়া করে বেড়ায়, তবে তা ফোবিয়াতে রূপ নেয়, যাকে বলে ophidiophobia। আরো দেখুন: কয়েকটি মজার ফোবিয়া: আপনার কোনগুলো আছে? সাপের কথা বললে সাপের ভয় কিংবা আতঙ্কের কথা যখন সবার আগে চলে আসে, তখন প্রশ্ন জাগতে পারে, কী হত, যদি সাপ না থাকতো? আপনি যদি বাস্তুতন্ত্রের ধারণা রাখেন, তাহলে একটা কথা আপনি হয়ত অনুমান করতে পারছেন, এটার পরিণতি খুব ভালো হবে না। কিন্তু কয়েকটি দেশ কিন্তু আছে…

আরো পড়ুনকী হবে যদি সাপ না থাকে? যে দেশগুলোতে সাপ নেই…

ক্লাউনফিশ: নিমোদের অজানা কথা…

অন্য প্রাণী শিকারের বেলায় ক্লাউনফিশের কিন্তু একটা চমৎকার পদ্ধতি আছে। নিজের চেয়েও বড় মাছকে এরা আকর্ষণ করে সি-অ্যানিমোনে নিয়ে আসে। এরপর বড় মাছটিকে সি-অ্যানিমোন দংশন করে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে, আর খাদ্যের অবশিষ্টাংশ হয় ক্লাউনফিশের খাবার।
আরো পড়ুনক্লাউনফিশ: নিমোদের অজানা কথা…

রসায়নকে কেন ‘রসায়নবিজ্ঞান’ বলা হয় না?

পদার্থবিজ্ঞান বা জীববিজ্ঞানের সাথে ‘বিজ্ঞান’ শব্দটি যুক্ত করলেও রসায়নের বেলায় কিন্তু আমরা সচারচর তা করিনা। কেন করিনা, এটা কিন্তু একটু চিন্তা করলেই বোঝা যায়, আমিও কারণটা ভাবনায় পেয়েছিলাম, আমার ভাবনা ঠিক কিনা নিশ্চিত হওয়ার জন্য গুগল (না, ডাক বা পিপীলিকা করিনি) করলাম। প্রথমে যে রেজাল্টগুলো পেলাম, তাতে অন্য একজনের ‘ভাবনায় পাওয়া’ আনুমানিক উত্তর দেয়া হয়েছে, যেটা ঠিক যথার্থ মনে হলো না। যাইহোক, পঞ্চম রেজাল্টে পাওয়া উত্তরটা আমার ভাবনার সাথে মিলেছে। এখানে অবশ্যই অন্য কারো লেখা কপি করা হয়নি, শুধু কনফার্ম হওয়ার জন্য দেখছিলাম। এখন চলুন একটু চিন্তা করি, পদার্থবিজ্ঞান আর জীববিজ্ঞানের সাথে ‘বিজ্ঞান’ যোগ না করলে কোন ক্ষতি ছিলো কিনা। আলবৎ ছিলো, কারণ পদার্থের সংজ্ঞা আমরা বাচ্চাকালেই পড়েছি, যার আকার আছে, আয়তন আছে, বল প্রয়োগে বাঁধা দান করে তা-ই পদার্থ, মানুষজন যতই তাকে অপদার্থ বলুক না কেন। জীবের সংজ্ঞাও সহজে দিতে পারি, যার জীবন আছে, তা-ই জীব। তাহলে কমপ্লেক্স বা কম্পাউন্ডে যাওয়ার কোন দরকার নেই, সিম্পলি পদার্থ আর জীব বললে…

আরো পড়ুনরসায়নকে কেন ‘রসায়নবিজ্ঞান’ বলা হয় না?

