‘ফাটাফাটি দামে ব্যাপক ফিচারস’ ট্যাগলাইন নিয়ে রিলিজ হয়ে গেলো ওয়ালটনের নতুন একটি বাজেট ডিভাইস, Walton Primo GH9। GH ওয়ালটনের লো বাজেট সিরিজগুলোর একটি এবং GH9-ও অল্প দামের মধ্যে ভালো কিছু স্পেক নিয়ে এসেছে। ওয়াটারড্রপ নচযুক্ত এই ফোনের এর দাম রাখা হয়েছে মিঃ ম্যাঙ্গো কম ৬,৮০০ টাকা।

সিম্পল এবং মিনিমালিস্টিক ডিজাইন থাকছে ডিভাইসটিতে। কোন গ্র্যাডিয়েন্ট কালারিং থাকছে না, ব্যাকপার্ট এবং সাইডফ্রেম পুরোটাই একরঙা। চারটি রঙে ফোনটি এসেছে- কালো, আকাশি নীল (Sky Blue), সমুদ্র সবুজ (Ocean Green) এবং গাঢ় নীল। একদমই সিম্পল এই ডিজাইন আমার ভালোই লেগেছে, বিশেষ করে আকাশি নীল আর সমুদ্র সবুজ রংদুটো বেশ সুন্দর।

GH9-এর অন্যতম আকর্ষণ ডিসপ্লে, কেননা এই দামের মধ্যে 6.1″ এর নচ ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে এই ডিভাইসে। 19.5:9 অ্যাসপেক্ট রেশিওর এই ডিসপ্লেটির রেজ্যুলেশন HD+ (1560*720) এবং এর IPS প্যানেলে ব্যবহার করা হয়েছে INCELL টেকনোলজি। U শেপের ছোট্ট একটি নচ থাকছে ডিসপ্লেতে। চিন ও বেজেল এরিয়া বাজেট অনুযায়ী বেশ মিনিমাল।

ফোনটিতে দেওয়া হয়েছে ডুয়াল রেয়ার ক্যামেরা, যার প্রাইমারী ক্যামেরাটি 13MP BSI সেন্সর এবং এটি অটোফোকাস সমর্থন করে। অন্য ক্যামেরাটি 0.3MP এর ডেপথ সেন্সর। সেলফি ক্যামেরাটি 5MP, যেটি ফিক্সড ফোকাস। দুটো ক্যামেরাতে়ই বোকেহ মোড থাকছে, তবে সেটি কতটা ভালো হয় তা দেখার বিষয়। কোন স্লো-মোশন রেকর্ডিংয়ের সুবিধার উল্লেখ নেই।

চিপসেট সেকশনে থাকছে Helio A20, যার কোর চারটি হলো 1.8GHz ক্লকস্পিডের ARM Cortex-A53। এর সাথে GPU হিসেবে আছে PowerVR GE8300@550MHz। এটি একদমই এন্ট্রি লেভেলের উপযুক্ত এবং এই বাজেটে ঠিকই আছে বলব। তবে কেউ কেউ Unisoc SC9863A দিচ্ছে, যেটা অনেকটা উন্নত এর থেকে।

ভালো বিষয় হলো Helio A20 12nm ট্রানজিস্টর সাইজের একটি পাওয়ার সেভিং চিপ। আর এখানে এরকম পাওয়ার সেভিং চিপ দরকার ছিলো, যেহেতু এর ব্যাটারী 3000 mAh। এখনকার হিসেবে একটু কম হলেও মডারেট ইউসেজে একদিন চলে যাবে বলেই আশা করছি। সাথে ফোনটির থিকনেসও বেশি নয়, 8.6mm আর ওজন 165g।

Walton Primo GH9-এর ব্যাকপার্ট রিমুভেবল। এখানে দুটি ন্যানো সিম স্লটের সাথে একটি ডেডিকেটেড এসডি কার্ড স্লট দেওয়া হয়েছে। ফোনটিতে 2GB র‍্যাম আর সাথে 16GB ইনবিল্ট স্টোরেজ দেওয়া হয়েছে। এক্সপেন্ড করা যাবে পুরো 256GB পর্যন্ত। এই দামের কিছু ফোনে রেয়ারে স্পিকার দেখা গেলেও এখানে থাকছে ফোনটির নিচের দিকে, যেটি একটি ভালো বিষয়।

এখানে VoLTE সমর্থনসহ 4G সুবিধা থাকছে। থাকছে নট দি লেটেস্ট Android Q বা Android 10। ফলে ডার্ক মোড, জেসচার ন্যাভিগেশনসহ Android 10-এর ফিচারগুলো পাওয়া যাবে। ওয়ালটন বরাবরই অলমোস্ট স্টক ইউআই দিয়ে থাকে। আর এটি রেগুলার অ্যান্ড্রয়েড, গো এডিশন নয়।

সব মিলিয়ে যদি বলি, ৬৮০০ টাকায় ফোনটির সবকিছু মোটামুটি ঠিকঠাকই আছে আমি বলব, বড় কোন অভিযোগ নেই। তবে আমার মনে হয়েছে কম্পিটিশনে ৭০০০ টাকায় Symphony i99 বা Itel Vision 1 থেকে এটা কিছুটা পিছিয়ে থাকে। যাই হোক, সব ফোন সমান হবে এমন কোন কথা নেই। ওভারঅল ফোনটি আমার ভালোই লেগেছে। যদি ওয়ালটন আপনি প্রিফার করেন, বা এই ফোনটি পছন্দ হয়, তাহলে এটি নিতে পারেন, সিদ্ধান্ত অবশ্যই আপনার।

তথ্য ও ছবি সোর্স

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *