প্রাণিজগৎ

আঘাতপ্রাপ্ত অঙ্গ নতুন করে গজায় যে প্রাণীর!

মিলিমিটার স্কেলে যে প্রাণীর দৈর্ঘ্য মাপতে হয়, তার নাম কিনা ৯ মাথাওয়ালা গ্রীক মিথলজির সবচেয়ে বিখ্যাত প্রকান্ড দানবের নামে! হাইড্রার গল্পটা চমকপ্রদ এক রূপকথা, যেখানে গ্রীক মিথলজির অন্যতম শ্রেষ্ঠ বীর হারকিউলিস তাকে বধ করেছিলেন। গ্রীক মিথলজিতে তার নাম অবশ্য হেরাক্লিস, রোমান নাম হলো হারকিউলিস। হারকিউলিসের গল্পে রাজা ইউরেস্থিস তাকে খুব কঠিন ১২টা কাজ দিয়েছিলেন, নিমিয়ার দুষ্ট দানব সিংহকে বধের পর দ্বিতীয় কাজ ছিলো হাইড্রাকে বধ করা। হাইড্রাকে বধ করার গল্পটা রোমাঞ্চকর। হাইড্রাকে গ্রীক দেবী হীরা (Hḗrā) প্রতিপালন করেছিলেন শুধু হারকিউলিসকে বধ করার জন্য। দানব সিংহ থেকে হাইড্রাকে বধ করা ছিলো আরো কঠিন। আগের কাজটি একা করলেও এবার হারকিউলিস সাথে নেন বিশ্বস্ত ভাতিজা লোলাউসকে এবং বেরিয়ে পড়েন ঘোড়ার রথে চড়ে হাইড্রা লার্না লেকের পথে। হাইড্রার গভীর গুহা থেকে তাকে বের করতে জ্বলন্ত তীর ছুঁড়তে লাগেন হারকিউলিস। শেষবধি গগুহা থেকে বেরিয়ে এলে তার কাস্তে, মতান্তরে তলোয়াড় কিংবা বিখ্যাত গদা দিয়ে সম্মুখ সমরে মুখোমুখি হন। তবে হাইড্রাকে বধ করা সহজ ছিলো না, কেননা…

আরো পড়ুনআঘাতপ্রাপ্ত অঙ্গ নতুন করে গজায় যে প্রাণীর!

কী হবে যদি সাপ না থাকে? যে দেশগুলোতে সাপ নেই…

সাপ, অনেকের কাছেই এ যেন এক জ্বলজ্যান্ত আতঙ্কের নাম। কোমল ত্বক, খন্ডিত জিহ্বা, জ্বলজ্বলে চোখ আর বিষাক্ত বিষের অধিকারী এই প্রাণী স্নায়ুতে যে শিহরণ বইয়ে দেয়, অন্য কোন প্রাণীর সাথে তার তুলনা চলে না। সাপের প্রতি এই আতঙ্ক অমূলক নয়, কারণ সাপের প্রজাতিগুলোর একটি বড় অংশ বিষধর, যে বিষ হতে পারে আপনার মৃত্যুর কারণ, এবং এমনকি কোন সাপ আপনাকে গিলে নেয়ার ক্ষমতা রাখে। তবে সাপের ভীতি যদি অস্বাভাবিক রূপ নেয়, হয়ত আপনি উঠতে, বসতে, ঘুমাতে কিংবা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতেও যদি সাপের ভয় আপনাকে তাড়া করে বেড়ায়, তবে তা ফোবিয়াতে রূপ নেয়, যাকে বলে ophidiophobia। আরো দেখুন: কয়েকটি মজার ফোবিয়া: আপনার কোনগুলো আছে? সাপের কথা বললে সাপের ভয় কিংবা আতঙ্কের কথা যখন সবার আগে চলে আসে, তখন প্রশ্ন জাগতে পারে, কী হত, যদি সাপ না থাকতো? আপনি যদি বাস্তুতন্ত্রের ধারণা রাখেন, তাহলে একটা কথা আপনি হয়ত অনুমান করতে পারছেন, এটার পরিণতি খুব ভালো হবে না। কিন্তু কয়েকটি দেশ কিন্তু আছে…

আরো পড়ুনকী হবে যদি সাপ না থাকে? যে দেশগুলোতে সাপ নেই…

ক্লাউনফিশ: নিমোদের অজানা কথা…

অন্য প্রাণী শিকারের বেলায় ক্লাউনফিশের কিন্তু একটা চমৎকার পদ্ধতি আছে। নিজের চেয়েও বড় মাছকে এরা আকর্ষণ করে সি-অ্যানিমোনে নিয়ে আসে। এরপর বড় মাছটিকে সি-অ্যানিমোন দংশন করে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে, আর খাদ্যের অবশিষ্টাংশ হয় ক্লাউনফিশের খাবার।
আরো পড়ুনক্লাউনফিশ: নিমোদের অজানা কথা…

কুয়োকাকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী প্রাণী, কিন্তু আসলেই কি?