নিনজা: কিংবদন্তীর বাস্তব আখ্যান

কালো পোশাকে সারা দেহ ঢাকা তারা চলতে পারে বিদ্যুৎবেগে, লাফিয়ে পার হতে পারে দালান থেকে দালান কিংবা পাহাড় থেকে পাহাড়ে, হাঁটতে পারে পানিতেও, অদৃশ্যের মত মিশে যেতে পারে আশেপাশের প্রকৃতির সাথে, অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ছুঁড়তে পারে শুরিকেন- কল্পকাহিনী, কার্টুন, কমিকস, ভিডিও গেমস, গল্পে এমনইভাবে আমরা পরিচিত হয়েছি নিনজার সাথে, তবে আজ চলুন, কল্পকাহিনীর জগৎ ছেড়ে বাস্তবের নিনজাদের জগতে ঘুরে আসি। নিনজা কি কল্পনা না বাস্তব? হ্যা, নিনজারা নিছকই কোন গল্পের চরিত্র নয়, তারা সত্যিই ছিলো। তবে কল্পনার নিনজা থেকে বাস্তবের নিনজারা আসলে অনেকটা কিংবা পুরোপুরি আলাদা। আসলে নিনজা তাদের নাম নয়, এটা বিশ শতকে প্রচলিত হওয়া বেশ নতুন একটা শব্দ, যেটা এসেছে চীন থেকে। কিন্তু নিনজাদের বসতি ছিলো জাপানে, আর তাদের আসল পরিচিতি ছিলো শিনোবি (shinobi) হিসেবে। আর না, তারা না পানিতে হাঁটতে পারে, না অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে, তবে অবশ্যই নিনজারা উচ্চ প্রশিক্ষিত। নিয়নবাতি ফেসবুক গ্রুপ নিয়নবাতি টেলিগ্রাম চ্যানেল নিনজাদের আবির্ভাব দেখা যায় জাপানের ইতিহাসের সেনগোকু পর্বে (Sengoku period) পঞ্চদশ…

আরো পড়ুননিনজা: কিংবদন্তীর বাস্তব আখ্যান

নিয়নবাতির আলো…

প্রায় ১২৩ বছর আগে ১৮৯৮ সালে দুজন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী উইলিয়াম র‌্যামসে আর মরিস ট্রেভার্স নিয়ন আবিষ্কার করেন। নিয়ন একটি নিষ্ক্রিয় গ্যাস, যেটা বায়ুমন্ডলে খুব স্বল্প পরিমাণে পাওয়া যায়। বায়ুমন্ডল থেকে বিশুদ্ধ নিয়ন আলাদা করার পর বিজ্ঞানী দুজন একটি গেইস্লার টিউবে এর ধর্ম পরীক্ষা করছিলেন। গেইস্লার টিউব ১৮৫৭ সালে আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী হেনরিখ গেইস্লার। এই টিউবে আংশিক চাপশূন্যতায় বিভিন্ন গ্যাসের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহ করলে আলোর উৎপত্তি ঘটে। নিয়ন গ্যাসের ক্ষেত্রে যে আলো সৃষ্টি হয়, বিজ্ঞানী ট্রেভার্সের ভাষায়, টিউব থেকে জ্বলজ্বলে ক্রিমসন আলো তার গল্প বলছিলো, আর এটা মনে গেঁথে যাওয়ার মত একটা দৃশ্য ছিলো, যা কখনোই ভোলার নয়। এটা ছিলো নিয়নবাতির সূচনার গল্প। পর্যায় সারণির দশম মৌল নিয়ন নিষ্ক্রিয় গ্যাসগুলোর একটি। এর কক্ষপথগুলোতে ইলেকট্রন পূর্ণ থাকে, তাই সহজে অন্য পরমাণুর সাথে এটি বিক্রিয়া করে না, আর কোন ইলেকট্রন সরিয়ে নিতে দরকার হয় প্রচুর শক্তি। নিয়নবাতি তৈরির জন্য নিম্নচাপে অল্প পরিমাণ নিয়নকে কাচের টিউবে নেয়া হয়, যার দুপ্রান্তে ইলেকট্রোড থাকে। এরপর এর…

আরো পড়ুননিয়নবাতির আলো…

কুয়োকাকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী প্রাণী, কিন্তু আসলেই কি?

চারপেয়ে ছোট্ট লোমশ দেহের প্রাণী কুয়োকা (Quokka), মুখে সবসময়ই অদ্ভুত হাসি খেলা করে। দেখলেই মনটাও হেসে উঠে। কুয়োকাকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী প্রাণী। আকারে একটা পোষা বেড়ালের থেকে বড় নয়। ইউরোপীয় বিভিন্ন অভিযাত্রীরা অস্ট্রেলিয়ায় এটাকে দেখে ইঁদুর না বিলাই একেকজন একেকটা বলেছেন। ষোড়শ শতকে Samuel Volckertzoon একে বলেছেন ‘বন বেড়াল’, তারপর Willem de Vlamingh বলেছেন ‘দানব ইঁদুর’, এমনকি যেখানে দেখেছিলেন, সে দ্বীপটাকেও নাম দিয়েছিলেন Rottnest Island, মানে ইঁদুরের বাসা। তবে এই প্রাণীটা আসলে ইঁদুর, বিলাই কোনটাই না। কুয়াকো ক্যাঙ্গারু গোত্রীয়। আর হ্যাঁ, ক্যাঙ্গারুর মত এদেরও কিন্তু থলে থাকে। কুয়োকা কেন সবসময় হাসিমুখে থাকে তা এখনো জানা যায়নি। কেউ কেউ বলেন, প্রাকৃতিকভাবেই তাদের মুখে হাসি থাকে। তবে তাদের মুখমন্ডল ও চোয়ালের গঠনের সাথে হাসিমুখের সম্পর্ক নেই। তাদেরকে সবচেয়ে সুখী প্রাণী বলা হয় বটে, তবে, মুখে হাসি লেগে থাকাটাই কিন্তু সুখী হওয়ার একমাত্র শর্ত না! তাদের জীবনটাও আর সব প্রাণীর মতই কঠিন। দিনশেষে, তারা একটা বন্যপ্রাণী। সঙ্গী নির্বাচন বিষয়ে লড়াই কিংবা…

আরো পড়ুনকুয়োকাকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী প্রাণী, কিন্তু আসলেই কি?

ক্রায়োনিক্স: একুশ শতকের মমি?

মমির কথা চিন্তা করলেই মনে আসে কত সহস্র বছর অতীতের মিশরের কথা। কেমন লাগবে যদি বলি একুশ শতকে এসেও এমন কিছু হচ্ছে যা যেন ঠিক মমিরই এক আধুনিক সংস্করণ? ক্রায়োনিক্সকে একুশ শতকের মমি বলাটা সম্ভবত ভুল হবে না, অথবা তার আধুনিক সংস্করণ। ক্রায়োনিক্স কী? ক্রায়োনিক্স এমন এক প্রযুক্তি যেখানে মৃত্যুর পর মানবদেহ কিংবা বিচ্ছিন্ন মস্তককে সংরক্ষণ করা হয় অতি নিম্ন তাপমাত্রায় এই আশার সাথে যে হয়ত ভবিষ্যতের প্রযুক্তিতে তাদের পুনরায় জীবিত করে তোলা সম্ভব হবে। একুশ শতকে এসে এমন কিছু, অদ্ভুত, সন্দেহ কী! এক্ষেত্রে −130° সেলসিয়াসের নিম্ন তাপমাত্রায়, সাধারণত -196° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তরল নাইট্রোজেনে মৃতদেহ সংরক্ষণ করা হয়। এই অতি নিম্ন তাপমাত্রায় দেহের পঁচন ঘটে না, ফলে বহুদিন ধরে লাশ অবিকৃত থাকে। একে বলা হয় ক্রায়োসংরক্ষণ বা ক্রায়োপ্রিজারভেশন। ক্রায়োজেনিক সাসপেনশন মৃত মানুষকে জীবিত করে তোলা কিন্তু ক্রায়োনিক্সের মূল কথা না। এখানে উদ্দেশ্য হলো দেহ যে পর্যায়ে আছে সেভাবে স্থগিত রেখে দেওয়া। একারণে ক্রায়োপ্রিজাভেশনের পরিবর্তে অনেক সময় ক্রায়োজেনিক সাসপেনশন (স্থগিত) টার্মটি…

আরো পড়ুনক্রায়োনিক্স: একুশ শতকের মমি?

পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাণী কোনটি জানেন? মশা!

