খ্রিস্টানদের সেইন্ট বা সাধুদের স্মরণের জন্য এক প্রকার ক্যালেন্ডার আছে। ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে Pope Gelasius I এই ক্যালেন্ডারে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন’স ডে অন্তর্ভুক্ত করেন। তবে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন একজন নন, এই নামের বেশ কয়েকজন ছিলেন। ভ্যালেন্টাইন দিবসের সাথে সম্পর্কিত রয়েছেন দুজন- একজন রোমের (Valentine of Rome) এবং অন্যজন টারনির (Valentine of Terni)।

খ্রিস্টানদের সম্প্রদায়ভেদে সেইন্টদের স্মরণ করার ক্যালেন্ডারে তারতম্য আছে। বিভিন্ন সম্প্রদায় এখনো এই দিনটিতে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনদের স্মরণ করেন। তবে তারা প্রাণ দিয়েছিলেন ধর্মীয় কারণে, ভ্যালেন্টাইন দিবসের সাথে রোমান্টিকতার সংশ্লেষ হয়েছে অনেক পরে। ট্রেডিশনালি প্রচলিত আছে রোমের সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন কারারক্ষীর অন্ধ মেয়ের দৃষ্টিশক্তি সুস্থ করে দিয়েছিলেন। পরে আরো রং চড়েছে এর সাথে।

চতুর্দশ শতকে ইংরেজ সাহিত্যিক জিওফ্রে চসারের লেখায় প্রথম ভ্যালেন্টাইন দিবসের সাথে রোমান্টিক ভালোবাসার নিদর্শন দেখা যায়। চতুর্দশ-পঞ্চদশ শতকের দিকে এই দিনটিতে courtly love উদযাপনের একটি ধারা দেখা যায়। Courtly love হলো মধ্যযুগীয় ইউরোপের ভালোবাসার একটি ধারণা, যেখানে আভিজাত্য ও বীরত্ব গুরুত্বপূর্ণ। তবে ভ্যালেন্টাইন’স ডে বর্তমান রূপ ধারণ করতে শুরু করে উনিশ শতকের শেষ ও বিশ শতকের শুরুর দিকে, আর সে রূপ কেমন তা তো কারো অজানা নয়!

এত ইতিহাসের কথা কেন বললাম? ছোট্ট একটা চিন্তার খোরাক দেয়ার জন্য।

আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের আগের লোকের নীতি-আদর্শ পুরোপুরিভাবে অনুকরণ করবে, এক বিঘত এক বিঘতের সঙ্গে ও হাত হাতের সঙ্গে, এমনকি তারা যদি গোসর্পের গর্তে ঢুকে থাকে তবুও তোমরা তাদের অনুকরণ করবে। আমরা আবেদন করলাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তারা কি ইয়াহূদী ও নাসারা? তিনি বলেন, তবে আর কারা?

সহীহ মুসলিম – ৬৬৭৪ (ই.ফা. ৬৫৩৯, ই. সে. ৬৫৯১)

একবার চিন্তা করে দেখি তো, আমরা কি ঠিক তাই করছি?

(তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *