এখন তো প্লুটোকে আর গ্রহের মধ্যেই ধরা হয় না, তবে আমরা সবাই জানি একটা সময়ে প্লুটো ছিলো সৌরজগতের স্বীকৃত নবম গ্রহ। কিন্তু আমি যদি বলি আসলে এটা একসময়ে, এমনকি দু’যুগ আগেও ছিলো সৌরজগতের অষ্টম গ্রহ এবং নেপচুনের অবস্থান ছিলো নবম? আর হ্যা, এটা কিন্তু সত্যিই!
যদিও বিতর্ক চলছে এবং হয়ত আরো সময় ধরে চলবে, তবে এখন প্লুটোকে বামন গ্রহ বা Dwarf Planet হিসেবে ধরা হয়। আকারে এটা আমাদের পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদের থেকেও ছোট, চাঁদের ১,৭৩৭.১ কিমি ব্যাসার্ধের বিপরীতে প্লুটোর ব্যাসার্ধ মাত্র ১,১৮৮.৩ কিমি। প্লুটো পৃথিবীর হিসেবে প্রায় ২৪৮ বছরে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে থাকে, কক্ষপথটাও একটু আলাদা ধরণের।
সৌরজগতের গ্রহগুলোর কক্ষপথগুলো অনেকটা একই সমতলে অবস্থান করে, যার নাম হলো ক্রাঁতিবৃত্ত বা ক্রান্তিবৃত্ত বা অয়নবৃত্ত বা সৌরবৃত্ত, ইংরেজিতে ecliptic। কিন্তু প্লুটোর কক্ষপথ এর থেকে ১৭ ডিগ্রি কোণের বেশি আনত থাকে। নিচের এনিমেশনে দেখা যাচ্ছে প্লুটোর কক্ষপথ গ্রহগুলো থেকে আলাদা ধরণের।

প্লুটো কখনো কখনো নেপচুনের কক্ষপথে অতিক্রম করে ফেলে। নিচের ভিজুয়ালাইজেশনে ১৯০০ সাল থেকে ২১০০ সাল পর্যন্ত প্লুটোর অবস্থান এটা চমৎকারভাবে দেখানো হয়েছে। এখানে কেন্দ্রে সূর্য, এরপর শনি, এরপর ইউরেনাস ও নেপচুনের কক্ষপথ অবস্থা করছে এবং সবশেষে প্লুটো। সাদা দাগে ক্রাঁতিবৃত্তে প্লুটোর অবস্থানের অভিক্ষেপ দেখানো হয়েছে।

১৯৭৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী প্লুটো নেপচুনের তুলনায় সূর্যের নিকটবর্তী হয় এবং এমনটা বজায় থাকে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত। ১৯৩০ সালে আবিষ্কারের পর থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্লুটোকে গ্রহ হিসেবে বিবেচনা করে আসা হয়েছে। অর্থাৎ, সত্যিই এই ২০ বছরের অধিক সময়কাল প্লুটো ছিলো অষ্টম গ্রহ।
সোর্স: উইকিপিডিয়া
🙂