বাঘ দেখেছেন কখনো? সম্ভবত দেখেছেন। চিড়িয়াখানায়, বন্দী খাঁচায়। কিন্তু আরেকটা প্রাণী আছে, মশা, এমন এক প্রাণী, দেখতে এইটুকু, কিন্তু এদের জন্য আমাদের নিজেদের খাঁচায় ঢুকতে হয়, কী অদ্ভুত! অবশ্য, এ আর এমন কী? তার থেকে ক্ষুদ্র ভাইরাসের জন্য আমরা ঘর থেকে বের হতে পারছি না, মশা তো তাও চোখে ভালোভাবেই দেখা যায়। পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাণী কোনটি জানেন? হ্যাঁ, মশা। বাঘ, সাপ কিংবা হাঙর, কোন প্রাণীই তত মৃত্যুর জন্য দায়ী না, যত মৃত্যুর জন্য দায়ী মশা। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, জিকাসহ ভয়ঙ্কর সব রোগ ছড়ায় মশা। প্রায় ২৫ কোটি মানুষ প্রতি বছর মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয় এবং প্রায় ১০ লক্ষ মারা যায়। এসব মৃত্যুর প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ঘটে ম্যালেরিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ২০০১ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ওয়েস্ট নীল ভাইরাস ছড়ানোর জন্য পাখিকে দায়ী করা হত। তবে ২০১০ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায় এজন্য দায়ী ‘পাখি’ ছিলো মশা। তবে সব মশা কিন্তু আমাদের রক্ত খায় না। কিছু মশা নির্দিষ্ট প্রজাতির রক্ত খায়। যেমন,…

আরো পড়ুনপৃথিবীর সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাণী কোনটি জানেন? মশা!

পরিচিত হই পৃথিবীর সবচেয়ে ধীরগতির স্তন্যপায়ী প্রাণীর সাথে, স্লথ!

জীবনের প্রায় ৯০ শতাংশ সময় এরা গাছের ডালে উল্টো হয়ে ঝুলে থেকে কাটিয়ে দেয়, আর এভাবে তারা চলতে পারে মিনিটে সর্বোচ্চ প্রায় ৪.৫ ফুট পর্যন্ত। স্লথ (Sloth) এর কথা বলছি, যাদের নামের অর্থই হলো আলস্য। এদের ওজনের মাত্র ২৫-৩০ শতাংশ হলো এদের পেশী, যা মানুষের ক্ষেত্রে ৪০-৪৫ শতাংশ। স্লথের রয়েছে বিশেষ ধরণের হাত ও দীর্ঘ পা এবং বাঁকানো নখর, যা তাদের সহজে গাছের ডালে উল্টো ঝুলে থাকতে সাহায্য করে, কিন্তু একই সাথে, মাটিতে তারা হাঁটতে পারে না, যখন তারা মাটিতে থাকে অনেকটা হামাগুড়ি দিয়ে তারা নিজেদের টেনে নিয়ে চলে। তবে তারা খুব কমই মাটিতে নেমে আসে, আর এসময় তাদের গতি মিনিটে ১ ফুটের বেশি নয়। তবে, সাঁতারের ক্ষেত্রে এরা বেশ দক্ষ। সাঁতারে তাদের গতি মিনিটে ১৩.৫ ফুট পর্যন্ত হতে পারে, যা গাছের ডালে কিংবা মাটিতে চলাচল থেকে অনেক বেশি। আর সাঁতারের ক্ষেত্রে তারা শ্বাস ধরে রাখতে পারে প্রায় ৪০ মিনিট পর্যন্ত, যেটা আশ্চর্যজনক। হ্যাঁ, এরাই স্লথ, পৃথিবীর সবচেয়ে ধীরগতির স্তন্যপায়ী,…

আরো পড়ুনপরিচিত হই পৃথিবীর সবচেয়ে ধীরগতির স্তন্যপায়ী প্রাণীর সাথে, স্লথ!

প্লুটো ছিলো সৌরজগতের অষ্টম গ্রহ, জানেন কি?