চারপেয়ে ছোট্ট লোমশ দেহের প্রাণী কুয়োকা (Quokka), মুখে সবসময়ই অদ্ভুত হাসি খেলা করে। দেখলেই মনটাও হেসে উঠে। কুয়োকাকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী প্রাণী। আকারে একটা পোষা বেড়ালের থেকে বড় নয়। ইউরোপীয় বিভিন্ন অভিযাত্রীরা অস্ট্রেলিয়ায় এটাকে দেখে ইঁদুর না বিলাই একেকজন একেকটা বলেছেন। ষোড়শ শতকে Samuel Volckertzoon একে বলেছেন ‘বন বেড়াল’, তারপর Willem de Vlamingh বলেছেন ‘দানব ইঁদুর’, এমনকি যেখানে দেখেছিলেন, সে দ্বীপটাকেও নাম দিয়েছিলেন Rottnest Island, মানে ইঁদুরের বাসা। তবে এই প্রাণীটা আসলে ইঁদুর, বিলাই কোনটাই না। কুয়াকো ক্যাঙ্গারু গোত্রীয়। আর হ্যাঁ, ক্যাঙ্গারুর মত এদেরও কিন্তু থলে থাকে। কুয়োকা কেন সবসময় হাসিমুখে থাকে তা এখনো জানা যায়নি। কেউ কেউ বলেন, প্রাকৃতিকভাবেই তাদের মুখে হাসি থাকে। তবে তাদের মুখমন্ডল ও চোয়ালের গঠনের সাথে হাসিমুখের সম্পর্ক নেই। তাদেরকে সবচেয়ে সুখী প্রাণী বলা হয় বটে, তবে, মুখে হাসি লেগে থাকাটাই কিন্তু সুখী হওয়ার একমাত্র শর্ত না! তাদের জীবনটাও আর সব প্রাণীর মতই কঠিন। দিনশেষে, তারা একটা বন্যপ্রাণী। সঙ্গী নির্বাচন বিষয়ে লড়াই কিংবা…

আরো পড়ুনকুয়োকাকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী প্রাণী, কিন্তু আসলেই কি?

পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাণী কোনটি জানেন? মশা!

বাঘ দেখেছেন কখনো? সম্ভবত দেখেছেন। চিড়িয়াখানায়, বন্দী খাঁচায়। কিন্তু আরেকটা প্রাণী আছে, মশা, এমন এক প্রাণী, দেখতে এইটুকু, কিন্তু এদের জন্য আমাদের নিজেদের খাঁচায় ঢুকতে হয়, কী অদ্ভুত! অবশ্য, এ আর এমন কী? তার থেকে ক্ষুদ্র ভাইরাসের জন্য আমরা ঘর থেকে বের হতে পারছি না, মশা তো তাও চোখে ভালোভাবেই দেখা যায়। পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাণী কোনটি জানেন? হ্যাঁ, মশা। বাঘ, সাপ কিংবা হাঙর, কোন প্রাণীই তত মৃত্যুর জন্য দায়ী না, যত মৃত্যুর জন্য দায়ী মশা। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, জিকাসহ ভয়ঙ্কর সব রোগ ছড়ায় মশা। প্রায় ২৫ কোটি মানুষ প্রতি বছর মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয় এবং প্রায় ১০ লক্ষ মারা যায়। এসব মৃত্যুর প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ঘটে ম্যালেরিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ২০০১ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ওয়েস্ট নীল ভাইরাস ছড়ানোর জন্য পাখিকে দায়ী করা হত। তবে ২০১০ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায় এজন্য দায়ী ‘পাখি’ ছিলো মশা। তবে সব মশা কিন্তু আমাদের রক্ত খায় না। কিছু মশা নির্দিষ্ট প্রজাতির রক্ত খায়। যেমন,…

আরো পড়ুনপৃথিবীর সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাণী কোনটি জানেন? মশা!

পরিচিত হই পৃথিবীর সবচেয়ে ধীরগতির স্তন্যপায়ী প্রাণীর সাথে, স্লথ!

জীবনের প্রায় ৯০ শতাংশ সময় এরা গাছের ডালে উল্টো হয়ে ঝুলে থেকে কাটিয়ে দেয়, আর এভাবে তারা চলতে পারে মিনিটে সর্বোচ্চ প্রায় ৪.৫ ফুট পর্যন্ত। স্লথ (Sloth) এর কথা বলছি, যাদের নামের অর্থই হলো আলস্য। এদের ওজনের মাত্র ২৫-৩০ শতাংশ হলো এদের পেশী, যা মানুষের ক্ষেত্রে ৪০-৪৫ শতাংশ। স্লথের রয়েছে বিশেষ ধরণের হাত ও দীর্ঘ পা এবং বাঁকানো নখর, যা তাদের সহজে গাছের ডালে উল্টো ঝুলে থাকতে সাহায্য করে, কিন্তু একই সাথে, মাটিতে তারা হাঁটতে পারে না, যখন তারা মাটিতে থাকে অনেকটা হামাগুড়ি দিয়ে তারা নিজেদের টেনে নিয়ে চলে। তবে তারা খুব কমই মাটিতে নেমে আসে, আর এসময় তাদের গতি মিনিটে ১ ফুটের বেশি নয়। তবে, সাঁতারের ক্ষেত্রে এরা বেশ দক্ষ। সাঁতারে তাদের গতি মিনিটে ১৩.৫ ফুট পর্যন্ত হতে পারে, যা গাছের ডালে কিংবা মাটিতে চলাচল থেকে অনেক বেশি। আর সাঁতারের ক্ষেত্রে তারা শ্বাস ধরে রাখতে পারে প্রায় ৪০ মিনিট পর্যন্ত, যেটা আশ্চর্যজনক। হ্যাঁ, এরাই স্লথ, পৃথিবীর সবচেয়ে ধীরগতির স্তন্যপায়ী,…

আরো পড়ুনপরিচিত হই পৃথিবীর সবচেয়ে ধীরগতির স্তন্যপায়ী প্রাণীর সাথে, স্লথ!