এখন তো প্লুটোকে আর গ্রহের মধ্যেই ধরা হয় না, তবে আমরা সবাই জানি একটা সময়ে প্লুটো ছিলো সৌরজগতের স্বীকৃত নবম গ্রহ। কিন্তু আমি যদি বলি আসলে এটা একসময়ে, এমনকি দু’যুগ আগেও ছিলো সৌরজগতের অষ্টম গ্রহ এবং নেপচুনের অবস্থান ছিলো নবম? আর হ্যা, এটা কিন্তু সত্যিই! যদিও বিতর্ক চলছে এবং হয়ত আরো সময় ধরে চলবে, তবে এখন প্লুটোকে বামন গ্রহ বা Dwarf Planet হিসেবে ধরা হয়। আকারে এটা আমাদের পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদের থেকেও ছোট, চাঁদের ১,৭৩৭.১ কিমি ব্যাসার্ধের বিপরীতে প্লুটোর ব্যাসার্ধ মাত্র ১,১৮৮.৩ কিমি। প্লুটো পৃথিবীর হিসেবে প্রায় ২৪৮ বছরে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে থাকে, কক্ষপথটাও একটু আলাদা ধরণের। সৌরজগতের গ্রহগুলোর কক্ষপথগুলো অনেকটা একই সমতলে অবস্থান করে, যার নাম হলো ক্রাঁতিবৃত্ত বা ক্রান্তিবৃত্ত বা অয়নবৃত্ত বা সৌরবৃত্ত, ইংরেজিতে ecliptic। কিন্তু প্লুটোর কক্ষপথ এর থেকে ১৭ ডিগ্রি কোণের বেশি আনত থাকে। নিচের এনিমেশনে দেখা যাচ্ছে প্লুটোর কক্ষপথ গ্রহগুলো থেকে আলাদা ধরণের। প্লুটো কখনো কখনো নেপচুনের কক্ষপথে অতিক্রম করে ফেলে। নিচের ভিজুয়ালাইজেশনে ১৯০০…

আরো পড়ুনপ্লুটো ছিলো সৌরজগতের অষ্টম গ্রহ, জানেন কি?

কয়েকটি মজার ফোবিয়া: আপনার কোনগুলো আছে?

ফোবিয়া কথাটির অর্থ আতঙ্ক অথবা অকারণ আতঙ্ক অথবা বিতৃষ্ণা। আমাদের সবারই কম বেশি বিভিন্ন জিনিসের প্রতি ফোবিয়া আছে। কয়েকটি মজার ফোবিয়ার কথা আজ জানবো। আপনি যদি অন্ধকারে ভয় করেন, তবে আপনার Achluophobia রয়েছে। অন্যদিকে যদি আপনি ভূতের ভয়ে রাতে ঘুমোতে না পারেন, আপনার রয়েছে Phasmophobia। Pteronophobia আমার নিশ্চিতভাবেই রয়েছে, এটা হলো পালক দিয়ে সুড়সুড়ি খাওয়ার ভয়। বজ্রপাতে আতঙ্কিত হলে আপনার রয়েছে brontophobia। আগুন দেখে ভয় লাগাকে বলা হয় Arsonphobia। Dentophobia হলো ডেন্টিস্টদের ভয় করা। আমি সত্যি বলতে এখনো বেলুন ফুটানোর শব্দকে খুব ভয় পাই। বেলুনের প্রতি আতঙ্ক হলো globophobia। কাউকে সংয়ের সাজে দেখলে যদি আপনার মনে আতঙ্ক জাগে, Coulrophobia তে ভুগছেন আপনি। পিনাট বাটার খেয়েছেন কখনো? খেয়ে ভয় পেয়েছিলেন? Arachibutyrophobia হলো মুখের তালুতে পিনাট-বাটার লেগে থাকার আতঙ্ক। দুনিয়া বড় অদ্ভুত, তাই না? Logizomechanophobia হলো কম্পিউটারের প্রতি ভীতি… আপনার কী রয়েছে? থাকলে কীবোর্ড ধরে কমেন্টে দুলাইন লিখে যাবেন… উচ্চতার প্রতি ভয় থাকলে আপনার রয়েছে Acrophobia, আর উড়তে (অবশ্যই ডানা মেলে বা…

আরো পড়ুনকয়েকটি মজার ফোবিয়া: আপনার কোনগুলো আছে?